somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভর্তি পরামর্শ: ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং

০৮ ই মে, ২০১২ রাত ১১:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ক্যাম্পাসনিউজ.কম.বিডি
তারিখ : মে ৮, ২০১২

এবার যারা স্কুল/মাদ্রাসা/ভোকেশনাল থেকে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পাশ করেছেন তারা ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়াশোনা করতে পারেন। দেশের প্রায় প্রতিটি জেলা শহরেই এখন সরকারী পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউট আছে,যেমন: ঢাকা পলিটেকনিক,রংপুর পলিটেকনিক,ফেনী পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউট,কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউট বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউট ইত্যাদি।



বেসিরকারীপলিটেকনিক যেমন: ইনিষ্টিটিউট অব কম্পিউটার সায়েন্স আ্যন্ড টেকনোলজি(আই সি এস টি)ফেনী-নোয়াখালী আইডিয়াল পলিটেকনিক-শ্যামলী পলিটেকনিক-আহসান উল্লাহ পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউট ইত্যাদি।
এছাড়াও এখন প্রচুর বেসরকারী পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউট আছে,সরকারী আর বেসরকারীতে সিলেবাসের কোন


পার্থক্য নেই। আপনি এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে ২.৫০/৩+থেকে জিপিএ ৫ পয়েন্ট নিয়ে ভর্তি হতে পারবেন। তবে সরকারী পলিটেকনিকে আপনাকে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে উর্তীন্ন হতে হবে।
বেসরকারী পলিটেকনিকে জিপিএ অনেক বেশি না থাকলেও ভর্তি হওয়া যাবে,তবে সরকারীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে হলে এ মাইনাস থেকে জিপিএ৫ কিংবা গোল্ডেন এ প্লাস হলেও চলবে।
এসএসসি ফলাফল দেয়ার আগ থেকেই বিভিন্ন ভর্তি কোচিং সেন্টার থেকে আপনি ৪৫ দিনের বা আরো বেশি দিনের কোচিং করতে পারবেন,এক্ষেত্রে আপনাকে কিছু গাইড থেকে অভিজ্ঞরা পরামর্শ দিবেন। অনলাইনে আপনাকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের জন্য আবেদন করতে হবে এবং নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে টেলিটক সিমের মাধ্যমে।

ফরম পূরণ করার সময়ে ফর্মে আপনাকে সাবজেক্ট/ডিপার্টমেন্ট বাছাই করার সুবিদা দেয়া হবেেআপনি যেকোন ৩টি ডিপার্টমেন্ট এর নাম লিখতে পারেবন (৩ এর বেশিও থাকতে পারে) আপনি ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের জন্য প্রবেশ পত্র কিভাবে পাবেন বা কোথায় পাবেন তা আপনাকে মেসেজ এর মধ্যে জানিয়ে দিবে,এবং আপনার রোল নাম্বার সহ।

নির্দিষ্ট তারিখে একই শহরে অবস্থিত কয়েকটি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা নেয়া হবে যদি সিটের সংকুলান হয়ে যায় তবে একটাতেই পরীক্ষা নেয় হবে,এ ক্ষেত্রে সরকারী পলিটেকনিকই বেশিরভাগ পরীক্সা হয়ে থাকে।

পলিটেকনিকে সরকারী গুলোতে ২ শিপট এ ভর্তি নেওয়া হয়,সকাল/বিকাল-বেলা তাই পরীক্ষাও ২ বারেই নেওয়া হবে,প্রথম পরীক্ষার ফলাফল গুলো সবার মোবাইলে জানিয়ে দেওয়া হবে। এরপর ২য়বার পরীক্ষা নেয়া হবে,সিস্টেম ২ টারই এক।
যারা ১ম বার পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে পারেনি তারা ২য় বার আবার পরীক্ষা দিতে পারবে।

ভর্তি সংক্রান্ত আরো বিস্তারিত জানার জন্য পরিচিত কোন পলিটেকনিকের বড় ভাই কিংবা শিক্ষক অথবা যে সকল প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ফরম পূরন করা হয় সেখানে গিয়ে আরো ইনফরমেশন নেওয়া ভালো। আপনার জিপিএ ছাড়াও কিছু সাবজেক্ট কে বেশি প্রাধন্য দেওয়া হয় যেমন, গনিত,বিজ্ঞান

ভর্তি পরীক্ষায় টিকে গেলে আপনাকে সেন্টার জানিয়ে দেওয়া হবে মানে কোথায় আপনি ভর্তি হবেন,আপনাকে কিছু কাগজপত্র নেওয়া লাগবে, আপনার মেডিকেল টেষ্ট করা হবে। এবার আপনি ওই পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউটের শিক্ষার্থী,ক্লাস শুরু হবে ভর্তির ৪৫ দিন পরে(কম/বেশি হতে পারে)

যাদের জিপিএ কম তারা বেশিরকারী পলিটেকনিকে ভর্তি হতে পারেন,খরচ একটু বেশি হলেও পড়াশোনার মান ভালো।
বেশিরকারীতেও আজকাল বিশ্বব্যাংক হতে মাসিক ৮০০ টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে,সরকারীও তেও দেওয়া হবে।
সরকারীতে তে প্রতি সেমিস্টারে ভালো করলে টাকা দেওয়া হয় কলেজ থেকে।

বেসরকারীতে প্রতি সেমিস্টারে ভালো করলে কোন কোন ইনিষ্টিটিউটে টাকা সেমিস্টার ফিতে ছাড় দেওয়া হয়। ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এর কিছু ডিপার্টমেন্ট/টেকনোলজি হচ্ছে :
ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রক্সি ইঞ্জিনিয়ারিং
ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং
ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
ডিপ্লোমা ইন আর্কিটেকচার ইঞ্জিনিয়ারিং
ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং
ডিপ্লোমা ইন সার্ভে ইঞ্জিনিয়ারিং
ডিপ্লোমা ইন ফুড আ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সহ আরো অনেক…..
মোট ৮টি সেমিস্টারে ৪ বছর শেষ হবে,নতুন প্রবিধান অনুসারে(২০১০) প্রথম ৩ পর্ব নিজ ইনিষ্টিটিউটে পরীক্ষা হবে বাকী গুলো বোর্ড এর আন্ডারে।
৭ম পর্বে ৬ মাসের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেইনিং এর জন্য বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ট্রেনিং করার সুযোগ,ওই সেমস্টিারে কোন বই থাকবে না।
প্রতিটি সেমিস্টার পরীক্ষা হয় ৬ মাস পর পর এবং এর মাঝে একটি মিড টার্ম পরীক্ষা নেওয়া হবে নিজ ইনিস্টিটিউটে।

যারা ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চান তাদের গনিতে ভালো ধারনা থাকলে ভালো কেননা এখানে সব বিভাগেই গনিতের অংশ বেশি।
ডিপার্টমেন্টাল বিষয় ছাড়াও আপনাকে,ম্যাথমেটিক্স,ফিজিক্স,কেমিষ্ট্রি,ইংরেজী,সোস্যাল সায়েন্স, হিসাব বিজ্ঞান বই পড়তে হবে।
মানে আপনাকে আর্টস,কমার্স,সায়েন্স সবই এখানে পড়তে হবে।

ক্যারিয়ার : ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর আপনি সরকারী কিংবা বেশরকারী ইউনিভার্সটি থেকে বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং করতে পারবেন ৩ বছরের কোর্স।
চাকরির ক্ষেত্রে আপনার জিপিএ ভালো হলে ভালো প্রতিষ্ঠানে চান্স পাবার সম্ভাবনা বেশি,তবে কোন কোন প্রতিষ্ঠানে যেমন উ্যপাদনমূখী প্রতিষ্ঠানে আপনার জিপিএ এর থেকে আপনসার প্রাকট্রিক্যাল কাজের মূল্যায়ন বেশি।
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর নিজেই ছোট খাট প্রতিষ্টান স্থাপন করে আত্ব-কর্মসংস্তান করে নিতে পারেন মোট কথা হলো

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা মানে আপনি কিছু না কিছু পারেন। সরকারী ক্ষেত্রে চাকরির সম্ভাবনা ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রচুর,যেমন সড়ক বিভাগ,পানি উন্নয়ন বোর্ড,বিদ্যুত বিভাগ ইত্যাদি।

বেসরকারী প্রতিষ্ঠান যেমন,রহিম আফরোজ,নাভানা,বিভিন্ন পাওয়ার ফ্লান্ট ইত্যাদিতে চাকরির সুযোগ আছে
মোবাইল কোম্পানীতে চাকরির অনেক সুযোগ আছে,যেমন রবি,গ্রামীনফোন,টেলিটক,এয়ারটেল ইত্যাদি।ডিপ্লোমা পাশ করার পর বিএসসি করতে আপনি ডুয়েট এ ভর্তি হতে পারবেন,এবং বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও বিএসসি করে নিতে পারবেন।

ভর্তি পরামর্শ দিয়েছেন: আনোয়ার হোসেন রানা



ইলেকট্রন্ক্সি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ শেষ পর্ব
ইনিষ্টিটিউট অব কম্পিউটার সায়েন্স আ্যন্ড টেকনোলজি(আই সি এস টি) ফেনী

ক্যাম্পাসনিউজ.কম.বিডি- ভর্তি তথ্য বিভাগ

আরো ভর্তি তথ্য পেতে ফেইসবুক পেইজে চোখ রাখুন: Like here
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×