আমি কখনও অন্ধ হবো।
রাত নামলে আমার ঘরে তবু তুমি বাতি জ্বালাবে।
ঘুমুবার আগে আবার ঠিক বাতি নিভিয়েও দেবে।
এইখানটাতে ভাবার বিষয় আছে। ভাবো।
একটা ধাঁধা দিয়ে লেখাটা শুরু করি-
''একজন বয়স্ক লোক এক তরুণকে বললেন, 'আমার এক মেয়ের নাম কণা। তার যতগুলো ভাই আছে, ততগুলো বোন আছে। প্রত্যেক ভাইয়ের যতজন ভাই আছে বোন আছে তার দ্বিগুণ। এখন বলো তো আমার কয় ছেলে কয় মেয়ে?''
একদিন সুরভি ফোন করে বলল, রক্ত লাগবে।
'ও' পজেটিভ। আমি এক ব্যাগ রক্ত কিনে পাঠিয়ে দিলাম। এরপর সুরভি রেগেমেঘে অস্থির। আমি বললাম, কি হয়েছে? সুরভি বলল, আমার ছোট মামা অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি। তার জন্য রক্ত লাগবে। তুমি কোন আক্কেলে বাসায় রক্ত পাঠালে? এটা আমাদের বিয়ের আগের ঘটনা। কিছু কিছু কাজে আসলেই আমি বোকামির পরিচয় দিয়ে দেই। তবে এখানে আমার পুরোপুরি দোষ নেই। সুরভি আমাকে প্রথমে বুঝিয়ে বললেই পারতো।
একদিন সুরভি বলল, আব্বা অসুস্থ।
বারডেম ভর্তি। তুমি আসো। দেখে যাও। তোমার খোজ করছিলো। আমি গেলাম শাহবাগ বারডেম হাসপাতাল। গিয়ে দেখি শ্বশুর মশাই নাই। খুব মেজাজ খারাপ হলো আমার। সুরভিকে ফোন দিলাম। বললাম, তুমি কই? সুরভি বলল, আমি হাসপাতালে। আব্বার পাশে বসে আছি। আমি বললাম, তাহলে আমি কই? সুরভি বলল, তুমি কই আমি কি জানি না। রাগে আমার শরীর জ্বলছে। বললাম, সুরভি আমি বারডেম হাসপাতালে। তোমাকে খুঁজে পাচ্ছি না। আমি তিন তলার বারান্দায় আছি। সুরভি বলল, তুমি ভুল হাসপাতালে গেছো। আমি মিরপুর বারডেম হাসপাতালের কথা বলেছি।
একবার সুরভি বরিশাল যাচ্ছিলো।
তখন আমাদের বিয়ে হয়নি। চুটিয়ে প্রেম করছি। সুরভির কাজিনের বিয়ে। সদরঘাট থেকে লঞ্চ ছেড়ে দিয়েছে। সুরভির সাথে আমার ফোনে কথা হচ্ছে। রাত দুটায় সুরভিকে ফোনে বললাম, কেবিন থেকে বের হয়ে বাইরে দেখো- কি প্রচন্ড শীত! চারিদিকে কুয়াশা। ফ্লাড লাইটের আলোতেও কিছু দেখা যায় না। এখন তোমাদের লঞ্চ কীর্তনখোলা নদীতে। সুরভি একটা ভারী শাল গায়ে দিয়ে কুয়াশা দেখতে বের হলো। তখনও আমি ফোনে ছিলাম। সুরভি বলল, আসলেই অনেক ঠান্ডা। প্রচুর কুয়াশা। তখন আমি পেছন থেকে এসে সুরভির হাত ধরি। আমাকে দেখে সুরভি খুবই অবাক হয়! আনন্দে সে কান্না করে দেয়।
সুরভির একটা বিষয় আমার ভালো লাগে না।
সে অনলাইন থেকে প্রচুর কেনাকাটা করে। অথচ আমরা ঢাকা শহরে থাকি। বাসা থেকে বের হলেই মার্কেট এর অভাব নেই। অনলাইন থেকে কেন কেনাকাটা করতে হবে? সেদিন অনলাইন থেকে আধা কেজি চানাচুর কিনলো। ২৫০ টাকা দিয়ে। সার্ভিস চার্জ ৫০ টাকা। বেকারি থেকে ভালো চানাচুর কেনা যায় এক কেজি তিন শ' টাকা দিয়ে। সুরভি মধু, ঘি কিনে অনলাইন থেকে। ফারাজার জন্য ওলিভওয়েল কিনে অনলাইন থেকে। এমন কি সরিষার তেলও কিনে অনলাইন থেকে। জামা জুতো। ডায়পার। অনলাইন থেকে কিছু জেনা মানে ঠকা। ইচ্ছা করে কেউ ঠকে? আমি হাজার বার মানা করেছি, অনলাইন থেকে কিচ্ছু কিনো না। আমার কথা শোনে না। তবে ফুডপান্ডা ভালো। খাবার অর্ডার করলে অল্প সময়ের মধ্যে বাসায় এসে দিয়ে যায়।
আমি বিশ্বাস করি-
ষড়যন্ত্রকারী কখনো সফল হয়নি বরং ধ্বংস হয়েছে। অন্যকে ছোট করে নিজে বড় হয়নি বরং ঘৃণিত হয়েছে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। এই সমাজে ধার্মিকদের আমি পছন্দ করি না। বরং ভয় পাই। মানুষ, ধর্ম এবং ধার্মিক ব্যক্তিকে সম্মানের চোখে দেখে। তাই দুষ্টলোকজন ধার্মিক সাঁজে। পাকিস্তানিদের ভাই বলে সম্বোধন করে। ধর্মের দোহাই দেখায়। মুসলমান দাবী করে ইত্যাদি ইত্যাদি। বাংলার পাতাকায় লাল তো শহীদের রক্ত রঙ, সবুজ তো সেই বীরাঙ্গনা মা বোনদের শাড়ির রঙ যা মনের ভিতরের তীব্র গাঢ় দুঃখ, বেদনার রঙ। যারা আমাদের মুখের ভাষা কেড়ে আমাদের দেশ হতে আমাদের অস্তিত্ব ধুলিস্যাৎ করতে চেয়েছিল তাদেরকেই বরন করে নিচ্ছো? লজ্জা কবে হবে হে প্রজন্ম। ক্রিকেট যদি সাপোর্ট করেন হয়তো বাংলাদেশকে নয়তো এড়িয়ে যান। আর যদি আপনি বাংলাদেশের কোনো প্রতিপক্ষকে সাপোর্ট করেন তবে আপনি নিশ্চয় দেশদ্রোহী আর কুলাঙ্গার।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৬