বড় রাষ্ট্রের দ্বারা ছোট রাষ্ট্র আগ্রাসনের শিকার হবে এটাই স্বাভাবিক। কারন সবলরা সব সময় দূর্বলদের শোষণ করতে চায়। তেমনি বাংলাদেশও বৃহৎ রাষ্ট্র ভারতের কাছে খুবই ছোট্র একটি রাষ্ট্র। এই কারনে বাংলাদেশ নামক ছোট্র রাষ্ট্রটি ভারত নামক বৃহৎ রাষ্ট্রের আগ্রাসনের শিকার। তাই বাংলাদেশ ভারতের আগ্রাসন থেকে মুক্তি পেতে চাইলে অবশ্যই বাংলাদেশের অবিভাক্ত ভারতের সাথে যুক্ত হওয়া যুক্তিযুক্ত মনে হয়। এতে করে এই অঞ্চলের মানুষের স্বাধীনতা হারাবে কিন্তু বৃহৎ রাষ্ট্রের সাথে যুক্ত থাকার সুফল ভোগ করবে। যেমন বাংলাদেশের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারনে প্রবাসীরা দেশের বাইরে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। এছাড়া এই অঞ্চলে শিক্ষা এবং রাজনীতির ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আসবে বলা যায়। ছোট রাষ্ট্র হবার কারনে পৃথিবীর ধনী এবং বড় রাষ্ট্রগুলো বিভিন্ন সময়ে এই দেশে আগ্রাসন চালানোর চেষ্টা করে। যার ফলে প্রকৃত অর্থনৈতিক সুফল থেকে এই দেশের মানুষ বঞ্চিত হয়।
যদিও জানি এই কথাগুলো শুনতে কারো কাছেই ভাল লাগবে না। কারন কয়েক লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশের স্বাধীনতা। কিন্তু আমাদের একটা কথা মনে রাখতে হবে আমরা এখন চাই আর না চাই একদিন না একদিন এই রাষ্ট্রটি তাদের অধীনে নেবার চেষ্টা করতে চাইতে পারে যা প্রতিহত করার মত কোন ক্ষমতা বাংলাদেশের নেই। তবে আমার কেন যেন মনে হয় ভারত বাংলাদেশের ভার নিতে রাজী হবে না। তারা এখানে তাদের একছত্র বাজার তৈরির করার চেষ্টা করবে। অর্থাৎ অর্থনৈতিক আগ্রাসন বা শোষনের চেষ্টা করবে এবং অনুমান করাই যায় তাদের সেই প্রচেষ্টা ১০০% সফল হবে। এতে করে বাংলাদেশ আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাই সিকিমের মত অবস্থায় বাংলাদেশের জন্য ভাল।
কিছু দিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে যে ভাবে ভারতকে জড়িয়ে আলোচনা চলছে তাতে করে আমি ব্যক্তিগতভাবে আতঙ্কিত। ভারতের ওয়েব সাইটে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, ভারতীয় তালিকায় থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের ফায়ার সার্ভিস এ নিয়োগ, সংখ্যালঘুদের রক্ষায় নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ কামনা। এই সব ঘটনা খুব ভাল কিছুর ইংগিত দেয় না।
প্রভু রাষ্ট্রের প্রতি নির্ভরশীলতাই প্রমান করে বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ গতিধারা। সর্বশেষ বলাই যায় পাকিস্তানের শোষন থেকে আমরা মুক্ত হয়েছি ঠিকই কিন্তু প্রতিবেশী বৃহৎ রাষ্ট্রের আগ্রাসনের কবলে এই দেশ। বাংলাদেশের রাজনীতি, নীতিনির্ধারনী সিদ্ধান্ত থেকে সব কিছুই ভারত নিয়ন্ত্রন করতে চাইছে। যারা ফলাফল কি হবে তা ভাবার সময় মনে হয় এখন।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৪