১। একটা খুন করতে ইচ্ছা করে।
নিখুঁত ভাবে খুনটা করা হবে। কেউ টের পাবে না। কেউ কিচ্ছু বুঝবে না। আমি খুন করে, আমি আবার খুন করা লোকটার সামনে গিয়ে বলব- আহারে, বড় ভালো ছিলো। কে খুন করলো এমন করে! খুব শ্রীঘই খুনটা করে ফেলব। প্লান করা শেষ। যাকে খুন করবো সে আমার ব্যাক্তিগতভাবে কোনো ক্ষতি করে নি। কিন্তু সে ক্ষতি করেছে দেশের। যেহেতু সরকার তাকে শাস্তি দেয় নি। দুদক তাকে গ্রেফতার করেনি। কাজেই আইন নিজের হাতে তুলে নিতে হবে আমাকে।
২। আচ্ছা, মানুষের কলিজা খেতে কেমন লাগে?
আমি হোটেলে প্রায়ই গরুর কলিজা ভূনা দিয়ে রুটি খাই। খেতে ভালৈ লাগে। ইদানিং আমার ইচ্ছা হচ্ছে মানুষের কলিজা খাবো। আমি জানি কলিজা মূলত জমাট বাঁধা রক্ত। ঠিক করেছি, সুন্দর একটা মেয়ের কলিজা খাবো। মেয়েটাকে নিজের হাতেই খুন করবো। তারপর বুক চিরে আস্তো কলিজা বের করবো। টাটকা কলিজা। পেট ভরতি করে চিবিয়ে চিবিয়ে খাবো। না জানি খেতে কেমন স্বাদ হয়! না, আমি পিশাচ নই। আপনাদের মতোই মানুষ। নিজের মনের গোপন ইচ্ছা গুলো আমি আপনাদের মতো লুকিয়ে রাখতে পারি না।
৩। আমি একজন ব্যর্থ মানুষ।
জীবনে কোনোদিন ঘুষ খেলাম না। ধর্ষন করলাম না। চুরী করলাম না। পরকীয়া করলাম না। নষ্টামি করলাম না। দালালি করতে পারলাম না। চাটুকার হতে পারলাম না। হাত কচলাতে পারলাম না। কালো টাকা দিয়ে বস্তা ভরতে পারলাম না। সাদা কাগজে সাইন নিয়ে রাখতে পারলাম না। কারো জমি দখল করতে পারলাম না। কাউকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করাতে পারলাম না। টাকা দিয়ে কোনো অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হতে পারলাম না। সব কিছু মিলিয়ে আমি একজন ব্যর্থ মানুষ।
৪। ঢাকা শহরে দুই মেয়র আছেন।
এই দুইজন করে কি? আমি তো ফুটপাত দিয়ে আরামে হাঁটতে পারি না। ফুটপাতে দোকানপাট দিয়ে ভরা। ফুটপাতের দোকানিরা অবশ্য বিনামূল্য ফুটপাতে বসে না। তাঁরা প্রতিদিন পুলিশকে টাকা দিচ্ছে। পুলিশ টাকা না খেলে ফুটপাতে কোনো দোকান বসতো না। দুইজন মেয়র ফুটপাত মুক্ত করতে পারেন নি আজও। জানেন পারবেও না। এই শহরে দশ টাকার বিনিময়ে ট্রাফিক পুলিশ হাত দিয়ে বাস থামায়। এবার যাত্রী তোলো। ঢাকা শহরে যত রেস্টুরেন্ট আছে, তাদের রান্নার গরম ধোঁয়া ফুটপাতে ছেড়ে দেয়। ফুটপাতে যারা হাঁটে তাদের কথা ভাবে না। আবার অনেক রেস্টুরেন্টের রান্না হয় ফুটপাতে। মেয়ররা কি এসব দেখেন না? জানেন না? নাকি পুলীশের মতো তারাও ঘুষ খেয়ে চোখ বন্ধ করে রেখেছেন?
৫। গত বারো বছরে দেশে সব কিছু দাম বেড়েছে।
পথেঘাটে আবাসিক হোটেলে বেড়েছে পতিতার সংখ্যা। ফ্লাট, গাড়ি আর বাইক বিক্রি হচ্ছে খুব। বেড়েছে ঠগ, প্রতারকের সংখ্যা। চোর ছিনতাইকারীর সংখ্যা তো হু হু করে বাড়ছে। তারচেয়ে বেশি বেড়েছে ধার্মিকদের সংখ্যা। দাঁড়ি রাখলে, মাথায় টুপি থাকলে এবং কপালের মাঝখানে দাগ থাকলে তো কথাই নেই। বাংলাদেশের সমস্ত খারাপ কাজ করে ধার্মিকেরা। ধার্মিকেরা ছুন্নত খুব পছন্দ করে। তাই তাঁরা দাঁড়িয়ে পানি পান করে না। টাখনুর নিচে প্যান্ট পড়েন না। ছুন্নত বললে কথা। পিশাব করে নুনু ঘষতেই থাকেন। ছুন্নত এঁর ফয়দা কি ইহকাল না পরকাল- কোন কালে পাওয়া যাবে?