
১। ঢাকা শহরে কিছু হাসপাতাল আছে-
তাদের সার্ভিস অতি নিম্মমানের। এরা সঠিক সেবা না দিয়ে মানুষকে ঠকাচ্ছে। অথচ ঢাকার বাইরে থেকে চিকিৎসা নিতে আসে। ছোট একটা ঘর। তারা বলে কেবিন। এই কেবিনের ভাড়া নিচ্ছে প্রতিদিন চার হাজার টাকা করে। চিকিৎসা উন্নত নয়। একজন রোগী ৪/৫ দিন থাকলেই বিল হয়ে যায়- ৩০/৩৫ হাজার টাকা। অথচ তারা যে পরিমান সেবা দিয়েছে, সেই হিসেবে তাদের বিল হওয়ার কথা- ১৪/১৫ হাজার টাকা। প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিক নাম হলেও- এগুলো আসলে বাসা বাড়ি। পুরোনো আমলের বাড়ি। সেই বাড়িকে হাসপাতাল বানানো হয়েছে। খুপরি খুপরি ঘর বানানো হয়েছে। ৪/৫ হাত সমান ঘর। সেখানে ডাক্তার রোগী দেখেন। এক হাজার টাকা করে ভিজিট নেন। এই হাসপাতালের ফার্মেসীতে ওষুধ বিক্রি হয় ৫% এ। অথচ তারা বিনা দ্বিধায় ১০% এ ওষুধ বিক্রি করতে পারে। এরকম একটি হাসপাতাল হচ্ছে বারাকা হাসপাতাল। রাজারবাগ মোড়ে অবস্থিত। এই হাসপাতালে গভীর রাতে চিকিৎসার জন্য গেলে- রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বলা হয়- অন্য হাসপাতালে যান। এরকম হাসপাতাল কম বেশি ঢাকার প্রতিটা এলাকাতেই আছে। অথচ সরকার নিরব। এরা যুগ যুগ ধরে ব্যবসা করে যাচ্ছে। নিজেরা লাভবান হচ্ছে।
২। ঢাকা শহরে প্রতিটা এলাকাতেই স্কুল আছে।
এক তলা, দুই তলা ফ্লাট ভাড়া নিয়ে স্কুল। খুবই জমজমাট ব্যবসা। অনেক ছাত্রছাত্রী। স্কুলের যে নামই হোক, সাথে 'প্রি ক্যাডেট' শব্দটা যোগ করে দেয়। বাটার ফ্লাই প্রি ক্যাডেট স্কুল। কেউ কেউ আবার বলে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে আবার বাংলা মাধ্যমও আছে। দুটা ফ্লাট ভাড়া নিয়ে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে। ছোট ছোট ঘরে ক্লাশ বসে। অনেক ছাত্রছাত্রী, তাই চাপাচাপি করে বসতে হয়। স্কুল শেষে আবার কোচিং আছে। ব্যবসাই ব্যবসা। টাকা আর টাকা। বাচ্চাদের জন্য স্কুল কি- একটু ভালো পরিবেশ প্রয়োজন ছিলো না? স্কুল আর হাসপাতালের জন্য কি সরকারের কোনো নিয়ম কানুন নেই? পুরোনো বিল্ডিং ভাড়া নিয়ে স্কুল দিতে হবে? হাসপাতাল দিতে হবে? সরকার নির্ধাতি বেতন নেই? যার যা মন চায় সে রকম বেতন নিচ্ছে! দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৪ বছর হয়ে গেছে। এখনও কেন কোনো সরকার এসব স্কুল ও হাসপাতাল বন্ধ করে দিচ্ছে না?
৩। সন্ধ্যায় মিরপুর ১ নম্বর থেকে বাসে উঠেছি।
কমলাপুর যাবো। নিত্যদিনের মতোই রাস্তায় জ্যাম। বাস ড্রাইভার খামখেয়ালি মতো বাস চালাচ্ছে। থামাচ্ছে। লোক নামাচ্ছে উঠাচ্ছে। আমি ভীষণ ক্লান্ত। মুহুর্তের মধ্যে আমি ঘুমিয়ে গেলাম। গভীর ঘুম। সুন্দর এক ঘুম দিলাম। সারা শরীর ঝরঝরে হয়ে গেছে। কমলাপুর নেমে এক কাপ চা খেলাম। তারপর একটা সিগারেট। লোকাল বাস গুলোর সার্ভিস অতি নিম্মমানের। তাই ঘুমিয়ে পড়াই ভালো। ঘুম না পেলেও আমি চোখ বন্ধ করে রাখি। আধা ঘন্টার পথ বাসে সময় লাগে দেড় থেকে দুই ঘন্টা। মেট্রোরেল তো আর সব এলাকায় যায় না।
৪। আমি ব্যবসা করতে চাই কারন আমাদের নবীজি ব্যবসা করতেন।
নবীজ বলেছেন সৎ ভাবে ব্যবসা করতে। সৎভাবে ব্যবসা করলে আল্লাহ বরকত দিয়ে দেন ব্যবসায়। আমার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ, বিক্রমপুর। বিক্রমপুরের মানুষ ব্যবসা করতে পছন্দ করে। নবীজি দরিদ্র ছিলেন। ব্যবসা করার মতো পুজি ছিলো না। তখন নবীজি এক ধনী ব্যবসায়ি মহিলাকে বিয়ে করেন। তারপর নবীজি স্ত্রীর ব্যবসা পরিচালনা করেন। নবীজি দরিদ্র পরিবারের সন্তান। নবীজি যা করেছেন, আমাদেরও তাই করা উচিৎ। আল্লাহকে পেতে হলে আগে নবীকে পেতে হবে।
চাকরি করলে মাস শেষে টাকা।
নিদিষ্ট পরিমাণ টাকা। কিন্তু ব্যবসা করলে, টাকা আর টাকা। যারা চাকরি করে তারা মধ্যবিত্ত। আর ব্যবসায়ীরা ধনী। চাকরি করলে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়। তবে কতিপয় লোক বড় কোম্পানিতে চাকরি করে ভালো আছে। তারা গাড়ি বাড়ি করতে পেরেছে। কিন্তু বেশির ভাগ চাকরিজীবির করুন অবস্থা। তাদের সংসারে অভাব। সন্তানকে ভালো একটা স্কুলে পড়াতে পর্যন্ত পারে না। মনের শখ আহ্লাদ কিছুই পূরণ হয় না। সারা জীবন মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়।
ব্যবসা করতে টাকা লাগে। প্রচুর টাকা লাগে।
হ্যা ব্যংক লোন দেয়। কিন্তু ব্যাংক থেকে টাকা লোন পাওয়া বিরাট ভাগ্যের ব্যাপার। ব্যবসা করলেই যে জীবনে সফলতা আসিবে তার নিশ্চয়তা নেই। বহু লোক ধার ধেনা করে ব্যবসা শুরু করেছিল। তারা ব্যবসায় লস খেয়েছে। এখন পাওনাদারের ভয়ে লুকিয়ে থাকে। আমি জানি আমি ব্যবসা করলে ভালো করতাম। আমার বুদ্ধি আছে এবং আমি পরিশ্রমী মানুষ। যাদের জ্ঞানবুদ্ধি নেই, আল্লাহ তাদের টাকা পয়সা দিয়ে ভরে রেখেছেন।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:৫০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



