দু'দিন যাবত ঢাকায় বেশ ঠান্ডা পড়েছে । গতকাল বিকেলে হাঁটতে বের হয়ে বেশকিছু বিষয় লক্ষ্য করলাম যা আমাকে
ভাবিয়ে তুললো আসলেই আমরা করোনার চেয়ে শক্তিশালী । ছোট ছোট কয়েকটি ঘটনা আমাকে রীতিমতো হতবাক করে
তুললো যদিও মনে হল যে এরকম তো হচ্ছে তাতে আমার কি ? একজন মধ্যবয়স্ক লোক কে দেখলাম রাস্তায় চা পান
সিগারেট নিয়ে হেঁটে বিক্রি করছেন। তখন দুজন ক্রেতা সেই চা'ওয়ালা কাছ থেকে দুজন দুটো সিগারেট নিলেন ।
দু'জনেই ফোনে কথা বলছিলেন তাই চা বিক্রেতা সিগারেটের প্যাকেট খুলে নিজ হাতে দুজনকে দু পিস সিগারেট দিলেন।
চা-বিক্রেতা যেখানে সিগারেটটা ধরলেন ঠিক সে জায়গাতেই ধূমপান করা হয় । অথচ এই চা বিক্রেতা কতজন কে চা ,
পান , সিগারেটখাওয়াচ্ছেন টাকা লেনদেন করছেন । সে ক্ষেত্রে ক্রেতা বিক্রেতা দুইজন ব্যক্তির সচেতন হওয়া উচিত
চা বিক্রেতা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী উনার তো একটা কিছু করে খেতে হবে । এখন শীতকাল রাস্তার মোড়ে মোড়ে ভাপা পিঠা চিতই
পিঠা অহরহ বিক্রি হচ্ছে দেখলাম কেউই সচেতন নয়, যিনি বিক্রি করছেন এবং যিনি কিনছেন । আমি নিজেও রাস্তার
মুড়ি , চটপটি ফুচকা এসব খেতে পছন্দ করি কিন্তু এখন আর খাইনা । এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অসচেতনতা হয়তো চোখে পড়ায় একটু খারাপ লাগছে কিন্তু অনলাইনে খাবার অর্ডার করে খাচ্ছি, রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাচ্ছি আমরা হতে দেখছি না সেখানে আমরা কতটুকু নিরাপদ খাবার খাচ্ছি ।
করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশে আগের কঠোরতা আর নেই। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে নিয়ন্ত্রণ করার আগেই ব্যবসায়ীদের চাপে গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি খুলে দেওয়া, লকডাউন তুলে নেওয়া, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব সাধারণ মানুষ কর্তৃক মেনে না চলা, কথায় বলে- কেউ দেখে শিখে, কেউ ঠেকে শিখে। আমরা দেখে শিখিনি, ঠেকেও শিখিনি।
গ্রামের মানুষের মধ্যে অসচেতনতার মাত্রা অনেক বেশি। অন্য সময়ের মতোই অপ্রয়োজনে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং আড্ডা দিচ্ছে। তারা হয়তো এই ভাইরাসের ভয়াবহতা এখনো উপলব্ধি করতে পারেনি অথবা যা হওয়ার হবে এই মনোভাব।
শহুরে মানুষ কোভিড-১৯–এর বিষয়ে তুলনামূলকভাবে সচেতন এবং বেশ আতঙ্কগ্রস্ত। আতঙ্ক থেকে সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়া খুবই ভালো, কিন্তু আতঙ্কিত হয়ে এমন কোনো কিছু করা উচিত না যেন অন্যের কষ্ট ও ভোগান্তি দুটোই বাড়ে। বাংলাদেশে এখন মাস্ক ও স্যানিটাইজারের রমরমা ব্যবসা চলছে৷ সাধারণ মানুষ করোনা থেকে বাঁচতে বিভিন্ন ধরনের মাস্ককে উপায় হিসেবে বিবেচনা করছেন৷ আর হাত পরিষ্কার রাখার জন্য সানিটাইজার৷
আসুন নিজে সচেতন হই, অন্যকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করি; প্রত্যেকেই যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল আচরণ করি এবং ঐক্যবদ্ধভাবে কোভিড-১৯ মোকাবিলা করি। আর সবশেষে টিকার জন্য অধীর অপেক্ষায় আছি ।
ছবি : গুগল