হতাশা থেকেই মানুষের প্রতি ঘৃনাবোধের জন্ম। আর মানুষের প্রতি এই ঘৃনাবোধ যখন জন্মায় তখন সব মানুষকেই একই প্রকৃতির মনে হয়। সেই ক্ষেত্রে সাধারন বিচার বিবেচনা কার্যকর থাকে না। বিভিন্ন কারনেই এই হতাশার জন্ম হয়। তবে যে কারনেই হতাশার জন্ম হোক না তার প্রভাব ব্যক্তি মানুষের জীবনে সুদূরপ্রসারী হয়ে থাকে।
অনেক ক্ষেত্রে পুরুষের প্রতি নারীর এবং নারীর প্রতি পুরুষের ঘৃনাবোধের জন্ম হয়। সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই বাস্তব কিছু ঘটনা দায়ি থাকে। যদিও এই ঘটনা গুলোর ক্ষেত্রে এক বা একধিক নারী বা পুরুষ জড়িত তবুও পুরো দায়ভার এসে পরে, হয় পুরুষ জাতির উপরে না হয় নারী জাতির উপরে।
অনেক সময় একটা মেয়ে খারাপ ছেলের খপ্পরে পরে যেতে পারে সেই ক্ষেত্রে সুযোগ সন্ধানী খারাপ ছেলে মেয়েটির কপালে কি ঘটতে পারে তা অনুমেয়। আবার যদি কোন ভাল ছেলে খারাপ মেয়ের পাল্লায় পরে যায় সেই ক্ষেত্রে তার কপালে খুব খারাপ কিছু অপেক্ষা করে। কিন্তু এখান থেকে একটি ভাল ছেলে বা একটি ভাল মেয়ে যে সিদ্ধান্তে উপনীত হয় তা সব ছেলে বা মেয়েরাই এমনই বলে মনে করাতে পারে। আর যদি কোন কারনে একটা ভাল ছেলে বা মেয়ে একাধিক খারাপ ছেলে বা মেয়ের পাল্লায় পরে যায় সেই ক্ষেত্রে তার সার্বিক সিদ্ধান্ত সব ছেলে বা মেয়ের ক্ষেত্রে ভাল কিছু থাকে না এবং সে ভেবেই নেয় সব ছেলেরা বা মেয়েরাই এমন।
তবে সাধারন কিছু ঘটনা থেকে সার্বিক কোন সিদ্ধান্তে আসা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভুল হয়ে থাকে।
ব্যক্তি মানুষের জীবনে এমন কিছু ঘটনা থাকে যা কারো কাছে প্রকাশ করা যায় না। কিন্তু মানসিকতার জগতে সেই ঘটনা ব্যপক পরিবর্তন এনে দেয়। আমার মনে হয় এই সব ক্ষেত্রে একটা মানুষের ঘনিষ্ট কোন বন্ধু-বান্ধবী বা আত্মীয়ের কাছে প্রকাশ করা উচিৎ। না হলে এই সব সাধারন ঘটনা মানুষকে আজীবন ভুলের মধ্যেই রেখে দেয়। যার ফলাফল কখনোই ভাল কিছু হয় না। ।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৪