৭১ এর ২৬ শে মার্চ যদি মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে থাকে তবে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছিলো প্রতি-মুক্তি যুদ্ধ। তারপর থেকে এটা চলেছে অনেকদিন, ৭ ই নভেম্বর এমনই একটা দিন। মুক্তিযোদ্ধাদের বহুবিভক্ত মত ও পথের সুযোগ নিয়ে ১৬ ডিসেম্বরের পরাজিত শক্তি মুক্তিযোদ্ধাদের হনন কার্য শুরু করে। যেমন কর্নেল তাহেরের হত্যা। কাটা দিয়ে কাটা তোলা হয়। সম্ভব হলে এরা দেশকে ৭১ পুর্ব পাকিস্তানে পরিনত করতো কিন্তু নদীর পানি তো আর ফেরানো যায়না তাই সেটা করতে পারেনি।
১৬ ই ডিসেম্বর যদি বাংগালীর মুক্তিসংগ্রামের বিজয় হয়ে তবে সেদিন পরাজিত হয়েছিলো যারা তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধ পর্ব শুরু হয়েছিলো ১৫ আগস্ট। সেটা চলেছে তারপরে বছরের পর বছর। ৭ ই নভেম্বর এমন আরেকটি দিন যেদিন কে উদযাপন করে তারা যারা ১৬ ডিসেম্বর উদযাপন করতে কষ্ট পায়। তাদের আরেকটি দিবস দরকার ছিলো। প্রতি-মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় দিবস বলা যায়।
আমি অনেকদিন এসব বিষয় পরিষ্কার ছিলাম না কারন ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছিলো। কিন্তু আসলে সত্য খুবই সহজ আর তা হল ১৫ আগস্ট আর ৭ ই নভেম্বর করে যদি দেশে গনতন্ত্র আর উন্নয়ন চালু করা হয়ে থাকে তবে সেই রাস্তায় দেশ আজ অবধি চলছে। এই তিরিশ বছরে তো তাহলে আমাদের উন্নত হয়ে যাওয়ার কথা। স্বাধীনতায় সুফল পাওয়ার কথা। কিন্তু আজো কেন আমরা পৃথীবির দরিদ্রতম দেশ? কেন আমরা সবার পিছন সারিতে? আসলে কি আমরা নিজের পতাকা করে ভুল করেছিলাম? নাকি ৭৫ এর ১৫ তারিখে আমাদের উদিয়মান রক্তিম সুর্য্যকে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। আর তারপর এখনো পর্যন্ত ভুল সুর্য্যদয় হচ্ছে। জানিনা আর কতদিন এভাবে দিকভ্রান্ত হয়ে থাকবো আমরা। কতদিন আমরা ৭ই নভেম্বরের কলংক নিয়ে উল্লাস করবো।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৫১