১। মোর দ্যান ব্লু (More than Blue) এটি একটি কোরিয়ান মুভি। অসাধারণ একটি রোমান্টিক ছবি। ছেলে ও মেয়েটি একে অপরের খুব ভালো বন্ধু। কিন্তু ছেলেটির হাতে বেশী সময় নেই। সে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত। তাই সে মেয়েটির কাছে নিজের রোগের কথা ও নিজের ভালোবাসার কথা গোপন রাখে। মেয়েটিকে সে কখনো কষ্ট দিতে চায় না। তাই সে সেই মেয়েটির জন্য একসাথে মিলে খুব ভালো একজন মানুষ খুজতে থাকে। খুজেও পায়। ছেলেটি সবার সামনে খুব খুশি হবার ভান করে যায় সবসময়। কিন্তু মনে তীব্র কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছে। তারপর আসে মেয়েটির বিয়ের দিন। ছবিটি দেখার পর এক আকশ কষ্ট বুকে এসে জমা হবে।
২। দ্য নোটবুক (The Notebook)
অসম্ভব সুন্দর একটি প্রেমের ছবি। ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত নির্ভেজাল প্রেমের ছবি। নিকোলাস স্পার্ক এর একি নামের উপন্যাস অবলম্বনে নিক ক্যাসাভেটাস সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন। ছবিটি বক্স অফিসে খুব বড় ধরনের সাফল্য অর্জন করতে না পারলেও নিকটবর্তী সময়ের অন্যতম সেরা রোমান্টিক ফিল্ম হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে সিনেমা প্রেমীদের মাঝে। এই সিনেমার গল্প গড়ে উঠেছে উনবিংশ শতাব্দীর চল্লিশের দশকে আমেরিকার দুই উঠতি যুবক-যুবতির প্রেমের কাহিনীকে কেন্দ্র করে। সিনেমার শুরুটা হয় একটি নার্সিং হোম থেকে। নার্সিং হোমে চিকিৎসারত এক বৃদ্ধাকে এক বৃদ্ধা নিজের নোটবুক হতে একটি গল্প শোনায়। এই গল্পের প্রধান চরিত্র চল্লিশের দশকের দুই প্রাণবন্ত যুবক-যুবতি অ্যালি এবং নোয়া। অ্যালি হেমিলটন ধনী পরিবারের সুন্দরী স্কুল পড়ুয়া মেয়ে। সি ব্রুক নামক স্থানে আসে সামারের ছুটি কাটাতে। স্থানীয় মেলায় নোয়ার সাথে পরিচিত হয় অ্যালি। নোয়া স্থানীয় ছেলে এবং স্থানীয় একটা কারখানায় শ্রমিক হিসাবে কাজ করে।
৩। লাইফ অফ পাই (Life of Pi)
ছবির কাহিনী এই রকম- চার দিকে শুধু নীল জল। ওপরে নীল আকাশ। প্রশান্ত মহাসাগরে এ ভাবেই ২২৭ দিন ধরে লাইফবোটে ভেসে চলেছে পাই আর রিচার্ড পার্কার। রিচার্ড পার্কার কোনও মানুষ নয়, ৪৫০ পাউন্ড ওজনের হিংস্র এক রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। পুদুচেরি বোটানিকাল গার্ডেনে পাইয়ের বাবার একটি চিড়িয়াখানা ছিল। ১৯৭৭ সালে জরুরি অবস্থার সময়ে চিড়িয়াখানার প্রাণী গুলিকে আমেরিকায় এক সার্কাস কোম্পানিকে বিক্রি করে কানাডার অভিবাসী হওয়ার কথা ভাবেন পাইয়ের মা-বাবা। জাহাজে বাঘ, ওরাংওটাং, জেব্রা সকলকে তোলা হয়। কিন্তু মাঝ সমুদ্রে জাহাজ ডুবি। পাইয়ের মা-বাবা-দাদা সকলের সলিল সমাধি। লাইফবোটে পাইয়ের সঙ্গে একটি জেব্রা, ওরাংওটাং ও হায়না চলে আসে। কয়েক দিন পরে দেখা যায়, বোটের নীচে বসে আছে রিচার্ড পার্কার। অন্য জন্তুদের সে খেয়ে ফেলে। শুধু বেঁচে থাকে পাই। বাঘ মাঝে মাঝে আক্রমণ করতে চায়, কিন্তু কিশোর পাই বুদ্ধি করে তাকে পানীয় জল দেয়, সমুদ্রের মাছ ধরে খাওয়ায়। দুই ঘন্টা সাত মিনিটের মুভি টা দেখে অনেক আনন্দ পাবেন।
৪। দ্যা গড মাস্ট বি ক্রেজি (The God Must Be Crazy)
ছোট্ট একটা বিষয় নিয়ে যে এত সুন্দর মুভি বানানো যায় তা এই মুভিটা দেখার আগ পর্যন্ত জানতাম না। কালাহারি মরুভুমির ছোট্ট একটা জংলি জাতি যারা পানির জন্য প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে আসছে কিন্তু তাদের মধ্যে কোনো সংঘাত, কলহ নাই। অপরাধ বা অপরাধী বলে কোনো কিছু তাদের ভাষায় নাই। খুব শান্তিতেই কাটতো তাদের দিন। একদিন একটি প্লেন তাদের উপর দিয়ে যাচ্ছিলো। প্লেনের পাইলট কোক খেয়ে জানালা দিয়ে বোতল ফেলে দিল। তারা মনে করল ঈশ্বর তাদের জন্য এটা পাঠিয়েছে। এই বোতল তাদের দেখা সব থেকে শক্ত বস্তু। এটার বহুব্রিধ ব্যাবহার যখন শুরু হলো তখন এটা নিয়ে তাদের মধ্যে শুরু হয়ে গেলো ঝগড়া। তারা সিদ্ধান্ত নেয় বোতলটিকে পৃথিবীর শেষ প্রান্তে ফেলে আসবে। এখান থেকে মূলত মুভিটির কাহিনি শুরু। এরপর মজার মজার কাহিনি নিয়ে মুভিটি চলতে থাকে। এক কথায় অসাধারণ একটা মুভি।
৫। ইনসেনডিস (Incendies)
আমি বাজি ধরে বলতে পারি যে এই মুভি দেখার পর ‘ও মাই গড! এ কি দেখলাম?’ বলা ছাড়া আর কিছু ভাষা থাকবে না। মুভিটির শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আপনি একটি দো-টানা এর মধ্যে থাকবেন যে কি হচ্ছে? আর শেষ হলে ত আপনি নির্বাক।
মা নাওয়াল মারওয়ান এর মৃত্যুর পর তার জমজ ছেলে-মেয়ে সিমন আর জেনার কাছে মায়ের শেষ ইচ্ছা উপস্থাপন করা হয়। মায়ের ইচ্ছা তার ছেলে-মেয়েরা যেন তাদের বাবা আর ভাইকে খুঁজে বের করে। মায়ের লেখা দুটি চিঠিও তাদের হাতে দেয়া হয় যেটা তাদের বাবা আর ভাইয়ের কাছে পৌছে দিতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০২১ সকাল ১১:৫৪