সামাজিক নাম বেশ্যা...
রাজকীয় ভাবে যাদের আমরা বলি পতিতা.......
শরৎচন্দ্রের ভাষায় আমরা যাদের *গী নামে চিনি...
এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই বেশ্যা কাদের বলে?
উত্তরের তল খুঁজতে গিয়ে চলে এলাম আদিম সভ্যতায়। প্রাচীন কালে যারা গনিকাবৃত্তি পেশায় নিজেদের যুক্ত রাখত তারাই আগে পরিচিতা ছিলেন ওই নামে। প্রসঙ্গত বলাই যায় বিশ্বের প্রাচীনতম ব্যবসা হল এই গনিকাবৃত্তি-ই।
ছোট থেকে এই সব বিষয়ে বা এই সব নাম নিয়ে কোন বিশেষ মাথা ঘামানোরর দরকার পড়েনি কিন্তু মনে খটকা লেগেছিল যেদিন শুনেছিলাম "ওরা নাকি বাজারের মেয়ে মানুষ" অলপ বয়সে এই কথাটার আসল মানে না বুঝলেও পরে বুঝেছিলাম ওদের দেহ কিছু পুরুষ মানুষের কাছে প্রতি নিয়ত বিক্রি হয় তাই ওদের এমন নাম...তাহলে তো আরোও একটা প্রশ্ন জাগে যে -তাহলে ওদের "নষ্টা মেয়ে" কেন বলে??
উত্তরে দিয়েছিল ,
"পূরুষতান্ত্রিক সমাজ"
যেখানে বলা আছে নারী যদি স্বামী ছাড়া অন্য পর পুরুষের সামনে নিজেকে মেলে ধরে বা ঘোমটা সড়ায় তাহলে সে হবে তথাকথিত "নষ্টা মেয়ে"
কিন্তু বয়স কৌতূহলী...আবারো দেখা দিল আরোও একটা প্রশ্ন ,
আচ্ছা তাহলে যেসব পুরুষ বিয়ের পর নিজের স্ত্রী ছাড়াও প্রতি নিয়ত "বহুগামিতার আশ্রয় নেয়" তাদের আমরা কি বলব?
এর উত্তরে নাকি বাংলার একটা প্রবাদ আছে -"সোনার আংটি বাঁকা হলেও নাকি সোনাই থাকে"
তাহলে যা বোঝা গেল তা হল পুরুষ মানুষ নাকি সোনার আংটির সমান ।
কিন্তু বঙ্কিমচন্দ্রের মতে -
"নারী-ই হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ"
তাহলে পুরুষ মানুষের থেকেও দামী এই মেয়ে মানুষের সাথে "নষ্টা মেয়ে" কথাটা কেমন বেখাপ্পা লাগছে...তাই না?
এই নষ্টা মেয়েদের সাথে যখন পুরুষ গুলো তাদের কামনা মিটিয়ে এসে বাড়িতে বসে ধর্ষনের বিরুদ্ধে টেবিল চাপড়ায় তখন এদের কে কি বলা দরকার???
ছবি : গুগল
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৪