somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

বাংলাদেশের কোন জেলায় বিয়ে করলে জামাই আদর বেশি পাওয়া যাবে?

০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



কারো কাছ থেকে আদর ভালোবাসা পায়ার জন্য-
সবার আগে আপনাকে যোগ্য ও দক্ষ হতে হবে। একজন সফল মানুষ হতে হবে। একজন ভালো মানুষ হতে হবে। হতে হবে একজন মানবিক ও হৃদয়বান। বাংলাদেশে 'জামাই আদর' বলে একটা কথা আছে। বিয়ের পর জামাই শ্বশুর বাড়িতে বেশ খাতির যত্ন পায়। আবার কিছু কিছু জামাই পায় ঝাড়ুর বারি। হয়তো জামাইটা ভালো না। লোভী, বদ, নেশাখোর। অথবা নির্বোধ। মেয়েটাকে অসুখী করে রেখেছে। কাজেই মন্দ জামাইরা শ্বশুর বাড়তে আদর বা খাতির যত্ন পায় না। শ্বশুর বাড়িতে আদর পেতে হলে- একজন প্রতিষ্ঠিত মানুষ হতে হবে। এই সমাজে কেউ কাউকে এমনি এমনি খাতির যত্ন করে না। তা সে জমাই হোক বা না হোক। আসলে সব কিছু অর্জন করে নিতে হয়। আমাদের সমাজটা ভালো না। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা নিয়ম গুলো বদলানো দরকার।

আমার নিজের কথা বলি- আমি কোনো যৌতুক নেইনি।
এজন্য শ্বশুর বাড়িতে গেলে আমি বেশ খাতির যত্ন পাই। শ্বশুর বাড়িতে আমি পা দেওয়া মাত্র আমার শ্বশুর বাজারে ছুটেন। মাঝে মাঝে এমনও হয়- শ্বশুর মশাই মাত্র বাজার থেকে ফিরেছেন। তবু আমাকে দেখার পর আবার বাজারে যান। বলেন জামাই এসেছে। আবার নতুন করে বাজারে যেতে হবে। এমনকি আমার শ্বশুর মাঝে মাঝে আমাকে ফোন করে বলেন, একটা দেশী পাঙ্গাশ মাছ পেয়েছি। তুমি চলে এসো। আরেকদিন ফোন করে বলবেন, আজ দেশী কই মাছ পেয়েছি। বাসায় চলে এসো। যদি আমি শ্বশুর বাড়ি থেকে যৌতুক নিতাম, তাহলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমাকে ভালোবাসতো না। আদর করতো না। বেশির ভাগ ছেলেরা যৌতুক নিয়ে মস্ত এক ভুল করে ফেলে। যৌতুক একটা ভুল প্রথা। অন্যায়। ভীষন অন্যায়। ধারধেনা করে বড় করে বিয়ের অনুষ্ঠান করাটা জাস্ট বেকুবি। আজকাল তো বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রচুর খরচ করা একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আপনি যে জেলাতে বিয়ে করেন না কেন-
আপনি যদি একজন অসফল মানুষ হোন, তাহলে শ্বশুর বাড়ি কেন আপনি কোথাও আদর যত্ন পাবেন না। যারা বললেন, অমুক জেলায় বিয়ে করলে বেশী খাতির যত্ন পাওয়া যায়। আদর পাওয়া যায়, তাঁরা ১০০% ভুল বলেন। অযোগ্য অদক্ষ লোকের কোথাও খাতির যত্ন নাই। ভালোবাসা নাই। সমাদর নাই। কদর নাই। এমনকি নিজের বাড়িতে আদর পাবেন না। প্রতিষ্ঠিত, সফল, যোগ্য, দক্ষ লোকের খাতির সবখানে। কাজেই মানুষের কাছ থেকে আদর ভালোবাসা পেতে হলে, আগে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। আপনি হত দরিদ্র হলে নিজের স্ত্রীর কাছেও দাম পাবেন না। শ্বশুর বাড়ি তো দূরের কথা। যদি সত্যিকার জামাই আদর পেতে চান তাহলে নিজেকে সফল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন। একজন সফল মানুষ হয়ে আপনি যে জেলাতেই বিয়ে করেন না কেন আদর, খাতির, যত্ন পাবেন। অসফল ব্যাক্তি হলে আপনার কোথাও খাতির নাই।

আমাদের অঞ্চলে একটা প্রবাদ আছে-
'জাতের মেয়ে কালো ভালো, নদীর পানি ঘোলা ভালো'। এজন্য একটা শিক্ষিত মেয়েকে বিয়ে করতে হবে। একটা ভালো বংশের মেয়েকে বিয়ে করতে হবে। কালো হোক সমস্যা নাই। একটা ভালো মেয়েকে বিয়ে করতে হবে। যে মেয়েটা সহজ সরল। জটিলতা কুটিলতা মুক্ত। রান্না জানে। সামাজিকতা জানে। ঘর সংসার সামলাতে জানে। আধুনিক এবং কুসংস্কার মুক্ত। হাসিখুশি প্রানবন্ত। যে ভালোবাসতে জানে। ছাড় দিতে জানে। বুদ্ধিমতি। টেকনোলজি ও আধুনিক বিজ্ঞান সম্পর্কে ধারনা আছে। যে মেয়ের বাবা মা এবং ভাই বোনের রুচিবোধ আছে, শিক্ষা আছে। এরকম একটা পরিবারের মেয়ে বিয়ে করলে এবং আপনি যোগ্য ও দক্ষ হলে- জামাই আদর অবশ্যই পাবেন। ভালোবাসা পাবেন। কিন্তু কোনো কিছুই এমনি এমনি পাবেন না। সব আপনাকে অর্জন করে নিতে হবে। মোটকথা সব কিছু নির্ভর করছে আপনার উপর।

আমাদের এলাকায় এক ছেলে বিয়ে করেছে।
ছেলেটা ঘর জামাই থাকে। তারউপর কাজকাম কিছুই করে না। এই ছেলেটা শ্বশুরবাড়ি থেকে আদর, ভালোবাসা, সম্মান কিছুই পায় না। তাকে ভাঙ্গা কাঁপে চা খেতে দেওয়া হয়। ভাঙ্গা প্লেটে ভাত খেতে দেওয়া হয়। ঘর জামাই থাকার কারনে সুযোগ পেলেই তাকে নানান রকম অপমান সূচক কথা বলা হয়। ঘর জামাই থাকার অনেক যন্ত্রনা। স্ত্রী চাকরি করে। স্ত্রীর কাছ থেকে ঘর জামাই টাকা নেয়। বলে আমাদের ইসলাম ধর্মে নিয়ম আছে স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার। স্ত্রীর সম্পত্তি এক হিসেবে স্বামীর সম্পত্তি। আমাদের নবীজি অনেক দরিদ্র ছিলেন। বয়স্ক ধনী মহিলাকে বিয়ে করেছেন। তারপর স্ত্রীর কাছ থেকে নিয়মিত টাকা নিয়েছেন। একসময় ধর্মের দোহাই দিয়ে স্ত্রীকে ঘরে রেখেছেন। এবং স্ত্রীর ব্যবসা নিজের হাতে নিয়েছেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:০১
১৯টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?

মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×