ক্রসফায়ারের নাটক আর কত দিন চলবে?
এমন করে নির্দয়ভাবে আর কত হত্যা করা হবে?
অপরাধীকে শাস্তির আওতায় আনা কার দায়িত্ব?
কেন জঙ্গি ধরে প্রকৃত সত্য মানুষকে না জানিয়ে ক্রসফায়ারের নাটক সাজিয়ে হত্যা করা?
কাকে আড়াল করতে জঙ্গি ধরে হত্যা করা হচ্ছে?
এমন অসংখ্য প্রশ্ন মানুষের মনে। ফয়জুল্লাহকে ধরেই নিলাম একজন জঙ্গি। কিন্তু তাকে হত্যা করা কোন ভাবেই যৌক্তিক মনে হয় না। কারন তাকে বিচারের আওতায় আনার সুযোগ ছিল। অথচ তাকে বিচারের আওতায় না এনে পুলিশ নিজেই অপরাধ করেছে। বিচার বিভাগ সিদ্ধান্ত নিবে কোন অপরাধের জন্য কি শাস্তি হবে। একজন সাধারন মানুষ যেমন আইন হাতে তুলে নিতে পারে না তেমনি পুলিশও পারে না আইন হাতে তুলে নিতে। প্রতিদিনের গনগ্রেফতার এবং ক্রসফায়ারে জনগন ভীত। কারন এগুলো সুশাসনের অন্তরায়। সুশাসন প্রতিষ্টা করতে গেলে প্রথমেই বিচার বিভাগকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন। কিন্তু সেখানে বিচার বিভাগকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে পুলিশ ক্রসফায়ের নাটক করে হত্যা করছে।
একটা অন্যায় প্রশ্রয় পেলে হাজারো অন্যায় উৎসাহিত হয়। একদিকে যেমন অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে যায় তেমনি যারা সমাজে বিচারকে সুপ্রতিষ্ঠিত করবে তারাও বিভ্রান্তির মধ্যে থেকে যায়। বর্তমান সময়ে যেভাবে অপরাধী গ্রেফতারের পর ক্রসফায়ারে হত্যার মাত্রা বেড়ে চলছে তাকে করে সুশাসন বাধাগ্রস্থ হতে বাধ্য। একটা মানুষকে হত্যা করে কখনোই জঙ্গিবাদ দমন করা সম্ভব না। অপরাধের মূল কারন উৎঘাটন করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলেই নতুন করে সন্ত্রাসের জন্ম হয় না। কিন্তু সেখানে যদি অপরাধী ধরেই হত্যা করার প্রবনতা থাকে তাহলে একসময় দেখা যাবে অপরাধ কমার পরিবর্তে বেড়েছে। অপরাধী গ্রেফতারের অর্থ অপরাধ দমন অপরাধী হত্যা নয়। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে রাষ্ট্রই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। যা কখনোই স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্রে প্রত্যাশিত হতে পারে না।
যার যে দায়িত্ব সে যদি সেই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে তাহলে সমাজের অসংগতি দূর হবে বলে আশা করা যায়। তাই পুলিশের এই অন্যায় হত্যা বন্ধ করা উচিৎ। এবং সেই ক্ষেত্রে বিচার বিভাগের কার্যকরী হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:৪৬