আলি আল মেগরাহ। লকারবি বিমান হামলার হোতা। কয়েকশ মানুষকে বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়েছিলো কোন বিচার বিবেচনা ছাড়াই। এদের মাঝে নারী ছিলো শিশুছিলো। ব্যাপার্না। এটা আমেরিকার বিমান। আমেরিকার সাথে মুসলিমদের যুদ্ধ চলছে। সুতরাং উড়িয়ে দাও আমেরিকার পতাকাবাহী বিমান যদিও এতে থাকতে পারে নিরপরাধ মানুষ। এমনকি থাকতে পারে কোন মুসলিম। কিন্তু এটা যুদ্ধ! সম্মুখ সমরে, কৌশলে না পারলেও....।
ঠিক যেন সিনেমার ভিলেইন যখন নায়কের সাথে মারামারিতে হেরে গিয়া শেষে নায়িকাকে বা কোন শিশুকে জিম্মি করে। হাহ.. কি বীরত্বরে..। তারপরেও তারা যুদ্ধ করছে!? আলি আল মাগরাহ তাই মসুলিম নামধারীর কাছে বীর। ব্যাপার্না।
তো সেই বীর আবার ধরা খাইছিলো। বিচারে তার সাজাও হৈছিলো। যাবজ্জীবন জেল খাটছিলো। যদিও আমার বিশ্বাস তারা নিজেরা হৈলে এইক্ষেত্রে বিচার বা সাজার ধার ধারতো না । সোজা কতল। যাউকগা এটা অন্য বাহাস।
কাহিনী হৈল সেই বীর(?) ক্যান্সার এ আক্রান্ত হওয়ার কারনে স্কটল্যান্ড সরকার তাকে মুক্তি দিয়েছে। মানবিক বিবেচনায়। এখানে তাকে বীরোচিত সংবর্ধনা দেওয়র কি হৈলো? সেতো যুদ্ধ জয় করে ফিরছে না। বরং অন্যদের দয়ায় মুক্তি মিলেছে।
তাকে ঘিরে উল্লাস করাটা কতটা জঘন্য খারাপ লাগবে সেসব নিরপারাধ মৃত মানুষের আত্মীয়দের কাছে সেটা যদি বিবেচনায় নাও নেই কিন্তু মানবিক কারনে দয়া করে মুক্তি পাওয়া কাউকে কতটা দেউলিয়া মানসিকতা থাকলে সংবর্ধনা বা বিজয়উল্লাস করা যায়? এই আরবদের কি লজ্জা শরমের কোন বালাই নাই?
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৩৩