
ইউনুস সাহেব আসলে কি চাচ্ছেন?
সেদিন এক মেয়েকে প্রশ্ন করা হলো- ইউনুস সাহেব গত এক বছর কি করলেন? মেয়েটা তীব্র রাগ ও ঘৃণা নিয়ে বললো- 'বাল ছিড়ছে'। ছোট এক প্রশ্নের উত্তর থেকেই দেশের বর্তমান অবস্থা পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে। শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পর ইউনুস সাহেব ক্ষমতা হাতে নিলেন। দেশের মানুষ তার উপর আস্থা-ভরসা রাখতে চেয়েছিলেন। সর্বোপরি তাকে বিশ্বাস করতে চেয়েছিলেন। সাধারন মানুষের ধারনা ছিলো- উনি কোনো ম্যাজিক দেখাবেন। দেশ এগিয়ে যাবে। চুরী, ছিনতাই, ডাকাতি, খুন, ধর্ষন, কোপাকুপি আর দূর্নীতি হবে না। মানুষ শান্তিতে নিঃশ্বাস নিবে। জিনিসপত্রের দাম কমবে। দেশের মানুষ শান্তিতে খেয়েপরে বেঁচে থাকতে পারবে। জীবনের নিরাপত্তা থাকবে। বেকার কমবে, চাঁদাবাজি বন্ধ হবে। কিন্তু ইউনুস সাহেব দেশের মানুষকে ভুল প্রমানিত করেছেন। উনার আমলে দেশে গজব অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ভয়ানক অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে। দেশের মানুষন হতবাক! কি হচ্ছে এসব!!
দিনেদুপুরে মানুষ কুপিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে।
সেই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ছে। একজন নারীকে ধর্ষন করা হচ্ছে। তারপর ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। ধর্ষন করার পর গলা কেটে ফেলছে। খুন খারাবি যেন দুধভাত হয়ে গেছে। গতকাল এক ভিডিও দেখলাম- একজন মহিলাকে দিনের বেলা জামা কাপড় টেনে ছিড়ে ফেলা হয়েছে। শেষে উলঙ্গ সেই মহিলা এক টেম্পুতে আশ্রয় নিয়েছে। নর্দমার কীটেরা টেম্পুতে গিয়ে উলঙ্গ মহিলাকে ইচ্ছে মতো চড়, থাপ্পড়, কিল-গুসি, লাথথি দেওয়া হচ্ছে। পুরো দেশে গজব অবস্থা তৈরি হয়েছে। আসামীদের ধরা হচ্ছে না। বরং সমস্ত সাজা প্রাপ্ত দাগী আসামীদের কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। সেনাবাহিনী জরুরী ও দরকারী কাজ বাদ দিয়ে অকাজ করে বেড়াচ্ছে। আর্মিরা নিউমার্কেটের ক্রোকারিজের দোকান থেকে ছুরি চাপাতি জব্দ করেছে। এমন ভাব করছে তারা বিরাট কিছু উদ্ধার করে ফেলেছে। ইউনুস সাহেব যেমন ব্যর্থ, সেনাবাহিনীও ব্যর্থ।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী-
মোহাম্মদপুরের জেনিভা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে হাতের কাছে যাকে পেয়েছে তাদের ধরে এনেছে। চুনোপুটি ধরে সেনাবাহিনী এমন ভাব করছে, যেন বিরাট কিছু করে ফেলেছে। আমার কথা হচ্ছে- যারা দিনেদুপুরে মানুষ কুপিয়ে মেরে ফেলছে, তাদের ধর। যারা ধর্ষন করছে, তাদের ধর, যারা ছিনতাই করছে, তাদের ধর। এসব না করে গোপালগঞ্জে গুলি করে মানুষ মারলো। ইউনুস সাহেব কোথায়? তিনি কি কিছু দেখছেন না? কিছু শুনছেন না? তিনি সর্ব্বোচ পদে বসে কি করছেন? দেশের সাধারন মানুষ আজ চিৎকার করে বলছে, আগেই ভালো ছিলাম। হাসিনা'ই ভালো ছিলো। দেশের সাধারন মানুষের কথা গুলোই সত্য কথা। আসল কথা। খাটি কথা। কারন, কথা গুলো বুকের গভীর থেকে উঠে আসে। সিলেটে সাদা পাথর চুরী হয়ে গেলো। দুদক গেলো অনুসন্ধান করতে। কি হাস্যকর! এ কোন দেশে বাস করছি আমরা! ক্ষমতা পেলেই কি মানুষ ছাগল হয়ে যায়। এদিকে কে যেন এনসিপিকে 'বান্দির পুত' বলে গালি দিয়েছে। এনসিপি রেগে গেছে। আরেক ছাগল বলেছে, ফ্রেরুয়ারীতে নির্বাচন হবে না।
সব মিলিয়ে দেশের অবস্থা ভালো না।
আওয়ামীলীগ থাকতে বাজার থেকে রুই মাছ কিনতাম ৩৫০ টাকা কেজি। এখন কিনতে হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি। গত এক বছরে দেশে এমন কিছু নেই, যার দাম বাড়েনি। আমার মনে আছে- করোনার পরপর দেশে ভিক্ষুক ও হকারদের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিলো। এখন হাসিনা চলে যাবার পর দেশে ভিক্ষুক ও হকারদের সংখ্যা কয়েক গুন বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। যেন দেশের মা-বাপ নেই। মা-বাপ ছাড়া দেশ। যার যা খুশি করছে। কেউ দেখার নেই, কেউ বলার নেই। বাবা মা ছাড়া একটা পরিবারের যে অবস্থা হয়, দেশের এখন সে অবস্থা। এদিকে এনসিপির চ্যাংড়া পোলাপান যা খুশি তা বলে যাচ্ছে। এক ছাগল বলছে- নববধুর সাথে সহবাস করে বীর্জ পতনে যে মজা, হাসিনার পতনে তার চেয়ে বেশি মজা। এটা কোনো শিক্ষিত রুচিশীল মানুষের কথা হতে পারে? অন্য ছাগলেরা সমানে গলা ফাটাচ্ছে। এইসব বান্দির পুতরা দেশটাকে শেষ করে দিচ্ছে।
অন্তবর্তী সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ।
বাংলাদেশের ইতিহাসে যত গুলো ভারপ্রাপ্ত সরকার এসেছে, সবচেয়ে কুৎসিত সরকার ছিলো- এই ইউনুস সাহেবের সরকার। ইউনুস এক অভিশাপের নাম। এদের ছানাপোনা 'এনসিপি' এক অভিশাপের নাম। এদের আমলে জামাত শিবির মাথাচারা দিয়ে উঠেছে। অথচ শেখ হাসিনা এদের দমিয়ে রেখেছিলেন অত্যন্ত দক্ষতার সাথে। গত ১৫/১৬ বছর ধরে বিএনপি ভূখা ছিলো। তারা অনেক ক্ষুধার্থ। এখন এরা ক্ষমতায় আসার আগেই লুটপাট শুরু করে দিয়েছে। চাঁদাবাজি শুরু করেছে। দীর্ঘ ১৬ বছর এরা কথা বলতে পারেনি। গর্ত থেকেই বের হতে পারেনি। এখন এরা সুযোগ পেয়ে যা মুখে আসছে বলে যাচ্ছে। কত চ্যাটাং চ্যাটাং কথা। কথা খুব সাবধানে বলা উচিৎ। কথা বন্ধুকের গুলির চেয়ে ভয়ানক। কিন্তু কোনো শালা'ই সাবধানে 'কথা' বলছে না। কেউ কেউ কথা বলতে গিয়ে কুকুরের মতো ঘেউ ঘেউ করছে। কেউ কেউ হুমকি ধামকি দিচ্ছে। রাজনীতিতে যে শালা নামবে, সেই শালার কপালে দুঃখ আছে।
আমাদের দেশটা ছোট।
মানুষ বেশি। সমস্যার শেষ নেই। এর মধ্যে নতুন নতুন কুকুর ছানার জন্ম হয়েছে। এরা রাজাকার মানসিকতার লোক। নব্য রাজাকার। রাজাকারের বংশধর। শেখ হাসিনা না থাকাতে সব গুলো কুকুর ছানা/রাজাকার একসাথে উজায়েছে। শেখের বেটি এতদিন এই বদদের থামিয়ে রাখতে পেরেছিলেন, দমিয়ে রাখতে পেরেছিলেন। এজন্য শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। এইসব অসভ্য, ইতর- শালাদের থামাতে হলে শেখ হাসিনাকেই প্রয়োজন। আওয়ামীলীগ যে দুধে ধোয়া তুলসি পাতা তা নয়। তাদের অনেক দোষ আছে। কিন্তু তারা দুষ্টদের দমিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছিলো। এজন্য তাদের স্যলুট জানাই। যাইহোক, দেশ ভালো থাকলেই আমরা ভালো থাকিব। দেশ মাতৃকা ভালো নেই। এই এক বছরেই ইউনুস দেশকে অধপতনের দিকে নিয়ে গেছে। যে শালারা ইদ গা ময়দানে ইউনুস সাহেবকে দেখে- 'পাচ বছর', 'পাচ বছর' বলেছে, ওদের সব ক'টাকে ধরে চাবকানো দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:১০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



