১। আমার কাছে বইয়ের বিকল্প আর কিছু হতে পারে না।
আজ যে আমি সৎ হয়ে জীবনযাপন করছি এবং ধনী না হলেও বিপথগামী হইনি- সে তো বইয়েরই দান। আজ যে সভ্যতার মধ্যে আমারা সবাই বাস করছি, তা তো বই থেকেই সৃষ্টি হয়েছে। বই না থাকলে আমরা কি এই সভ্যতা পেতাম? বই আমাদের মানুষ করেছে, আমাদের সুসভ্য করেছে। তাই আজ যারা বই-বিমুখ, যারা শুধু কম্পিউটার, পানশালা আর টিভি সিরিয়ালে আনন্দ পায়, তাদের কি সভ্য বলা যাবে?
২। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর 'দিবারাত্রির কাব্য' অনেকেরই পড়া। তারই বিশেষ একটা লাইন পড়ে মনে হয়েছিল - প্রচণ্ড বৃষ্টির এ রকম তুলনা কি করে কেউ ভাবতে পারে? চিন্তাই করতে পারি না!
মালতির খুব সরল মনের মেয়ে আনন্দ! আনন্দ সমুদ্রে প্রবল বৃষ্টি দেখে বলেছিল 'কি বৃষ্টি নেমেছে! সমুদ্রটা পর্যন্ত ভিজে যাবে'। যে সমুদ্র সীমাহীন জলের আধার- সেটা ভিজে যাবে!!!
৩। আমার কখনও কারো ছবি তুলতে হলে তাকে বলি- আপনি আমার কথা ভুলে যান, ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে আপনি আপনার খুব প্রিয় একজন মানুষের দিকে তাকিয়ে আছেন, এটা ভাবেন। এই কথাটা বললেই সবাই একটু মিষ্টি করে হাসেন। ওই হাসির মধ্যেই আমি আমার কাজ শেষ করে নেই।
৪। চালচলনে সুশীল হও !
মোলায়েম কন্ঠে কথা বলো !
কন্ঠ স্বরকে গাধার মতো কর্কশ করো না !
( আল কোরআন, সূরা লোকমানঃ ১৯ )
৫। শুকনো মরু শহর মক্কায়, কাবুলে বরফ পরছে, আর স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোয় তুষারপাত নেই এই উইন্টারেও। পৃথিবীটাকে আমরা ভালো রাখিনি।
মানুষের কর্মকান্ডের কারনে প্রকৃতির উপর যে বিরুপ প্রতিকৃয়া সৃষ্টি হয়েছে, তার কারনে আগামী ৫০০, ১০০০ কি ২০০০ বছরে মানুষই হয়তো বিলুপ্ত হয়ে যাবে, কিন্তু তাতে পৃথিবীত কিছুই যায় আসে না। সে নিজেই পরবর্তী ১০০০০ কি ২০০০০ বছরে নিজের ক্ষত নিজেই সারিয়ে নেবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০৮