এয়ারপোর্টের সামনে ভাস্কর্য করতে দিলো না মুফতি আর মাদ্রাসার তালেবান( ছাত্র)রা। কারন তাদের মতে এসব মু্র্তি, তাই তাদের ধর্মানুভুতিতে চোট লাগে। আচ্ছা আরেক মুর্তিতো জয়দেবপুর চৌরাস্তায় আছে। সেটা ভাংগার জন্য বলে না কেন? কারন তা বললে তো উল্টা পেদানি খেতে হবে , মুক্তি যুদ্ধের বিষয় চলে আসবে। তাই না?
আমার বুঝ হল এসবই সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কুটচাল। এগুলো অনেক আগেই শুরু হয়েছে এদেশে। এভাবে ধর্মকে ব্যাবহার করে বিগত কয়েক দশকে কয়েকটা মুফতি ( আমীনি, শা হাদিস) নেতা, সাংসদ হয়ে গেছে। নির্বাচনের সময় এসবের ফসল ঘরে তোলে বিএনপি, জামাত। তারাই এই রাজনীতির সুফলভোগী তাই তারা এসবের উস্কানি ও প্রশ্রয়দাতা। এদের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্জনের কারনে আওয়ামীলীগও এখন এদের মনযুগিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। তাই দিনে দিনে এই ভুমিতে লালন ও তাঁর অসাম্প্রদায়িক ভাবধারা কোনঠাসা হচ্ছে। স্বল্পশিক্ষিত সাধারন ভোটারদের এসব আদাপড়া দিয়ে প্রভাবিত করা সহজ। এসব উস্কানি দিয়ে দিয়ে মানুষকে আত্ন ঘাতী বোমাবাজ বানানো সম্ভব। এবং তাই হচ্ছে আমাদের এখানে। এদের সমুলে নিপাত করতে না পারলে আমাদের দেশের খবর আছে। পাকিস্তানের মত অবস্থা হবে দিনে দিনে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ১১:৩৯