কোটি কোটি মেয়ের মনের গোপন প্রশ্ন- কিভাবে স্বামীর প্রিয় হওয়া যাবে?
সহজ সরল একটা প্রশ্ন। কিন্তু এর গভীরতা অনেক। শুধু স্বামীর কাছে প্রিয় হলে হবে না। সকলের কাছেই প্রিয় হতে হবে। বাবা মা, ভাই বোন এবং আত্মীয়স্বজনের কাছে প্রিয় হতে হবে। এরপর ধরুন, শ্বশুড় শ্বাশুড়ি। দেবর-ননদ-জা। সবার কাছেই প্রিয় হতে হবে। একবার ভেবে দেখেছেন, কেন তাদের কাছে আপনার প্রিয় হতে হবে? আপনি কেন তাদের কাছে প্রিয় হবেন না? আসলে আমাদের পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো থাকতে হবে। একলা ভালো থাকা, আসলে ভালো নয়। লক্ষ্মী স্ত্রীরা চায় স্বামীর কাছে প্রিয় হতে। হ্যাঁ প্রিয় হওয়া ভালো কিন্তু দাসী বান্দী হওয়া ভালো নয়। স্বামীরা কি কখনও ভাবে আমি আমার স্ত্রীর কাছে প্রিয় হবো।
সবার আগে মেয়েদের উচিত নিজের একটা ব্যাক্তিত্ব তৈরি করা।
শুধু মাত্র স্বামীর সেবা যত্ন করে জীবন পার করে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। স্বামীর মন জুগিয়ে চলার জন্য কি মেয়েদের জন্ম হয়েছে? মেয়েদের নিজের একটা নিজস্ব দুনিয়া আছে। মেয়েদের কি প্রতিষ্ঠত হতে ইচ্ছা করে না? নিজের একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করতে ইচ্ছা করে না? ভালো একটা চাকরী অথবা বিজনেস করতে ইচ্ছা করে না? টাকা ইনকাম করতে ইচ্ছা করে না? নিজের ইচ্ছা মতো টাকা খরচ করতে ইচ্ছা করে না? নিজের বাবা মা ভাই বোনের জন্য কিছু করতে ইচ্ছা করে না? সমাজের জন্য ভালো কিছু করতে ইচ্ছা করে না? আর কতকাল মেয়েরা বিয়ের আগে নিজের বাবা এবং আর বিয়ের পর স্বামীর কাছে হাত পাতবে? এখন যুগ বদলে গেছে। সময় বদলে গেছে। মেয়েদের ঘর সংসারের বাইরেও কিছু করা প্রয়োজন।
আপনার স্বামী কি একজন ভালো মানুষ?
মানবিক ও হৃদয়বান? আপনাদের বিবাহিত জীবন কি জটিলতা কুটিলতা মুক্ত? আনন্দময়? বেশির ভাগ স্বামীরা চায়- তার স্ত্রী তার কথা মতো উঠুক বসুক। স্বামীরা স্ত্রীকে হুকুম করতে ভালোবাসে। আমাকে চা দাও, মোজা খুঁজে পাচ্ছি না, চিরুনী কই, কি রান্না করছো- ভালো লাগে না, লবন বেশি হয়েছে, লবন কম হয়েছে, চায়ে চিনি দাও নাই, স্বামীর রায়নাক্কা সামাল দিতে দিতে স্ত্রীর দিন শেষ হয়ে যায়। অথচ স্বামীর উচিৎ- মোজা টা নিজের খুঁজে বের করা। চায়ে চিনি কম হলে, এক চামুচ চিনি চায়ে মিশিয়ে নেওয়া। এসব না করে স্বামী শুধু হুকুম দিয়ে যাবে। স্বামীগিরি যারা ফলায় না তারাই ভালো স্বামী। তারাই একজন ভালো মানুষ। মেয়েদের উচিৎ একজন সফল নারী হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা। চাকরী বা বিজনেস করা সেই সাথে ঘর সংসারও করবে। অনেকেই করছে। পারছে। মেয়েরা শুধুমাত্র কেন স্বামীর পদসেবা করে জীবন পার করে দিবে?
নির্বোধ স্বামীরা যেটা পছন্দ করে-
স্বামী অফিস থেকে বাসায় ফিরলে তার জুতো খুলে দিবে, মুজো খুলে দেবে। চা নাস্তা বানিয়ে দিবে। একেকদিন একেক রকম খাবার। কোনো দিন নুডুলস, কোনোদিন পাকোরা, কোনদিন মোগলাই। রান্না করার আগে স্বামীর কাছে জানতে চাইবে, আজ তার কি খেতে ইচ্ছা করছে? স্বামীর পা টিপে দিবে। স্বামীর কাছে জামা কাপড়, গহনা, টাকা পয়সা কিচ্ছু চাইবে না। কিছু দিতে চাইলেও মানা করবে। স্বামীকে তোয়াজ করে চলবে। স্বামী যদি রাতে বিশেষ কিছু চায় দিবে, যেভাবে চাইবে সেভাবেই রাজী হবে। মানা করবে না। শ্বশুর শ্বাশুড়ির সেবা যত্ন করবে। এমন সেবা যত্ন করবে যেন দেখলে মনে হবে- ওদের জন্য নিজের জীবন দিয়ে দিচ্ছেন। এভাবে চলাচল করলে- স্বামীর প্রিয় হওয়া যায়। এগুলো আসলে মধ্যযুগীয় বর্বতা।
তবে স্বামীদের কিছু সমস্যা আছে।
স্ত্রীরা যতই স্বামীর প্রিয় হয়ে উঠুক না কেন- স্বামী বাইরে ম্যাও প্যাও করবেই। পুরুষ মূলত কুত্তার জাত। ঘরে যত ভালো খাবার থাকুক না কেন, সে বাইরের গু'তে মুখ দেবেই। কাজেই স্বামীকে ১০০% বিশ্বাস করা যাবে না। সুযোগ পেলেই সে গোপনে ম্যাও প্যাও করবেই। কাজেই এত স্বামী স্বামী করে লাভ নাই। নিজেকে যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তুলুন। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করুণ। যেন আপনাকে কারো মন জুগিয়ে চলতে না হয়। যেন কাউকে তেল দিতে না হয়। নিজের বাহু বল'ই আসল বল। অন্যের সাহায্য সহযোগিতা ছাড়া চলাই আসল জীবন। কারো সেবাদাসী হওয়ার দরকার নাই। নিজেকে উপযুক্ত কর গড়ে তুলুন। যেন এই সমাজের মানুষ আপনাকে বাহবা দেয়।