somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শাহবাগে সবাই দৌড়াইতেছে চিলের পিছনে কান নিয়ে গেল বলে কিন্তু কানতো রয়ে গেছে নিজের কাছেঃদয়া করে একবার চোখ বুলাবেন।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা বাঙগালী জাতি আজকে আমাদের জাতির প্রতি দায়বদ্ধতা প্রকাশ করতেছি শাহবাগে একাত্ততা প্রকাশের মাধ্যমে।এর মাধ্যমে আমরা কি হাসিল করতেছি।এই বিচার সঠিক এবং নিরপেক্ষ হইতেছে কিনা তা আমরা যাচাই করার কথা একবারো ভাবলাম না।এই বিচার নিয়ে কত কেলেংকারী হয়ে গেলো।স্কাইপ কেলেংকারী যার অন্যতম।আমার কথা এই যে যুদ্ধাপরাধীদের বর্তমানে অভিযুক্ত করা হয়েছে তাদের লিস্ট কে করল।সেখানে শুধু বিএনপি ও জামাতের নেতারা থাকবেন কেন?এই কথাটা কে বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন?তাহলে তাদেরকে কেন অভিযুক্ত করা হবে না?এটা প্রত্যক্ষভাবে প্রমানিত যে প্রধানমন্ত্রীর বেয়াই শ্রম মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন একজন রাজাকার এবং বর্তমান স্বরাস্ত্রমন্ত্রী আলমগীর সাহেব ওই সময়ের ডি সি ছিলেন।একটা জেলার সব প্রশাসনিক কাজ সম্পন্ন হয় একজন ডি সি এর মাধ্যমে ,তাহলে তার চেয়ে বড় রাজাকার কে আছে।মাইন্ড করবেন না আমি জামাত সাপোর্ট করি না।আমার সবচেয়ে অপছন্দের দল জামাত ।আর যুদ্ধাপরাধীর বিচার আমিও চাই।কিন্তু সেটা যেন আওয়ামীলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের মাধ্যম না হয় সেটা মনে রাখতে হবে ।
আমি একজন তরুণ হিসেবে বলতে চাই আমরা আমাদের বর্তমান সমস্যা গুলো উপেক্ষা করে অতীত নিয়ে মাথার ঘাম ঝরাইতেছি।আজকে একটা পদ্ধতি বের হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি।আমরা যারা মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে পড়াশুনা করতেছি তাদের সবার লক্ষ্য বি সি এস ক্যাডার হওয়ার কিন্তু সেখানে মেধার মুল্যায়ন কই?মুক্তিযোদ্ধা কোটাই ৩০%।তার মানে ১০০ জনের মদ্ধে ৩০ জনই মুক্তিযদ্ধা জাতি ।কিছুদিন আগে সোনালী ব্যাঙ্কের নিয়োগ হল শুধু মুক্তিযোধ্যা জাতির জন্য।৩২ তম বি সি এস হয়েছিল সুধু মুক্তিযোদ্ধা জাতির জন্য।মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষায় যেখানে সর্বনিম্ন চান্স পায় ৫৫ ,সেখানে মুক্তিযোদ্ধা জাতির মানুষ ৩২ পেয়ে চান্স পায়।কি বৈষম্য?এখন তারা আলাদা জাতি।আসলেই তাই ,আগে ছিল পশ্চিম এবং পুর্ব পাকিস্তান জাতি।এখন মুক্তিযোদ্ধা আর অমুক্তিযোদ্ধা দুই জাতি।আগে পশ্চিমারা শোষণ করতো এখন করছে মুক্তিযোদ্ধারা।এই যদি হয় অবস্থা তাহলে আমি স্বাধীনতার বিরধী।সিংহভাগ জাতিকে বঞ্ছিত করে কিছু মুক্তিযোদ্ধাকে সুবিধা দেওয়ার জন্য যদি দেশ স্বাধীন হয় তাহলে আমি সেই স্বাধীনতার বিরোধী।আপনারা হয়তো আমাকে ভুল বুঝবেন কিন্তু আমার মত যারা মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে পড়াশুনা করে চাকরী পাচ্ছেন না তারা অবশ্যই আমাকে বুঝবেন।এই মুক্তিযোধ্যা কোটার কথা শুনলে আমার গা ঘিনঘিন করে আর মুক্তিযোধ্যাদের প্রতি অতটা শ্রদ্ধাবোধ থাকে না।এখন মুক্তিযোধ্যাদের দেখলে অতটা শ্রদ্ধাবোধ কাজ করে না,শুধু মনে হয় এরা একটা বিশেষ সুবিধাভুগী জাতি।তাই আমি আজকের প্রজন্মকে আহব্বান জানাই আপনারা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ান।১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছিল পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে আমারা লড়াই করি এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে।

বি দ্রঃ আমাকে আপনারা ভুল বুজলেও কিছু করার নাই।কারন দেশের নামকরা নামকরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে যখন চাকরী পাই না তখন আর ইতিহাস নিয়ে পরে থাকার যৌক্তিকতা খুজে পাই না।কে কবে যুদ্ধ করেছিল তা ভেবে শ্রদ্ধাবোধ এর ফুলঝড়ী ঝরাতে পারি না।এখন আমরা খেয়ে পরে বেচে থাকতে চাই।তা না হলে স্বাধীনতার বুলি আউরিয়ে আমার আপনার পেট ভরবে না।আমরা সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে পারি।

ভাই আমি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী না।আমি মুক্তি যোদ্ধাদের শ্রদ্ধা করি।আমি বংগবন্ধু এবং জিয়াউর রাহমান সবার কৃতিত্ব স্বীকার করি।কিন্তু এসব নিয়ে বারাবারি আর মাখামাখি ভাল না।যেমন শেখ মুজিব কে নিয়ে আওামি লীগ যে রকম বারাবারি আর মাখামাখি করতেছে তাতে তার প্রতি মানুশের শ্রদ্ধাবোধ কমছে।ঠিক একই ভাবে বি এন পি এর কারনে জিয়াউর রাহমান এর।আমি চাই মানুষের মন থেকে শ্রদ্ধাবোধ আসুক জোর করে নয়।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৬
২৪টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×