
আপনি কি ঈশ্বর বিশ্বাস করেন?
হঠাৎ এ কথা কেন?
ডারউইন থেকে করে বড় বড় বিজ্ঞানীরা কেউই সৃষ্টিতত্ত্বকে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন নাই।
এ বিষয়ে আমার নিজস্ব কোনো মতামত নেই। আসলে ঈশ্বর নিয়ে ভাবতে ইচ্ছা করে না।
আমার আবার এসব নিয়েখুব ভাবতে ইচ্ছা করে।
আমার ঈশ্বরের কথা মনেই আসে না।
কেন আসে না? এই যে কি সুন্দর পৃথিবী, চারদিকে কত প্রান, সমুদ্র অথবা মহাকাশ কত রহস্যময়! এসব দেখে মনে প্রশ্ন আসে না?
না আসে না।
এসব নিয়ে ভাবা দরকার।
আচ্ছা, আপনাকে একটা ঘটনা বলি। মেঘলা আকাশ! বনগ্রাম রেল স্টেশনে বসে আছি। ট্রেনের অপেক্ষায়। আমার মতো আরো কিছু লোক অপেক্ষায় ছিলো। হঠাৎ শুরু হলো বৃষ্টি। স্টেশনে থাকা লোকজন দৌড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে গেলো। আমি কোথাও গেলাম না। বৃষ্টিতে ভিজতে থাকলাম। অথচ আমার হাতে ছাতা। মুগ্ধ হয়ে দেখছি, কয়েকটা চড়ুই পাখিও আমার মতো বৃষ্টিতে ভিজছে! কোনো পাখি তো ঝড় বৃষ্টিতে ভিজে না। এই চড়ুই গুলো ভিজছে কেন!
একসময় মানুষ পিপড়ার চলাচল দেখে বুঝে নিতো, বন্যা আসছে। চড়ুই পাখি বৃষ্টিতে ভিজছে, কোন বিপদ কি আসন্ন? এই বৃষ্টিতে ভেজা চড়ুই পাখির সাথে বিপদের কি সম্পর্ক থাকতে পারে? প্রবল বৃষ্টিতে চারপাশ আবছা এবং আমি অন্যমনস্ক। যাইহোক, ট্রেন এখনো আসেনি। এটাই কি ঈশ্বর চেয়েছেন? আমি ঈশ্বরের চিন্তায় না গিয়ে ভেজা মাটির গন্ধ উপভোগ করতে লাগলাম।
একজন অন্ধকে যদি বলা হয়, তুমি কি চাও? যা চাইবে তাই পাবে। অন্ধ পৃথিবীর কোনো সম্পদ চাইবে না, টাকা পয়সা চাইবে না। সে বলবে আমার চোখ দুটো ঠিক করে দাও। খ্যাতি সফলতার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুস্থ থাকা। সুস্থ থাকতে গিয়ে নারী পুরুষ অভিনয় করে। অভিনয় না জানলে জগৎ সংসার থেমে যেত।
একবার এক জ্যোতিষীর দেখা পেয়েছিলাম, উনি টাকা পয়সা ছাড়া আমার হাত দেখে দিলেন। আমি বললাম দেখুন তো আমার কি অপঘাতে মৃত্যু লেখা আছে নাকি? জ্যোতিষী মন দিয়ে আমার হাতখানা পাচ মিনিট দেখলেন। তারপর একটু হেসে বললেন অপঘাতে মরবেন না। আমি বললাম, আমায় দিয়ে কি ব্যবসা হবে? জ্যোতিষী বললেন, ব্যবসা না, আপনাকে দিয়ে কোনো কিছুই হবে না।
এক মেয়ে বলল, আচ্ছা আমি দেখতে কেমন?
তুমি দেখতে নদীর মতো সুন্দর।
তাহলে আমাকে পাত্তা দাও কেন? আসলে আমি দেখতে সুন্দর নই।
আমি জোর দিয়ে বললাম, প্রতিটা মেয়েই দেখতে সুন্দর।
মেয়েটা বলল, তাহলে আমাকে বিয়ে করবে? কথা দাও।
মেয়েদের কি ঘর সংসার ছাড়া আর কিছু করার নেই? তাছাড়া বিয়ের পর কত ভয়, উদ্বেগ, অনিশ্চয়তা। নিজের পরিবার ছেড়ে, অনেক দায়দায়িত্ব নিতে হয়। সমাজের বেশির ভাগ পুরুষ মেয়েদের সত্যিকারের কষ্ট বুঝতে পারে না। মেয়েদের সমস্যা হলো, বিয়ের জন্য সঠিক পুরুষ নির্বাচন করতে পারে না। এবং নিজেকে যোগ্য ও দক্ষ করার আগেই প্রেম ভালোবাসা করে বিয়ে করে ফেলে। এজন্য ভুগতে হয় আমৃত্যু। মেয়েদের মন স্বভাবতই এলোমেলো। তারা চিন্তা ভাবনা গুলোকে পর্যায়ক্রমে সাজাতে পারে না বলে সিদ্ধান্তে আসতে দেরি হয় বা কখনোই আসতে পারে না।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০২৩ রাত ৮:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




