
ভবিষ্যৎ বলা কঠিন। তবে ধারণা করা যেতে পারে।
আগামী নির্বাচন কি হবে? যদিও ইউনুস সাহেব বলে দিয়েছেন ইদের পর নির্বাচন হবে। এদিকে অনেক লোক নাকি চায় নির্বাচনের দরকার নেই। ইউনুস সাহেবই আরো পাচ বছর ক্ষমতায় থাকুক। আমাদের শেখ হাসিনা হচ্ছেন, ইন্দিরা গান্ধী। সাহসী নারী। উনি হুট করে এসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাননি। উনার রাজনৈতিক ইতিহাস একদম মাঠ পর্যায় থেকে। অনেক আন্দোলন করেছেন উনি। আওয়ামী লীগের লোকজনের পক্ষে অন্য কাউকে ভোট দেওয়া সম্ভব নয়।
আমাদের দেশের ৩০% লোক আওয়ামী সাপোর্টার।
৩০% বিএনপির সাপোর্টার। ১০% জাপা আর জামাতের সাপোর্টার। এরা তাদের দল ভালো করলেও ভোট দিবে, খারাপ করলেও তাদের ভোট দিবে। কিন্তু ৩০% লোক নৌকা বা ধানের শীষে ভোট দিবে না। এরাই আসল ভোটার। শিক্ষিত জনগোষ্ঠী। এরা মানুষ দেখে বা প্রতীক দেখে ভোট দেয় না। এরা চিন্তা ভাবনা করে ভোট দেয়। কোন দল দেশের জন্য ভালো কাজ করবে। তাদের ভোট দিবে। মূলত নির্বাচনে কে জয়ী হবে এটা নির্ভর করে এই ৩৯% শিক্ষিত ও মানবিক ভোটারের ভোটে। এবার আওয়ামী লীগের লোকজন ভোট দিতে যাবে না।
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সাপোর্টাররা হয়তো ভোট দিবে না।
ঘরে বসে থাকবে। দেশের ৩০% লোক ভোট দিতে যাবে না। অর্থাৎ ৭০% ভোট পড়বে। এবার ভোটে মূলত লড়াই হবে জামায়াত আর বিএনপির সাথে। এনসিপি পোলাপান। এরা রাজনীতিই বুঝে না। আরো যেসব দল আছে সেগুলো দুধভাত। ইউনুস সাহেব রাষ্ট্র পরিচালনায় একদম অদক্ষ, অযোগ্য। তার কর্মকাণ্ড দেখলে মনে হয়, জামাত শিবিরের ইচ্ছায় উনি চলছেন। সমাজের কুৎসিত মানুষেরা ক্ষমতা ভালোবাসে। যারা অন্যায় করতে চায়, তারাই ক্ষমতা ভালোবাসে। সত্যিকারভাবে যারা দেশকে ভালোবাসে, তারা ক্ষমতা চায় না। তবে তারা দেশের জন্য কাজ করে যায়।
নির্বাচন হলে বিএনপি ক্ষমতায় আসিবে।
বিএনপি কি আওয়ামী লীগের চেয়ে ভালো দল? না, মোটেই না। বিএনপি উন্নয়ন বুঝে না। বুঝে শুধু দূর্নীতি। এদের অতীত ইতিহাস ভালো না। আওয়ামী লীগ দূর্নীতি করলেও উন্নয়ন বুঝে। জনগণ চায় উন্নতি। চায় ভালো থাকতে। চায় সুন্দর জীবন যাপন করতে। আমি বলব, জামাতের চেয়ে বিএনপি ভালো। বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগ ভালো। মন্দের ভালো হলেও আওয়ামী লীগ ভালো। শেখ হাসিনার কিছু সমস্যা আছে। উনি অযোগ্য অদক্ষদের ক্ষমতায় বসিয়েছেন। তার ভুলের জন্যই, আজ য়ার এই অবস্থা। দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ বিএনপির কোমর ভেঙে দিয়েছিলো। এবার জামাত আওয়ামী লীগের কোমর ভেঙে দিয়েছিয়ে।
নির্বাচন হবে।
কিন্তু নির্বাচনে কে জয়ী হবে সেটা ঠিক করবে আমেরিকান দূতাবাস। ফলাফল ঘোষণা করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। খাটি আওয়ামী লীগের লোকজন ভোট দিতে যাবে না। এবার ৩০% ভোট কম হবে। বিএনপি ক্ষমতায় এসে আগের মতো লুটপাট চালিয়ে যাবে। অর্থাৎ বাংলাদেশের মানুষ পিছিয়ে থাকবে। এই জাতির কপালে সুখ নাই। অন্যের গোলামি আর দালালি করেই এই জাতির জীবন যাচ্ছে। মিথ্যুক জাতি। যে মুক্তিযুদ্ধ করেনি, সেও নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করে। সে গত বছর জুলাই মাসে আন্দোলন করেনিও, সেও নিজেকে জুলাই যোদ্ধা দাবি করে। শুধু মাত্র মিথ্যা এই জাতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। সত্যের অনুসন্ধান যারা করে, তারাই খাটি যোদ্ধা এবং দেশপ্রেমিক।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:৫২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




