somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

আজকের ডায়েরি - ১৫৭

২০ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



পাশের বাসায় বিয়ে হচ্ছে।
পুরো বাড়ি আলোকসজ্জা করেছে। আমি মনে মনে ভাবছি, অনেকদিন বিয়ের অনুষ্ঠানের দাওয়াত পাই না। দাওয়াত পেয়ে গেলাম। কিন্তু দাওয়াতে যেতে পারিব না। আমি কিছুটা অসুস্থ। প্রেসার বেড়ে যাচ্ছে। যখন তখন মাথা ঘুরায় আর চোখে ঝাপসা দেখি। কিছুটা দুর্বল লাগে। ডাক্তারের কাছে যাবো যাবো করে এক সপ্তাহ কাটিয়ে দিলাম। আসলে আমার কখনো অসুখ বিসুখ হয় না। শেষ কবে ডাক্তারের কাছে গিয়েছি, মনে পড়ে না। যাইহোক, গতকাল রাত থেকে হঠাৎ জ্বর হলো। কিছুটা শরীর ব্যথা। জ্বরের ওষুধ খেয়ে জ্বর কমিয়েছি। কিন্তু শরীরে জ্বালাপোড়া একটা ভাব আছে। যখন জ্বর আসে, মাথা ব্যথা শুরু হয়।

মা এমনিতেই অসুস্থ মানুষ।
কিডনির সমস্যা। প্রতিদিন অনেক গুলো ওষুধ খেতে হয়। এবং প্রতিমাসে অনেক গুলো টেস্ট করতে হয়। এর মধ্যে মায়ের আকাশ পাতাল জ্বর। সেই সাথে পুরো শরীর ব্যথা। একদিনে মা শুকিয়ে গেছে। হাটতে পারে না, এমন অবস্থা। মাকে কোনো রকমে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম। ডাক্তার অনেক গুলো টেস্ট দিলো। টেস্টের রিপোর্ট আসার পর ডাক্তার সিদ্ধান্ত নেবেন হাসপাতালে ভরতি করতে হবে কিনা। মায়ের ডেংগু জ্বর হয়নি। কিন্তু প্লাটিলেট কমে গেছে অনেক। মাকে হাসপাতালে ভরতি করানো হলো। মা বেশ অসুস্থ। আমরা চার ভাই মায়ের জন্য চিন্তিত। বাসার কাছে এক হাসপাতালে মাকে ভরতি করানো হয়েছে। সেই হাসপাতালের মান সরকারি হাসপাতালের কাছাকাছি।

বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় সব ঘরেই কারো না কারো জ্বর।
বর্ষাকালে মানুষের অসুখ বিসুখ বেশি হয়। ছোট ছোট বাচ্চারা জ্বরে আক্রান্ত। ওষুধ খেলে জ্বর কমে না। সাপোজিটর ব্যবহার করতে হয়। যুগের সাথে সাথে জ্বরের ধরন বদলে গেছে। যাইহোক, আমি জ্বর নিয়েই লিখতে বসেছি। জ্বর আমাকে কষ্ট দিচ্ছে না। আমাকে কষ্ট দিচ্ছে গোপালগঞ্জের ঘটনা। আর্মি কেন দেশের মানুষকে গুলি করে মারবে? আর্মির কাজ দেশের মানুষের নিরাপত্তা দেবে। গুলি করার মতো কোনো পরিস্থিতি হয়নি। ইহা অত্যন্ত দুখজনক। ইউনুস সাহেব রাজাকারদের ভালোবাসেন। এজন্য রাজাকাররা সমাবেশ করার সাহস পেয়েছে। শেখ হাসিনা তাদের দমিয়ে রাখতে পেরেছিলেন।

মিরপুরে এক কাজে গিয়েছি।
রাস্তায় প্রচুর জ্যাম। বাসায় কি করে ফিরবো, তাই ভাবছি। একলোক রাস্তায় ডাব বিক্রি করছে। বড় বড় ডাব। মাঝে মাঝে বাসার জন্য ডাব কিনি। কিন্তু আমি কখনো খাই না। কি মনে করে, ডাব বিক্রেতা কে বললাম- একটা ডাব দাও। পানি যেন বেশি হয় আর নারকেল যেন না হয়। একদম কচি ডাব দেবে। বিক্রেতা বেছে একটা ডাব দিলো। পুরো ডাব নিমিষে খেয়ে ফেললাম। দাম একটু বেশি নিলো। ১৫০ টাকা। জামাতের লোকজন মিছিল নিয়ে যাচ্ছে। দাড়িয়ে দাড়িয়ে ওদের দেখলাম। বর্ষাকাল, তাই এই রোদ, এই মেঘ। এই বৃষ্টি। সময় মধ্যদুপুর। এক রেস্টুরেন্ট থেকে বিরানীর ঘ্রান আসছে। খেতে বসলাম। খাবারের মান ভালো নয়। দুই নলা খেয়ে উঠে গেলাম।

মেয়ের জন্য আপেল কিনলাম।
ফারাজা আপেল পছন্দ করে। আমি বাসায় থাকলেই মেয়ে আমার কাছে একটা আপেল আর ছুরি নিয়ে এসে বলবে, বাবা আপেল কেটে দাও। অথচ সুরভিকে বলে না। লোকমানকে ফোন দিলাম। লোকমান আমার চুল কেটে দেয়। বললাম, চুল কাটা দরকার। লোকমান বলল, আজ তো রবিবার। রবিবার দুপুরবেলা সেলুন বন্ধ করে দেই। সাপ্তাহিক নিয়ম। আমি বললাম, আর কিছু সময় থাকো। আমি আসিতেছি। লোকমান চুল কেটে দিলো। চা এনে খাওয়ালো। সব সময় তাই করে। চা না খাইয়ে সে ছাড়বে না। বিনিময়ে তাকে দেশের পরিস্থিতি বলতে হয়। আমার কথা সে মন দিয়ে শুনে, এই বিষয়টা আমার ভালো লাগে। এমনকি লোকমান আমার কাছ থেকে কখনো চুলা কাটার জন্য কখনো টাকা নেয় না।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৫
১১টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজামী, মুজাহিদ, বেগম জিয়াও বিজয় দিবস পালন করেছিলো!!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২০



মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বেগম জিয়ার মুরগী মগজে এই যুদ্ধ সম্পর্কে কোন ধারণা ছিলো না; বেগম জিয়া বিশ্বাস করতো না যে, বাংগালীরা পাকীদের মতো শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে পরাজিত করতে পারে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার থেকে

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×