চালের দাম যে বাড়তির দিকে সেটা পত্রিকা আর টিভি মারফত আগেই জেনেছিলাম। তবে বাজারে যাওয়া হয়নি বলে ঠিক কত টাকা বেড়েছে সে বিষয়ে ধারণা ছিল না। প্রায় দুই সপ্তাহ পরে আজ চাল কিনতে গেলাম একটি সুপারশপে। সাধারণত সুপারশপগুলো শুক্র-শনিবার বিভিন্ন পণ্যে ছাড় দিয়ে থাকে, সেই আশায় ওই দ্বারে গমন। তবে চালের দাম দেখে বলা চলে রিতিমতো ভিমরি খেলাম।
গত দুই সপ্তাহ আগে যে চাল কিনেছে ৪৮ টাকা কেজি দরে, আজ সেটা ৫৭ টাকা। প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৯ টাকা করে। এটাও নাকি আবার ৩ টাকা ছাড় দিয়েছে। মানে দাড়াচ্ছে, ওদের হিসাবে প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১২ টাকা!
ধনী বলেন আর গরিব বলেন, চাল সবারই লাগে। সুতরাং চালের দাম বাড়া মানে সবার ওপরই সেটার প্রভাব পড়া। এমনিতেই পেঁয়াজের দাম আকাশচুম্বি। শাকসবজিও ৬০ টাকার কমে পাওয়া যায় না। এরপর এখন যদি চালের দামও বাড়তে থাকে তাহলে স্বল্প আয়ের লোকজন চলব কিভাবে? আর বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই এই স্বল্প আয়ের শ্রেণির।
তবে যদি আপনি এ আশা করেন আমাদের এ দুরাবস্থায় সংশ্লিষ্ট মহলের ঘুম হচ্ছে না, সেটা ভাবা একবারেই বোকামি। প্রমাণ অচিরেই পাবেন। এ নিয়ে মন্ত্রী-সচিবদের রসিকতায় আপনার নিজেকেই তখন অপরাধী মনে হবে। হয়তবা খাদ্যমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে বলবেন, চাল নিয়ে এ জাতীর কেন যে এত আহামরি ভাব। আমিতো চাল ছাড়াই ২২ পদের ভাত রান্না করতে জানি! চালের দাম আরও বাড়লে তখন হয়ত শুনবেন, গণভবনেতো ইদানিং চাল ঢোকেই না। সেখানে আটা আর আলু খেয়ে জীবন চলছে।
দায়িত্বশীলদের নিজেদের অযোগ্যতা ঢাকতে এ ধরনের রশিকতা শুনে তখন আমাদের (সাধারণ জনতা) মনে হবে, চাল দিয়ে ভাত রান্না করা আসলেই অপরাধ! চাল ছাড়া কেন যে ২২ পদের ভাত রান্না শিখলাম না!