somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

আজকের ডায়েরী- ১০

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ঢাকা শহরে কি চাষের মাছ ছাড়া অন্য মাছ পাওয়া যায় না?
আমি চাই টাটকা দেশি মাছ। দেশি মাছের স্বাদ কি আর চাষের মাছে পাওয়া যায়? দেশি মাছ বলতে বুঝাচ্ছি- বাংলাদেশের খাল, বিল, পুকুর বা নদীতে প্রাকৃতিকভাবে যেসব মাছ পাওয়া যায়, সেগুলো। দেশি মাছের স্বাদ'ই তো ভুলে গেছে! রুই, কাতলা, মৃগেল, পাঙ্গাস, টেংরা, পাবদা, কৈ, শিং, মাগুর – সবই চাষ হচ্ছে। আর চাষের মাছ দিয়ে বাজার ভরা। কিন্তু এই সমস্ত চাষের মাছ খেয়ে আমি আরাম পাই না। যদিও বাজারে চাষের মাছেরও অনেক দাম। আপনি কি জানেন চাষের মাছ গুলোকে কি কি খেতে দেওয়া হয়? দেশি মাছ স্বাভাবিক নিয়মে প্রাকৃতিক পরিবেশে বড় হয়। আর চাষের মাছ কৃত্রিমভাবে দ্রুত বড় করা হয়। বাজার থেকে নানান রকম মাছ কিনেও আমি মাছ খেয়ে আরাম পাই না।

ভাতের চাল কিনেও আরাম পাচ্ছি না।
আমি মিনিকেট চাল কিনি। ইদানিং অনেক রকমের মিনিকেট চাল পাওয়া যায়। (যদিও মিনিকেট বলে কোনো চাল নেই। এটা আসলে ২৯ চাল। যা মেশিনে কেটে চিকন করা হয়। অর্থ্যাত মিনি কাট। আর মিনিকাট থেকেই মিনিকেট। যেটা খেয়ে আরাম পাওয়া যায় না। ভাত সিদ্ধ হতে অনেক সময় লাগে, ভাত ঝরঝরা হয় না। রান্না করার পর ভাত ইরি চালের চেয়ে বেশি মোটা হয়। খেতে কোনো স্বাদ নেই। ফার্মের মূরগীও খেতে স্বাদ না। চার কেজি গরুর মাংস কিনলে বাসায় এসে কে কেজি ফেলে দিতে হয়, তেল চর্বি হাড্ডি হাবিজাবি দিয়ে দেয়। চার কেজি মাংস দুই হাজার টাকা। মাংস কিনেও শান্তি শান্তি নেই। মাংস পানিতে চুবিয়ে ওজন বাড়ায়। আরও নানান কাহিনি করে। বাঁচবো কি খেয়ে? সবজি খেয়েও আরাম পাই না। সব হাইব্রিড। কোনো স্বাদ নাই। খুব আফসোস হয়- কত দিন দেশি মাছ খাই না। দেশি মূরগী। বাজারে গরুর মাংস মনে করে যা কিনি সেটা আসলে মহিষ।

আমি আগে বুয়াকে দিয়ে বাজার করাতাম।
সুরভির অনুরোধে গত তিন বছর ধরে আমিই বাজার করি। এখন আমি সব মাছ আর সবজি চিনি। মাঝে মাঝে বড় ভাইয়ের গাড়ি নিয়ে খুব ভোরে মাওয়া চলে যাই। ভোরবেলা মাওয়া ঘাটে খুব টাটকা মাছ পাওয়া যায়। যদিও দাম খুব বেশি নেয়। আমার সবচেয়ে বেশি মেজাজ খারাপ হয়- মাছ বিক্রেতারা চাষ করা মাছকে দেশি মাছ বলে বিক্রি করে। মাছ বিক্রেতারা এমন ভাবে বলে যে, মাঝে মাঝে আমি নিজেই দ্বিধাদন্ডে পড়ে যাই। আমি দুনিয়ার সমস্ত মানুষকে বিশ্বাস করি আর নিয়মিত ঠকি। বাজারে গেলে দুষ্টলোক গুলো নকল পন্য আমাকে দিয়ে দেয়। বাসায় এসে ফেলে দেই। যেহেতু সরকার নিরব তাই প্রতিটা বাজারে তো একটা সমিতি আছে। এই সমিতির সকলে মিলে ঠিক করলেই তো পারে তাদের বাজারে কেউ নকল পন্য বিক্রি করতে পারবে না। বিক্রি করলে বাজার থেকে তাকে বের করে দেওয়া হবে।

আজ শুক্রবার কিন্তু আমি বাজারে যাই নি।
গতকাল রাত থেকে প্রচন্ড দাঁত ব্যথা। প্রচন্ড। সহ্যের বাইরে। অথচ ছোটবেলা থেকেই আমি খুব বেশি দাঁতের যত্ন করেছি। তারপরও দু'টা দাঁত ফেলতে হয়েছে মাড়ির। আরেকটা ফেলতে হবে মনে হচ্ছে। গতকাল রাত তিনটা। সুরভি গভীর ঘুমে। আমি দাঁত ব্যথায় ছটফট করছি। ইচ্ছা করছে প্লাস দিয়ে টেনে দাঁতটা উপড়ে ফেলি। প্রচন্ড ব্যাথার কারনে মুখের বাম পাশে ব্যাথা ছড়িয়ে গেছে। কপাল-চোখ পর্যন্ত ব্যথা করছে। গাল ফুলে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা যা জানি একা একাই করলাম। তাতে কোনো লাভ হলো না। আজ সারাদিন এই ব্যাথার কারনে সামুতে কিছু লিখতে পারিনি। অথচ মাথার ভেতর বেশ কয়েকটা লেখা জমা হয়ে আছে। আমার প্রধান সমস্যা হলো মাথার ভেতর কোনো লেখা জমে গেলে- না লিখা পর্যন্ত শান্তি পাই না। চারিদিকে সমস্যায় জর্জরিত। এদিকে ল্যাপটপে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৩
১৭টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×