আজ ঈদের দিন।
আকাশ মেঘলা। সারাদিনই কম বেশি বৃষ্টি হবে। আর বৃষ্টি হবে না কেন, আষাঢ় মাস যে! গতকাল তো সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়। অনেক চিপা গলিতে পানিও জমে গিয়েছিলো। আমি ছাতা নিয়ে সেই পানিতে হেটেছি। ঢাকা শহরে রাস্তায় কোরবানী দেওয়া হয়। গবর, রক্ত, খড়, ঘাস, গরুর নাড়িভুড়ি, আর বৃষ্টির পানি মিলে গজব অবস্থা। এসবের সাথে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এখন আর গায়ে লাগে না। যেমন গায়ে লাগে না রাস্তার ভয়ানক জ্যাম। আমরা মেনে নিয়েছি। ছোট একটা দেশ, মানুষ বেশি। কিছু সমস্যা তো থাকবেই। তবে এই বিপুল জনসংখ্যাকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা চীনকে ছাড়িয়ে যেতে পারতাম।
বাসায় সবাই- আছে, তবু আমি একা।
কারন আমার কন্যা নেই। সে এবার নানা বাড়িতে ঈদ করছে। আমার একটুও ভালো লাগছে না। ইচ্ছা করছে ছুটে মেয়ের কাছে চলে যাই। অবশ্য ঈদের দুদিন আগে গিয়ে মেয়েকে দেখে এসেছি। মেয়েকে নিয়ে বেড়িবাঁধ এলাকা ঘুরছি। তূরাগ নদী। নদীর দুপাশে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। পথচারী যাওয়া আসার জন্য সুন্দর রাস্তা করা হচ্ছে। এই সরকার গত ১৩ বছরে যে অবকাঠামো উন্নয়ন করেছে, তা আগের কোনো সরকার করে নাই। মিরপুর কালশী এলাকা কি জঘন্য ছিলো। সে এলাকায় এখন গেলে অবাক হয়ে যেতে হয়। কি সুন্দর রাস্তা হয়েছে। ব্রীজ হয়েছে। আওয়ামীলীগ সরকারই ভালো। আর যাইহোক উন্নয়ন তো হচ্ছে।
আমাদের গরু এখনও জবো হয়নি।
কসাই আসেনি। সে বলেছিলো ১১ টায় আসবে। এখন ১টা বাজে। আমার ধারনা কসাই ৩ টার আগে আসবে না। অবশ্য কসাই আসা না আসা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। গরু আমি ধরি না, মাংস কাটি না বা বিলি করি না। এবছর গরুর দাম অনেক গেছে। এই দাম আর কমবে না। প্রতি বছর বাড়তেই থাকবে। এবার দেখলাম- এক লাখ টাকার কমে কোনো গরু নেই। যে গরু ২/৩ বছর আগেও ৬০/৬৫ হাজার টাকা দিয়ে সহজেই পাওয়া যেতো, সেই গরু এখন এক লাখ টাকা। লোকজন গড়ে দেড় লাখ টাকা দিয়ে গরু কিনেছে। আমাদের গরুর দাম কত বলেন তো? গরু আমি কিনতে যাই না। ছোট ভাই যায়। এসবে তার উৎসাহের ক্লান্তি নেই। তবে আমি হাঁট পরিদর্শনে যাই। এবার দেখলাম এক বেপারি ৩০ টা গরু এনেছে। তার একটা গরু মরে গেছে।
যাইহোক, আমি নিচে যাচ্ছি, মা ডাকছে।
বাসায় অনেক কিছু রান্না হয়েছে। সেমাই, নুডুলস, খিচুড়ি, চটপতি, পায়েস আর হাবিজাবি কি কি যেন। আমার কিছুই খেতে ইচ্ছা করছে না। সকাল থেকে শুধু দু কাপ চা খেয়েছি। গতকাল থেকে আমের দাম হঠাত বেড়ে গেছে। ১০০ থেকে ১২০ টাকা করে কেজি। অথচ ২/৩ দিন আগে এই আমের দাম ছিলো ৫০/৬০ টাকা কেজি। আম শেষের দিকে এজন্যই দাম বেড়েছে। বাজারে এখন হাড়িভাঙ্গা আর আম্রপলি আম প্রচুর দেখা যাচ্ছে। কাঁচা মরিচের দাম রেকর্ড পরিমান বেড়েছে। ৪৫০ টাকা কেজি। আমি সব সময় বিশ টাকার কাঁচা মরিচ কিনি। এক সপ্তাহ চলে যায়। এবার আড়াই শো গ্রাম কাঁচা মরিচ কিনেছি ১২০ টাকা দিয়ে। আজব! আবার কখনও দেখা যায়, ৩০ টাকা দিয়ে এক কেজি কাঁচা মরিচ পাওয়া যায়। কাঁচা মরিচের দাম নিয়ে আমি চিন্তিত নই।
ব্লগাদের জানাই ঈদের শুভেচ্ছা।
মডারেটর সাহেবকে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা। চাঁদগাজী/সোনাগাজী আজও কমেন্ট ব্যান মুক্ত হলেন না এটা নিয়ে আমি কিছুটা বিক্ষিপ্ত। জানা আপার কাছে একটা মেইল পাঠিয়েছিলাম। সম্ভবত উক্ত মেইল এখন তিনি আর ব্যবহার করেন না। কামাল১৮ সাহেবের মন্তব্য আমার ভালো লাগে। ব্লগার ইফরতেখার ভূঁইয়া সামুতে ১৭ বছর পার করে দিয়েছেন, তাকে অভিনন্দন। ব্লগার সত্যপথিক শাইয়্যান ভাই একজন মানবিক ও হৃদয়বান মানুষ। তাকে ঈদের শুভেচ্ছা। ব্লগার শার্দূল ২২ দারুন মন্তব্য করেন। তার করা মন্তব্য গুলো আমি খুঁজে খুজে পড়ি। জুলভার্ন সাহেব সামুতে এখনও আসলেন না। ব্লগার নুরু সাহেব মারা যাওয়াতে আমি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। উনার বয়স আমার বাবার সমান হলেও উনি আমার সাথে বন্ধুর মত চলতেন। ব্লগে কোনো ক্যাচাল হলেই উনি আমাকে সর্তক করে দিতেন। সামুতে যারা ক্যাচাল করে বেশ কিছু দিন ধরে তাদের দেখছি না। ভালো হয়েছে। আপদ বিদায় হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:২১