somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বৈষম্যমূলক সমাজ জঙ্গীবাদের জন্মস্থল ।

২৮ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বর্তমান সভ্য সমাজের মানুষ একটা কুকুর বা একটা বিড়াল পুষতে যতটা না ভালবাসে তার থেকে অনেক গুন বিরক্ত হয় একটা অনাথ অসহায় মানুষকে কুকুর বা বিড়ালের ন্যায় পুষতে। এর মাধ্যমেই বোঝা যায় সত্যিকার অর্থে মানুষ তার স্বজাতীয়কে কতটা ঘৃনা করে। আজকে রাস্তায় কত মানুষ প্রভুহীন কুকুরের ন্যায় পড়ে থাকে কিন্তু তাদের দেখার কেউ থাকে না।

কিছু দিন আগে বাসে যাচ্ছিলাম পরীক্ষা দিতে তখন একটা ছেলে আমার দিকে তাকিয়ে রাস্তার দিকে অঙ্গুল দেখিয়ে বলছিল, ভাই ঐ লোকগুলোকে ক্রসফায়ারে মারা উচিৎ। তাকে জিজ্ঞাস করলাম কেন ভাই? বললো, ঐ লোকগুলোর ভাল হবার সুযোগ নেই। সারাদিন যে কয় টাকা ইনকাম করে তাই দিয়ে নেশা করে। দেখছেন না কি অবস্থা শরীরের। আমিও তাকিয়ে দেখলাম রাস্তায় যে লেড়ি কুত্তা ঘুরে বেড়ায় তাদের মত অবস্থা। সারা শরীরে কিছু নেই। আছে কঙ্কালসার দেহ।

সত্যিই ছেলেটি বলেছিল ওদের বাঁচার অধিকার নেই। কেন বাঁচবে তারা? সৃষ্টিকর্তা তাদের যে অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রেখেছেন তাতে করে মনে হয় না পৃথিবীতে তাদের দিকে তাকানোর মত কোন মানুষ আছে। আমাদের সভ্য সমাজ একটা কুকুরকে হাজার লাখ টাকা খরচ করে কিনতে পারে, তাদের খাওয়ানো জন্য উন্নত খাবারের আয়োজন করতে পারে, কিন্তু অনাথ মানুষের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে না।

আমরাই বোধয় একমাত্র প্রানী যারা সভ্য বলে দাবি করি। কিন্তু আমাদের প্রতিটা কাজ অসভ্য মানুষের পরিচয় বহন করে।
আজ সমাজের যত অন্যায় তার জন্য এই সমাজের মানুষ দায়ী। আর যতই ক্রসফায়ার করে সেই সব উগ্রবাদীদের হত্যা করি কখনোই তা নির্মূল সম্ভব হবে না। কারন এই সব উগ্রবাদীদের জন্ম হয় এই সমাজের ভ্রান্ত নীতির কারনে। তাই ক্রসফায়ার করে এদের নির্মূল করা যাবে না। সামাজিক অসংগতি দূর হলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে এরা বিলুপ্তি হবে।

তাই এখন প্রয়োজন সমাজের রোগগুলো চিহ্নিত করা এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। আর যদি সেই চিকিৎসা করতে সময়ক্ষেপণ করা হয় তবে তা সমস্ত সমাজে ছড়িয়ে পড়বে। যা আমাদের জন্য হবে আত্মঘাতী।। ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×