আমি আমার জীবনে একটি শিক্ষা খুব ভালোভাবে পেয়েছি ....
এ জীবনে আমি সবাইকে অসংখ্য ভালোবাসা ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছি । তবে রিটার্নে ফিরতি ভালোবাসাগুলো আমি এ মানুষগুলো থেকে খুব কমই পেয়েছি ।
আগে না আমি এর কারণ খুঁজতাম,আরে ভালো করলে তো নাকি কর্ম ভালো রিটার্নই দেয় তো কই তাহলে ?
অবশেষে খুঁজতে খুঁজতে একদিন পেয়ে গিয়েছি আরে ঐ, ভালোবাসাগুলো তো ফেরত পেয়েছি তবে আমার আপনজন থেকে নয়,বরং বাইরের দূরের কারো থেকে।
- আবার দেখেন খুব বাইরের কেউই হয়তো আপনার জন্য গলা সমান পানিতে নেমে পড়েও করছে তার মানে কি ?
সে তো আপনার আপন কেউও না । পর মানুষ থেকেই আপনি সেই ভালোবাসা প্রতিদানে পাচ্ছেন যা আপনি অন্যকে দিয়েছেন ।
আমাদের জীবনের প্রতিটি কর্মের হিসেব সমীকরণ বড় শক্ত ।
আমি আমার জীবনে সবচাইতে বেশি আপন থেকে পর মানুষদের ভালোবাসা বেশি পেয়েছে ।
যা সত্যি আমাকে পূর্ন করে রেখেছে । তার মানে কি পৃথিবীতে আমরা কেউই একা না বা সাপোর্ট হীনও না ।
কেউ না কেউ কোথাও না কোথাও থেকে এসে জুড়ে প্রতিনিয়ত আমাদের জীবনকে পরিপূর্ন করে রাখছে । আমাদের প্রয়োজন শুধু উপলব্দি করার ...
আমি এবার গ্রামে গিয়ে সবার এত্তো আদর পেয়েছি আমার বুকটা পুরা ভরে গেলো ।এখনো মনে হয় যেন আন্তরিকতার কাছে ছুটে যাই।
অন্তত তাও ভালো ফেইক মানুষের মতো তো না ।
উনারাও অবাক আমি এতো মিশুক হবো ভাবতে পারেনি । আমি শুধু এটা খাবো বলার দেরী আর করার দেরি । দই কতবার বানিয়েছে আমি হাতের দই পিঠা পছন্দ করি বলে ।
কিন্তু আমি নিজেকে প্রশ্ন করছিলাম এতো আমার দাদা বাড়ীর আপন কেউ করার কথা ছিল । পরে দেখলাম কার কাছে আবদার করবো ? দাদাই যে বেঁচে নেই ।
কিন্তু দেখলাম আল্লাহ ঠিকই দাদুর বয়সী বুড়ো এক নানু মিলিয়ে দিলো যিনি আমাদের জন্য এতো বেশী করেছেন l সত্যি নিজের প্রতি প্রশ্ন করছিলাম, " আমি হলে কি এতো করতাম তো ?"
আমি খুব আবেগে আপ্লুত হয়েই ঠিক করেছি আমি এ ভালোবাসার মর্যাদা সারাজীবন রাখবো ।
আমি সবসময় মানুষের মাঝে মিশে যেতে পারি । তবে এটুকু বয়স পর্যন্ত আমার জীবনে যতখানি অভিজ্ঞতা সব দিয়ে দেখেছি ভালোবাসা কখনো বিফলে যায় না । এটা কারো না কারো দ্বারা সৃষ্টিকর্তা পাঠিয়েই দেন،،
তাই সবসময় সব শেষে আমি বলি , "আলহামদুলিল্লাহ " যা পেয়েছি তোমার দরবারে ঢের পেয়েছি"
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪১