নীরবতা কখনো কখনো সম্মতির লক্ষন নাও হতে পারে।
যে মেয়েটার আজ বিয়ে হয়ে যাচ্ছে হতে পারে তার বিয়েতে সম্মতি ছিলোনা। হতে পারে সে পরিবারের স্বার্থে আজ বিয়ের পিঁড়িতে। হতে পারে তার জীবনে অনেক স্বপ্ন ছিল, আশা ছিল, তার একটা আলাদা কল্পনার জগত ছিল। সে সেইসব আশা, স্বপ্ন, কল্পনার জলাঞ্জলি দিয়ে নিরবে আজ বসে আছে তারি জন্য সাজানো মঞ্চে। কিন্তু সে কি সুখী?
যে মানুষটা আজ ডাক্তার হয়ে পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে, সে কি আদৌ ডাক্তার হতে চেয়েছিল? হতে পারে সেও নিশ্চুপ ছিল, তার পরিবারের কথা ভেবে। নিজের ইচ্ছেটাকে মাটিচাপা দিয়ে নিরবে সব মেনে নিল। সে আজ ডাক্তার কিন্তু সে কি সুখী?
নিজের যে মেয়েটাকে পছন্দ ছিল, তাকে বাদ দিয়ে অন্য সবার ইচ্ছাতে ছেলেটা অন্য কোন মেয়েকে বিয়ে করলো। সবার ইচ্ছা পূরণ হল, কিন্তু সে কি সুখী?
এইভাবে ভূরি ভূরি উদাহরন আছে বাস্তবতার গ্যাঁড়াকলে পরে নিজের শখ আহ্লাদ বিসর্জন দেওয়ার। শত শত বড় ভাই আছে যারা ফ্যামিলির জন্য নিজের সুখটুকু প্রতিদিন বালিশ চাপা দিয়ে ঘর থেকে বের হয়।
তাদের নিয়ে কখনো গল্প হয় না। তারা অবশ্য সেটার আশাও করে না। নিঃস্বার্থ ভাবে করে যাওয়াতেই যেন তাদের শান্তি। নিজের ভাই আছে দেইখাই আমি বুঝতে পারি, চোখের সামনে এগুলা ঘটছে, আর আমি সেটার প্রতিনিয়তই সাক্ষী হচ্ছি।
বাবা মায়ের কথা সবাই বলে কিন্তু এই বড় ভাইয়েরা থেকে যায় নেপথ্যে। সবাই সফল হলে শুধু বাবা মায়ের কথাই বলে কিন্তু এই বড় ভাইয়েরা?.................................
বড় ভাইয়ের সফল দৃষ্টান্ত এই মুহূর্তে আমার মনে পড়ছে মুস্তাফিজের বড় ভাই মোখলেছুর রহমানের কথা। এই রকম কত শত উদাহরন আছে সেটা বলার মত না।
লেখাটা লিখতে গেছি একটা নিয়ে আর হয়ে গেছে আরেকটা। :/ যাহোক, ভাল থাকুক সকল নিস্তব্ধতা। ভাল থাকুক সকল স্বপ্নবাজ মানুষেরা। আর বিশেষ ভাবে ভাল থাকুক এই পৃথিবীর সকল আদর্শ বড় ভাইয়েরা।
ডেডিকেটেডঃ Rasel Ahmed আমার ভাই। আমার একমাত্র ভাই।