somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

আমার স্পষ্ট কথা- পাকিস্তানী পতাকা আমি সহ্য করতে পারি না

২৩ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবিঃ আমার তোলা।

আমি কখনও অন্ধ হবো।
রাত নামলে আমার ঘরে তবু তুমি বাতি জ্বালাবে।
ঘুমুবার আগে আবার ঠিক বাতি নিভিয়েও দেবে।
এইখানটাতে ভাবার বিষয় আছে। ভাবো।


একটা ধাঁধা দিয়ে লেখাটা শুরু করি-
''একজন বয়স্ক লোক এক তরুণকে বললেন, 'আমার এক মেয়ের নাম কণা। তার যতগুলো ভাই আছে, ততগুলো বোন আছে। প্রত্যেক ভাইয়ের যতজন ভাই আছে বোন আছে তার দ্বিগুণ। এখন বলো তো আমার কয় ছেলে কয় মেয়ে?''

একদিন সুরভি ফোন করে বলল, রক্ত লাগবে।
'ও' পজেটিভ। আমি এক ব্যাগ রক্ত কিনে পাঠিয়ে দিলাম। এরপর সুরভি রেগেমেঘে অস্থির। আমি বললাম, কি হয়েছে? সুরভি বলল, আমার ছোট মামা অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি। তার জন্য রক্ত লাগবে। তুমি কোন আক্কেলে বাসায় রক্ত পাঠালে? এটা আমাদের বিয়ের আগের ঘটনা। কিছু কিছু কাজে আসলেই আমি বোকামির পরিচয় দিয়ে দেই। তবে এখানে আমার পুরোপুরি দোষ নেই। সুরভি আমাকে প্রথমে বুঝিয়ে বললেই পারতো।

একদিন সুরভি বলল, আব্বা অসুস্থ।
বারডেম ভর্তি। তুমি আসো। দেখে যাও। তোমার খোজ করছিলো। আমি গেলাম শাহবাগ বারডেম হাসপাতাল। গিয়ে দেখি শ্বশুর মশাই নাই। খুব মেজাজ খারাপ হলো আমার। সুরভিকে ফোন দিলাম। বললাম, তুমি কই? সুরভি বলল, আমি হাসপাতালে। আব্বার পাশে বসে আছি। আমি বললাম, তাহলে আমি কই? সুরভি বলল, তুমি কই আমি কি জানি না। রাগে আমার শরীর জ্বলছে। বললাম, সুরভি আমি বারডেম হাসপাতালে। তোমাকে খুঁজে পাচ্ছি না। আমি তিন তলার বারান্দায় আছি। সুরভি বলল, তুমি ভুল হাসপাতালে গেছো। আমি মিরপুর বারডেম হাসপাতালের কথা বলেছি।

একবার সুরভি বরিশাল যাচ্ছিলো।
তখন আমাদের বিয়ে হয়নি। চুটিয়ে প্রেম করছি। সুরভির কাজিনের বিয়ে। সদরঘাট থেকে লঞ্চ ছেড়ে দিয়েছে। সুরভির সাথে আমার ফোনে কথা হচ্ছে। রাত দুটায় সুরভিকে ফোনে বললাম, কেবিন থেকে বের হয়ে বাইরে দেখো- কি প্রচন্ড শীত! চারিদিকে কুয়াশা। ফ্লাড লাইটের আলোতেও কিছু দেখা যায় না। এখন তোমাদের লঞ্চ কীর্তনখোলা নদীতে। সুরভি একটা ভারী শাল গায়ে দিয়ে কুয়াশা দেখতে বের হলো। তখনও আমি ফোনে ছিলাম। সুরভি বলল, আসলেই অনেক ঠান্ডা। প্রচুর কুয়াশা। তখন আমি পেছন থেকে এসে সুরভির হাত ধরি। আমাকে দেখে সুরভি খুবই অবাক হয়! আনন্দে সে কান্না করে দেয়।

সুরভির একটা বিষয় আমার ভালো লাগে না।
সে অনলাইন থেকে প্রচুর কেনাকাটা করে। অথচ আমরা ঢাকা শহরে থাকি। বাসা থেকে বের হলেই মার্কেট এর অভাব নেই। অনলাইন থেকে কেন কেনাকাটা করতে হবে? সেদিন অনলাইন থেকে আধা কেজি চানাচুর কিনলো। ২৫০ টাকা দিয়ে। সার্ভিস চার্জ ৫০ টাকা। বেকারি থেকে ভালো চানাচুর কেনা যায় এক কেজি তিন শ' টাকা দিয়ে। সুরভি মধু, ঘি কিনে অনলাইন থেকে। ফারাজার জন্য ওলিভওয়েল কিনে অনলাইন থেকে। এমন কি সরিষার তেলও কিনে অনলাইন থেকে। জামা জুতো। ডায়পার। অনলাইন থেকে কিছু জেনা মানে ঠকা। ইচ্ছা করে কেউ ঠকে? আমি হাজার বার মানা করেছি, অনলাইন থেকে কিচ্ছু কিনো না। আমার কথা শোনে না। তবে ফুডপান্ডা ভালো। খাবার অর্ডার করলে অল্প সময়ের মধ্যে বাসায় এসে দিয়ে যায়।

আমি বিশ্বাস করি-
ষড়যন্ত্রকারী কখনো সফল হয়নি বরং ধ্বংস হয়েছে। অন্যকে ছোট করে নিজে বড় হয়নি বরং ঘৃণিত হয়েছে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। এই সমাজে ধার্মিকদের আমি পছন্দ করি না। বরং ভয় পাই। মানুষ, ধর্ম এবং ধার্মিক ব্যক্তিকে সম্মানের চোখে দেখে। তাই দুষ্টলোকজন ধার্মিক সাঁজে। পাকিস্তানিদের ভাই বলে সম্বোধন করে। ধর্মের দোহাই দেখায়। মুসলমান দাবী করে ইত্যাদি ইত্যাদি। বাংলার পাতাকায় লাল তো শহীদের রক্ত রঙ, সবুজ তো সেই বীরাঙ্গনা মা বোনদের শাড়ির রঙ যা মনের ভিতরের তীব্র গাঢ় দুঃখ, বেদনার রঙ। যারা আমাদের মুখের ভাষা কেড়ে আমাদের দেশ হতে আমাদের অস্তিত্ব ধুলিস্যাৎ করতে চেয়েছিল তাদেরকেই বরন করে নিচ্ছো? লজ্জা কবে হবে হে প্রজন্ম। ক্রিকেট য‌দি সা‌পোর্ট ক‌রেন হয়‌তো বাংলা‌দেশ‌কে নয়‌তো এ‌ড়ি‌য়ে যান। আর য‌দি আপ‌নি বাংলা‌দে‌শের কো‌নো প্রতিপক্ষ‌কে সা‌পোর্ট ক‌রেন ত‌বে আপ‌নি নিশ্চয় দেশ‌দ্রোহী আর কুলাঙ্গার।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৬
১৮টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×