
শেখ হাসিনা যতদিন বেঁচে আছেন, ততদিন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকবে।
এরকমটাই দেশের মানুষের ধারনা। শেখ হাসিনার মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে আওয়ামীলীগ ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে শুরু করবে। আজ যে সমস্ত মন্ত্রী এমপি বড় বড় কথা বলছেন, চ্যাটাং চ্যাটাং কথা বলছেন, যেমন- ড. হাছান মাহমুদ, মোস্তস্ফা জব্বার, আসাদুজ্জামান খান কামাল, জুয়ানেদ আহমেদ পলক, দীপু মনিসহ আওয়ামীলীগের সমস্ত নেতা, মন্ত্রী, এমপিদের হদিশ পাওয়া যাবে না। শেখ হসিনার মৃত্যুর পরপর সমস্ত আওয়ামীলীগের নেতা পালাবে। অনেক সরকারী আমলারাও পালাবে। আর ছাত্রলীগ দৌড়াবে। অনেকেই মুখোশ বদলে নেবে। সহজ সরল সত্য কথা হলো- শেখ হাসিনার মৃত্যুর পর আওয়ামীলীগের হাল ধরার যোগ্য কেউ নেই। দেশ থেকে সব নেতারা পালাবে। তবে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
আগামী জাতীয় নির্বাচন EVM মেশিনের মাধ্যমে হবে।
এই EVM মেশিন পর্যন্ত শেখ হাসিনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যেতে পারবে না। EVM মেশিনে সুবিধা বেশি। আওয়ামীলীগের কষ্ট কম হবে এবং সময় কম লাগবে। আমি রাজনীতি করি না। কোনো রাজনৈতিক দলকেই সমর্থন করি না। আমার মতে, বাংলাদেশে কার্যকর ও সৎ কোনো রাজনৈতিক দল নেই। আওয়ামীলীগের লোকজন কি দূর্নীতি করে নাই? ছাত্রলীগ কি সাধু? প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে ছাত্রলীগ কি করে বেড়াচ্ছে? সবকিছুরই শেষ আছে। সাদ্দাম হোসেন, গাদ্দাফিরাও পতনের কয়েক মাস আগে বুঝতে পারেনি তাদের এতো নির্মম পরিণতি হবে। শেখ হাসিনার বয়স হয়েছে, তিনি মৃত্যুর কাছাকাছি। বলা যায়, শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া আর রওশন এরশাদের দিন একদম শেষের দিকে। তাদের এক পা কবরে। এখন নতুন নেতৃত্ব ক্ষমতায় আসবে।
দেশে আবার ১/১১ এর মতো পরিস্থিতি তৈরি হোক, সেটা কেউ চায় না।
দেশের ভালোর জন্য পরিবারতন্ত্র থেকে বের হয়ে একটি তৃতীয় শক্তির উত্থান ঘটার সম্ভবনা আছে। সবাইকে অবাক করে দিয়ে- ড. মোঃ ইউনূস বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে যেতে পারেন। নাকি আপনারা তারেক জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান? শেখ হাসিনার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী সমস্ত দূর্নীতিবাজদের গ্রেফতার করবেন। এবং তাদের সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করবেন। নতুন সরকার বাংলাদেশে ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করবে। সেনাবাহিনীর দেশপ্রেমিক অফিসাররা আর কত দিন হাত পা গুটিয়ে, চুপ করে বসে থাকবেন? আগামী কয়েক বছরে বাংলাদেশে অনেক রকমের পরিবর্তন আসবে। যা বাংলাদেশের মানুষ কখনও ভাবেনি। দেশের অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখবে ভারত, চীন ও আমেরিকা।
শেখ হাসিনা যদি নিজ ইচ্ছায় রাজনীতি ছেড়ে দেন-
তাহলে শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড ও বিডিআর বিদ্রোহ ইস্যুতে তাকে কারাগারে নেওয়া হবে। আর জামাত শিবির চাইবে চিরতরে বাংলাদেশ থেকে আওয়ামীলীগের নাম মুছে দিতে। ৭৫ সালে আওয়ামীলীগের অনেক লোকজন পল্টি দিয়েছিলো। শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে নামলে বহু আওয়ামীলীগার পলটি দেবে। শেখ হাসিনার মৃত্যুর মধ্যে বাংলাদেশের রাজনীতি বদলে যাবে। প্রকৃতির নিয়মে সব হবে। সেটা হয়তো ২০২৮ সালেই এরকমটা হবে। যদিও অনেকের ধারনা শেখ হাসিনা ২০৩১ পর্যন্ত বংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থকবেন। তবে আমার বিশ্বাস যত দিন শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন, আওয়ামীলীগকে কেউ উৎখাত করতে পারবে না। নো নেভার। সেনাবাহিনীও না। উনি উন্নত জীবনযাপন করছেন, উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছেন। তাই উনি হয়তো ৮০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকবেন।
যারা শেখ হাসিনার পতন চান-
দেশে অন্য কোনো সরকার এলে কি দূর্নীতি হবে না? নতুন করে তখন কি নব্যধনী সৃষ্টি হবে না? লোকজন কি ফুটপাতে ঘুমাবে না? দেশের টাকা কি বিদেশে পাচার হবে না? দেশে বেকার থাকবে না? কালো টাকা দিয়ে নতুন নতুন টিভি চ্যানেল, অনলাইন নিউজপোর্টাল/ দৈনিক পত্রিকা বের হবে না? সহজ সরল সত্য কথা হলো- এই বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে একেবারে আন্তর্জাতিক মানের অর্থনৈতিক শ্রেণী বৈষম্য তৈরি হয়েছে গত ১২ বছরে। এই বিভাজনের ফলে যারা লাভবান হয়েছেন, তারা কোনোদিনও চাইবেন না সরকার বদল হোক। তাঁরা শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রাখবেন। তার জন্য দোয়া করবেন। তার নামে সিন্নী বিলাবেন। আমি চাই এই বাংলাদেশে যেন সবাই আনন্দ নিয়ে বেঁচে থাকতে পারে। তাঁরা যেন ভাতে কষ্ট না পায়, কাপড়ে কষ্ট না পায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৩৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




