
বুদ্ধিমান মানুষেরা, বিদ্ধান মানুষেরা সব গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে আসে।
এবং অল্প কিছু মানুষ প্রবাসী হয়। ফলে গ্রাম ফাকা ও অন্ধকার হয়ে যায়। আজেবাজে লোকেরা সেখানে রাজত্ব করে। ভুল শিক্ষা, ভুল রাজনীতি, ভুল ধর্ম, ভুল নৈতিকতা নষ্ট করে দিচ্ছে আমাদের গ্রামগুলোকে। খেয়াল করলে দেখা যায়, থার্ড গ্রেড লোকজন গ্রাম চালাচ্ছে। আমার রাগ মূলত আহাম্মক মানুষদের উপরে। শেখ হাসিনা বলেছেন, গ্রাম হবে শহর। গ্রাম বদলে যেতে শুরুর করেছে। সাহিত্যের অজপাড়া গা বলতে এখন আর কিছু নেই। মাটির রাস্তা গুলো হয়ে গেছে পাকা রাস্তা।
মানুষ শহরে কেন আসে?
হায়ার এডুকেশন, বেটার জব অপরচুনিটি, হায়ার স্ট্যাটাস। একবার গ্রাম থেকে ফিরে এলে, আর যাওয়া হয় না। শহর মানুষকে ধরে রাখে। অথচ শহরের বাতাস বিষিয়ে উঠেছে। শহরের মানুষ দুষিত মানুষ। দুষিত মানুষদের শাস্তি দিবে প্রকৃতি। প্রকৃতির নিয়মেই তারা কাত হয়ে পড়ে যাবে। চারিদিকে শত শত মৃতদেহ পড়ে থাকবে, তাদের সরানোর লোক পাওয়া যাবে না। ঢাকা ছোট একটা শহর প্রায় দু কোটি লোকের বাস এখানে। ভাবা যায়! রাস্তায় বের হলে শুধু মানুষের জটলা। আমার দম বন্ধ হয়ে আসে।
রাজনীতিকরা তাদের কুটকচালিতে বন্ধী-
আমলারা ব্যস্ত প্রশাসনিক কাজে আর সাধারণ মানুষ অন্নবস্ত্রের বাইরে কিছুই ভাবতে পারে না। মূলত সমাজের জ্ঞানী মানুষেরা ঈশ্বরের বিকল্প। আধুনিক বিজ্ঞান অনেক দূর এগিয়ে গেলেও ধর্ম মানুষকে বর্বর, আহাম্মক ও নির্বোধ করে দিচ্ছে। লোকজন বুঝে না আমার চোখে গোয়েন্দার পর্যবেক্ষণ আছে। আমি মাঝে মাঝে নিজেকে প্রশ্ন করি- যদি আমার দূর্নীতি করার সুযোগ থাকতো তাহলে আমি কি দূর্নীতি করতাম? না আমি দূর্নীতি করতাম না। মন্দ কাজ থেকে আমি সব সময়ই দূরে থেকেছি।
অনেকদিন আগে একটা দৃশ্য দেখেছিলাম।
দৃশ্যটা এই রকম- বুড়ো বাবা মৃত্যু শয্যায়। গাঁজা খেয়ে ছেলে বাবার দুই পা জড়িয়ে ধরলো। ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদতে কাদতে বলল, আমি কুলাঙ্গার। বেইমান। একটু কষ্ট করে ঊঠে আমাকে জুতাপেটা করুন বাবা। দু গালে ঠাস ঠাস থাবড়া দিন। আমি পাপী। বাবা বললেন, মরা কান্না শুরু করলি ক্যান? যা তোর বউকে বলল খেজুরের গুড় দিয়ে পায়েস রান্না করতে। আমি খাবো। ছেলে দৌড়ে গেলো বাজারে খাটি খেজুরের গুড় আর দুধ আনতে। মৃত্যুর কাছাকাছি গিয়ে একলোক বলছে- পায়েস খাবো।
বেশ কয়েকদিন ধরে বাসায় আমি একা।
সুরভি গেছে তার বাবার বাড়ি। ঘুম আসে না। আমি এপাশ ওপাশ করি। মাঝে মাঝে মোবাইলে সময় দেখি। একসময় মসজিদে ফযরের আযান দেয়। তখন তন্দ্রা তন্দ্রা ভাব আসে। আমি ঘুমিয়ে যাই। ঘুমিয়ে গেলেও টের পাই, কে যেন আমার মাথার কাছে বসে আছে। আমার মাথায় পরম ভালোবাসায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। আমার চোখ মেলে তাকিয়ে দেখতে ইচ্ছা করে না। বুঝতে পারি একটা মেয়ে। শরীর থেকে সুন্দর গন্ধ আসে। পুরো ঘর ঠান্ডা হয়ে যায়। তবু আমি চোখ মেলে তাকাই না। গভীর ঘুমে তলিয়ে যাইপালী
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ২:০১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




