একজন হিন্দু, একজন খ্রিষ্টান, একজন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী হত্যার শিকার হলে সেই ঘটনাকে ধর্মীয় লেবাস লাগিয়ে প্রচার করা হয়। আর যখন একজন মুসলিমকে হত্যা করা হয় তখন তা হয় বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আসলে কি এই ঘটনাগুলোকে ধর্মীয় লেবাসে দেখানোর তেমন কোন সৎ উদ্দেশ্য থাকতে পারে?
- আমার কেন যেন বিশ্বাস হয় এর পিছনে অনেক বড় ষড়যন্ত্র আছে। ষড়যন্ত্র করে লাখো রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করে দিতে চায় ওরা। মুসলিম অদ্ধোষীত এই অঞ্চলের মানুষের সুখ ওদের সহ্য হচ্ছে না। তাই তারা চায় এই দেশে বিশৃঙ্খলা বাধিয়ে দিয়ে একটা অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে। যেখানে হয়তো কিছু কিছু সুবিধা নিতে পারবে তারা।
যখন কোন তদন্ত বা অনুসন্ধান ছাড়াই কোন ঘটনার পিছনে অমোক সংগঠন বা ইসলামী গ্রুপ জড়িত আছে বলে প্রচার করা হয় তখন সেটাকে সাধারন উদ্দেশ্যের প্রচার বলা ঠিক হবে না। আমি এমন বলছি না যে এই ঘটনার সাথে কোন জঙ্গী গ্রুপের সংশ্লিষ্টতা নেই। থাকলেও থাকতে পারে। তবে তা প্রমানিত হবে যথাযথ তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে। প্রমান ছাড়া কোন যুক্তিই সত্যি হতে পারে না।
বর্তমান বাংলাদেশ অনেক বড় ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। স্বাধীনতার পরবর্তি সময়ে এত খারাপ সময় হয়তো দেশ পার করেনি। দেশকে আজ ঠেলে দেওয়া হচ্ছে জাতিগত সংঘাতের দিকে যার ফলাফল কখনোই শুভ হতে পারে না একটা দেশের জন্য। যারা সত্যিকার অর্থে দেশকে ভালবাসেন তারা কখনোই চাইবে না একজন হিন্দু বা একজন মুসলাম বা একজন খ্রিষ্টান বা একজন বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের দ্বারা হত্যা হোক। কারন যে কোন হত্যাই নিন্দনীয়।
আজকে মানুষ খুব জানতে চায় কারা এই ঘটনাগুলোর সাথে জড়িত। শুধু মুখের বকবকানী শুনতে চায় না এই দেশের মানুষ। একদল গ্রুপ যদি পরিকল্পিতভাবে হত্যা শুরু করে তাহলে কেন আমাদের ইন্টেলিজেন্ট গ্রুপ খুঁজে বের করতে পারছে না, কেন হাজার হাজার মানুষকে গনগ্রেফতার করা হচ্ছে? তাহলে কি বুঝে নিব আমাদের ইন্টেলিজেন্ট গ্রুপ ব্যর্থ এই সকল ঘটনার মূল কারন বের করতে, আর তাদের এমন ব্যর্থতা ঢাকতেই এমন গনগ্রেফতার ? আসলে আমরা কখনোই প্রত্যাশা করি না আমাদের ইন্টেলিজেন্ট গ্রুপ কোন ঘটনার কারন খুঁজে বের করতে ব্যর্থ হোক। কারন তাদের ব্যর্থতাই রাষ্ট্রের ব্যর্থতা বলেই প্রকাশ পায়।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:০৯