গোটা দেশে একটাও কি শান্ত, নিরিবিলি, সুন্দর জায়গা নেই?
সব পচে গেছে? সব নষ্ট হয়ে গেছে? বেঁচে থেকে তবে আর কী হবে?
অন্ধ অবাধ্য এক মমতা কেন যে মনের মধ্যে টলটল করে!
ঠাণ্ডা হাওয়া ছেড়েছে। কুকুররা ঝগড়া করছে মোড়ে।
গলির মুখে ট্রাক থেকে নামছে ইট, বালু, সিমেন্ট আর রড
আকাশ ভরা অন্ধকার ফুটে আছে,
মানুষ কখনও পাপ থেকে মুক্তি পায় না,
কিছুতেই শুদ্ধ হয় না। মুক্ত হয় না।
যার মনে যত প্যাঁচ-ঘোচ,
যত কুটিলতা জটিলতা তার তত অসুখ।
তাবিজ, পানিপড়া, ঝাড়ফুকে অসুখ সারলে-
এত লোক ডাক্তারের কাছে যেত না,
হুজুরেরা অবুঝ শিশুর মাথা চিবিয়ে খাচ্ছে।
আজকালকার স্ত্রীরা ভালো নয়। অথচ মায়ের তুলনা হয় না।
স্ত্রীর কাছ থেকে চোখ ফেরালেই,
ওপাশে শরতের নীল আকাশ জুড়ে অফুরন্ত স্বচ্ছ রোদ,
নিজের কন্যাকে ক্ষমা করা যায়, স্ত্রীকে নয়;
মন্দ স্ত্রীলোক জীবন দুর্বিষহ করে দেয়।
পৃথিবীতে তোমার কেউ নেই। তুমি একটা বাস্টার্ড।
জানি, বড় ক্লান্ত তুমি, বড় হতাশা, বড় ধৈর্যহীন।
বন্ধু যা খুশি করো। শুধু মরার কথা ভেবো না। বেঁচে থাকো।
আনন্দ করো। উপভোগ করো। ক্ষমা করে দাও।
আর ভালোবেসে যাও।
(আমি কবিতা লিখতে জানি না। কিন্তু আমার কবিতা লিখতে ইচ্ছা করে। তাই কবিতার মতোন করে দুই চার লাইন লিখতে চেষ্টা করি। হয় না। কিছুই হয় না। তবে আমি চেষ্টা অব্যহত রাখি। রবিনস ক্রুসো'র মতো আমার ধৈর্য্য। নিজেকে বলি, দেরী হোক- যায়নি সময়।)
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৮