somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

ধর্ম থেকে দূরে থাকুন, ভালো থাকুন

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



প্রথম কথা হলো এই বর্তমান যুগে এসে ১৪ শ' বছর আগের নিয়ম কানুন মেনে চলা বোকামি হবে। ১৪ শ' বছর আগে মানুষ জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত ছিলো না। বিশেষ করে মরুভুমির দেশ গুলো। তাই তাঁরা বেশির ভাগ কথাই ভুলভাল বলে গেছেন। এখন তাদের কথাবার্তা জাস্ট রুপকথা বলা যেতে পারে। দেখুন, দেশ কিন্তু ধর্মের বিধানে চলে না। দেশ চলে সংবিধান অনুযায়ী। কাজেই বর্তমান জীবনে আপনাকে সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার জন্য ধর্ম থেকে দূরে থাকতে হবে। সেই সময় আরবের লোকজন জানতে পারেনি- সক্রেটিসের কথা, প্লেটো বা এরিস্টটলের কথা। তাদের জন্মের বহু আগে এই মহান পন্ডিতদের ইতিহাস। তাদের জানতে পারলে, চিনতে পারলে- আরবদের চিন্তা ভানায় পরিবর্তন আসতো। পরিবর্তন আসতো তাদের ধর্মগ্রন্থ গুলোতেও।

আজকের এই আধুনিক পৃথিবী মানুষের তৈরি।
দীর্ঘ সময় পাড়ি দিয়ে মানুষ আজকের সভ্যতা গড়ে তুলেছে। কোনো নবী বা রাসূল এই আধুনিক পৃথিবী তৈরি করে দিয়ে যান নি। আধুনিক বিজ্ঞান তৈরি করে দিয়ে যাননি। তাদের অলৌকিক ক্ষমতা দিয়ে ইন্টারনেট, ল্যাপটপ বা মোবাইল তৈরি করে দিয়ে যাননি। একসময় চুলে উকুন হলে বলা হতো- ন্যাড়া হয়ে যাও, তিন দিন রোজা রাখো। বরকি জবো করো। এখন কিন্তু চুলে উকুন হলে ন্যাড়া হওয়ার দরকার পড়ে না। রোজা রাখারও দরকার পড়ে না। বরকি জবো দেওয়ারও প্রয়োজন পড়ে না। তাই আপনাকে চলতে হবে, আধুনিক নিয়মে। ১৪ শ' বছর আগের নিয়ম কানুন আগলে রাখলে আপনি অকালেই ঝড়ে যাবেন। পড়ে যাবেন। অন্ধকারে রয়ে যাবেন। টানা এক বছর কালিজিরা বা মধু খেলে আপনার অসুখ ভালো হবে না। আপনাকে ভালো ডাক্তার দেখাতে হবে। ওষুধ খেতে হবে।

যারা ইবাদত করছেন, তাঁরা পরকালের ভয়ে ইবাদত করছেন।
তাঁরা মনে করেন মৃত্যুর পর অন্য এক দুনিয়া আছে, সেই দুনিয়াই আসল দুনিয়া এবং সেই দুনিয়া অনন্ত কাল থাকবে। এরকমই তাদের বুঝানো হয়েছে। আসলে তাঁরা কোরআন এবং হাদীসের বাইরে যেতে পারেননি। এই দুই গ্রন্থই আকড়ে থেকেছেন। সারা বিশ্ব তো এই দুই গ্রন্থ দিয়ে চলছে না। কিন্তু মুসলিম জাতি পুরনো ধ্যানধারনা ত্যাগ করতে পারছে না। একটা ছোট ঘটনা বলি- এক ছোট বাচ্চা জানালার গ্রীল ধরে উপরে উঠেছে। হঠাত বাচ্চাটা গ্রীল থেকে ফ্লোরে পড়ে যায়। বেশ ব্যথা পায়। তখন বাচ্চার ধার্মিক পিতামাতা এবং আত্মীয়স্বজন বলছে, এটা শয়তানের কাজ। এই বাচ্চার প্রিয় খেলা জানালার গ্রীল ধরে উপরে উঠা-নামা। কখনও সে নীচে পড়ে যায়নি। সেদিন তাকে শয়তান ধাক্কা মেরে ফেলেছে। তারপর বাসায় সোনা রুপার পানি ছিটানো হয়। দোয়া পড়ে চারিদিকে ফু দেওয়া হয়। ফু'য়ের এমন পাওয়ার শয়তান বাবাগো মাগো বলে পালিয়ে যায়। ধার্মিকদের এই সব ঘটনা আমাকে বিনোদন দেয়।

দেখুন আপনার ভালো না লাগলে ইবাদত করবেন না।
আপনি ইবাদত করলে ঈশ্বরের কোনো উপকার হবে না। বা সমাজ সংসারের কোনো উপকার হবে না। কিন্তু আপনি যদি কাজ করেন, পরিশ্রম করেন- তবে সমাজ, সংসারের উপকার হবে। ইবাদর করলে টাকা পয়সা পাবেন না। অথবা আপনার সংসার অটোমেটিক চলে যাবে না। ধার্মিকেরা বলে রিজিকের মালিক আল্লাহ। কথাটা ঠিক নয়। আসল সত্যটা গরীব মানুষেরা ভালো করেই জানেন। যাদের ঘরে খাবার আছে তাঁরা মানেন রিজিকের মালিক আল্লাহ। মূরগীর রোষ্ট মুখে নিয়ে আহ্লাদ করে বলেন রিজিকের মালিক আল্লাহ। কিন্তু যাদের ঘরে দিনের পর দিন খাবার নেই তাঁরা জানেন রিজিকের মালিক আল্লাহ নন। এবং এই সমস্ত দরিদ্র পরিবার গুলো সব সময় রেগে থাকেন তাদের উপর যারা বলেন, রিজিকের মালিক আল্লাহ। তাহলে তাদের রিজিক কই? তাদের রিজিকের কথা আল্লাহ ভুলে গেছেন? অবশেষে তাঁরা খাবারের জন্য জনে জনে হাত পাতে, রেস্টুরেন্টের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন, চুরী করেন, ছিনতাই করেন। অথবা এমনও হতে পারে প্রভু তাদের রিজিক রেখেছেন চুরী-ছিনতাইয়ে।

বর্তমান পৃথিবীতে কোন ধর্মের লোক বেশি জানেন?
আমি বলে দিচ্ছি বর্তমান পৃথিবীতে ধর্মহীন লোক বেশি। ধর্মহীনদের নাস্তিক বলা হয়। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ বা খিস্টান থেকে নাস্তিক সবচেয়ে বেশি এই বিশ্বে। কারন মানুষ বুঝে গেছে ধর্ম আকড়ে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে। পরকালের লোভে পড়ে মানুষ বর্তমান জীবনটা নষ্ট করতে চায় না। মানুষ জানে তার জীবন একটাই। এক জীবনের যতটুকু পারা যায় জীবন উপভোগ করে নিতে হয়। নাস্তিকরা (জ্ঞানীরা) বলেন ধর্ম নামক কুসংস্কার থেকে দূরে থাকুন, ভালো থাকুন। একজন মানবিক মানুষের, একজন হৃদয়বান মানুষের ধর্মের প্রয়োজন পড়ে না। একজন শিক্ষিত রুচিশীল আধুনিক মানুষের ধর্মের প্রয়োজন পড়ে না। যারা বদ, ভন্ড, লোভী, নারীবিদ্বেষী, সুযোগ সন্ধানী তাদের প্রয়োজন ধর্ম নামক আফিম। ভালো মানুষের ধর্ম লাগে না। ভালো কাজ করতে ধর্ম লাগে না। নীতি ও সৎ জীবনযাপন করতে ধর্ম লাগে না।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২১
২৮টি মন্তব্য ২৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

"জাতীয় ঐক্য" বলতে ড: ইউনুস সাধারণ মানুষের ঐক্যের কথা বলছেন না।

লিখেছেন জেনারেশন৭১, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:১৬



"জাতীয় ঐক্য" বলতে ড: ইউনুস সাধারণ মানুষের ঐক্যের কথা বলছেন না; ইহার দ্বারা তিনি মুলত: আওয়ামী লীগ বিরোধী দলগুলো থেকে "জাতীয় সরকার" গড়ে তোলার কথা বলছেন; তিনি সেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

একুশ বছর

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:৩৬



একুশ বছর—
সাত হাজার ছয়শত পঁয়ষট্টি রাত
আমি নির্ঘুম— চোখের নিচে কালো দাগ সাক্ষী।
আজও ভেসে ওঠে তোমার প্রিয় হাসিমুখ
আর কাজল কালো এণাক্ষী।

প্রথম যেদিন আমি, তোমার পানে চেয়েছি
তোমার দুচোখে আমি, আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

"বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী".....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২২

"বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী".....

ভারতীয় উপমহাদেশ প্রায় ২০০ বছর বৃটিশদের অধীনে ছিলো। দীর্ঘ বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে ১৯৪৭ সালে বৃটিশ শাসনের অবসান হলে আমরা পরাধীনতা থেকে মুক্তি পেলাম। আবার দুই যুগ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশী হিন্দুরা কেন শক্তভাবে কথা বলতে পারছেনা?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২১


বাংলাদেশের হিন্দুরা বলতে গেলে ৯৫ পার্সেন্ট আম্লিগকে ভোটি দেয় ইহা ধ্রুবসত্য। অনেকেই হয়তো দ্বিমত পোষণ করতে পারে সেটা তার নিতান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। তারা সবসময়ই ভাবে আম্লিগ তাদের রক্ষাকর্তা কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্বে ভুয়া তথ্য ছড়ানোয় শীর্ষে ভারত

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৪




বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ভুয়া তথ্য ছড়ানো দেশের তালিকার শীর্ষস্থানে রয়েছে ভারত। মাইক্রোসফটের সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। সমীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ভুয়া খবর ছড়ায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×