
'যত গর্জে তত বর্ষে না'।
আসলে ২০২৩ সালে কিছুই হবে না। যা হবে তা হচ্ছে- জিনিসপত্রের দাম আরো বাড়বে। দেশে করোনার পর জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। আসলে জিনিসপত্রের দাম সব সময় বাড়তেই থাকবে। আজ থেকে ৪০/৫০ বছর আগের লোকেরাও বলতো জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। আগামীতে ৪০/৫০ বছর পরও জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। এখন একটা সিগারেটের দাম ১৫ টাকা। একটা ডিমের দাম ১৪ টাকা। হায় হায় করে কোনো লাভ নাই। সব যুগে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে, বাড়বেই। আপনাকে যা করতে হবে- তা হলো আপনার আয় বাড়াতে হবে। এছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। আয় বাড়াতে না পারলে অভাবে পড়বেন। এই আধুনিক যুগে দুর্ভিক্ষ হবে না। যার টাকা আছে, তার কোনো চিন্তা নাই। চুরী, ছিনতাই আর প্রতারণা বাড়বে।
আমাদের দেশে জিনিসপত্রের দাম লাগামহীন ভাবে বাড়ে।
কারন সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে জানে না। অর্থ্যাত পদ্মাসেতু/মেট্রোরেল তৈরি করা যায়, কিন্তু বাজার মনিটরিং করা যায় না। আগে যে ডাক্তার ভিজিট নিতো ৫০০ শ' টাকা এখন সেই ডাক্তার ভিজিট নিচ্ছে ৮০০ শ' টাকা। জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির কারন হচ্ছে 'দূর্নীতি'। দেশে দূর্নীতি বন্ধ করা গেলে জিনিসপত্রের দাম লাগামহীনভাবে বাড়তো না। সরকার কোনোদিনও দূর্নীতি বন্ধ করতে পারবে না। কারন সরকারের প্রতিটা লোক দূর্নীতি করে। ২০২৩ সালে দরিদ্ররা আরো দরিদ্র হবে। বেকারদের সংখ্যা আরো বাড়বে। দেশে অনেকে বলাবলি করছে শেখ হাসিনা ২০২৩ সালে পালিয়ে যাবে। কারন আওয়ামীলীগ দেশকে তলাছাড়া বাক্সে রুপান্তরিত করেছে। সরকারের নানান বিষয় নিয়ে ফেসবুক এবং ব্লগ গুলোর চেয়ে ইউটিউবে বেশি আলোচনা হয়।
কোনো কারনে শেখ হাসিনা মারা গেলে-
শেখ রেহেনা প্রধানমন্ত্রী হতে চাইবেন। অন্যদিকে শেখ হাসিনার পুত্র-কন্যা জয় ও পুতুল প্রধানমন্ত্রী হতে চাইবে। তখন আওয়ামীলীগে দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাবে। লাগবে ক্যাচাল। যাইহোক, এখন যদি আল্লাহ আমাদের জন্য কয়েকজন অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন নবী পাঠান, তাহলে দেশের ভালো হবে। আমাদের দরকার এখন নুহু সাহেবের নৌকা। ধর্মের কথা বাদ দেই। ধর্ম দিয়ে দেশের কোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব নহে। যে সমস্ত দেশ ধর্মকে দূরে রাখতে পেরেছে, তারাই সফল হতে পেরেছে। শেখ হাসিনা কেন বলেছেন মন্দার কথা? পুতিন কি সত্যিই পরমাণু হামলা চালাবে ইউক্রেনে? সম্ভবত আগামী বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অনাবৃষ্টি জনিত শস্যহানির আশঙ্কা করেই মনে হয় হাসিনা এ কথা বলেছেন। শেখ হাসিনা 'শুদ্ধি অভিযান'টা চালু রাখলে ভালো হতো।
নবীজি বলেছেন, কেয়ামতের আগে-
আহাম্মকদের জয়জয়কার হবে। হচ্ছেও তাই। একটা ঘটনা বলি- ২২/২৩ বছরের এক ছেলে গ্রামে থাকে। সে বাজারে চুরী করতে গিয়ে ধরা খেয়েছে। এখন চোর বলছে- 'আমার ভুল হয়েছে'। ক্ষমা করে দেন। একলোক আবার এটা ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছে। এখন এই চোর হয়ে গেছে সেলিব্রেটি। লোকজন এই চোরের সাথে টিকটক ভিডিও করার জন্য লাইন দিচ্ছে। একটা ভিডিওতে ৮/১০ লাখ লাইক পড়ে। এই চোরের জনপ্রিয়তা দেখে স্কুল কতৃপক্ষ তাকে স্কুলের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করেছে। ছাত্রছাত্রীরা দুই পাশে লাইন ধরে দাঁড়িয়েছে। চোর মাঝখানে কালো চশমা পড়ে হেঁটে গেছে। ছাত্রছাত্রীরা তালি দিয়েছে, ফুল পাপড়ি ছুড়ে মেরেছে। এখন এই চোর টিকটক হিরো।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৫৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



