প্রভাবশালী বাণিজ্য সাময়িকী "ফরচুন" সম্প্রতি প্রকাশ করেছে ৪০জন ব্যবসা ব্যক্তিত্বের তালিকা, যাদের বিবেচনা করা হচ্ছে আগামী দিনের তারকা হিসেবেই। এই তালিকায় প্রথম তিন জনের তিন জনই আইটি বা তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে জড়িত। গোটা তালিকাতেই প্রাধান্য রয়েছে প্রযুক্তির, আরো নির্দিষ্ট করে বললে, অনলাইন প্রযুক্তির তরুণ কুশলীদের। ফরচুনের সেই তালিকা থেকে প্রযুক্তি সেক্টরের ০৬ জনকে নিয়ে এই আয়োজন।
"সার্গেই ব্রিন ও ল্যারি পেজ" গুগলের প্রতিষ্ঠাতা
বয়স: দুজনেরই বর্তমান বয়স ৩৬ বছর
বৈবাহিক অবস্থা: দুজনেই বিবাহিত
শিক্ষাগত যোগ্যতা: দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন।
হ্যাঁ, তাদের দুজনের বয়স এখন চল্লিশের নিচে অবস্থান করছে, কিন্তু দুজনের কাছেই রয়েছে সমান সম্পদ। ১৪ বিলিয়ন ডলারের মালিক এই দুজনেই।
তবে এ বছর তারা উভয়েই এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। এন্টিট্রাস্ট মামলায় তাদের প্রতিষ্ঠান গুগল এখন তদন্তের সম্মুখীন। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত সব লেখকের বই নিয়ে তারা করতে চেয়েছিলেন একটি অনলাইন লাইব্রেরি। এই লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হলে তা প্রকাশনার জগতে গুগলকে একচ্ছত্র আধিপত্য এনে দেবে, যা আমেরিকার প্রচলিত আইনের পরিপন্থী। পাশাপাশি রয়েছে কপিরাইট বিষয়ক বিভিন্ন ইস্যু, বিজ্ঞাপন থেকে আয় কমে যাওয়ার আশঙ্কা এবং প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার চুক্তিভিক্তিক কর্মচারীকে ছাটাই করার সম্ভাব্য বাস্তবতা।
গুগল নামের কোম্পানিকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এই দুজন- রাশিয়ায় জন্মগ্রহণকারী ব্রিন ও যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে জন্মগ্রহণকারী পেজ। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের থাকার এক ঘর থেকেই তাদের এই কোম্পানি- গুগলের জন্ম হয়। এখন যার বাজার মূল্য ১৭৪ বিলিয়ন ডলার। তারা দুজনে মিলে এখন মোবাইল যন্ত্র ও সফটওয়্যারও বানাচ্ছেন।
বিশেষ তথ্য: দুজনই এখনো একই অফিস ভাগাভাগি করে কাজ করেন।
মার্ক জুকারবার্গ
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা
বয়স ২৫
বৈবাহিক অবস্থা: অবিবাহিত।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌকাঠ মাড়িয়েছেন তবে পেরোননি।
হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ না করেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কের কাজ শুরু করেন। এই নেটওয়ার্কে এখন ৩০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী আছেন এবং ফেসবুকের বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। এর মাঝে অনেক সোশ্যাল নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠান এসেছে আবার চলেও গেছে। জুকারবার্গ তার দর্শনে স্থীর রয়েছেন এবং তিনি আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগের এমন এক জগত তৈরি করেছেন যা আসলে আমাদের দৈনন্দিন সামাজিক যোগাযোগেরই প্রতিফলন।
২০০৮ সালে তিনি সিরিল স্যান্ডবার্গ নামের ৪০ বছরের এক মহিলাকে গুগল থেকে নিয়ে আসেন, উদ্দেশ্য আরো টাকা বানানো। এ বছর তাদের আয়ের লক্ষ্য গত বছরের দ্বিগুণ, অর্থাৎ ৫০০ মিলিয়ন ডলার।
বিশেষ তথ্য: ব্যবসায় প্রথম বিজনেস কার্ড ব্যবহার করতেন, তাতে পদমর্যাদা লেখা ছিল- আই অ্যাম সিইও, বিচ।
বিজ স্টোন ও ইভান উইলিয়ামস
টুইটারের প্রতিষ্ঠাতা
বয়স: ৩৫ ও ৩৭ বছর
বৈবাহিক অবস্থা: উভয়েই বিবাহিত
শিক্ষাগত যোগ্যতা: কলেজ পর্যন্ত।
টুইটার হচ্ছে মাইক্রোব্লগিং বা ছোট আকারে নিজের কথা জানানোর একটি মাধ্যম। চার বছরের মাথায় কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই টুইটার সাইট ভিজিটরের সংখ্যা মাসে প্রায় ২১ মিলিয়নে এসে দাঁড়িয়েছে। বিদ্যুৎগতিতে সংবাদ ছড়ানোর জন্য এটি এতো জনপ্রিয় মাধ্যমে পরিণত হয়েছে যে, এ বছর ইরানের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সরকার এর প্রতিষ্ঠাতাদের অনুরোধ করে যেন সাইট দ্রুত আপডেট না করা হয়।
টুইটারে অবশ্য একটি জিনিসের অভাব রয়েছে, তা হলো- এটি এখনো বিজনেস মডেল হিসেবে দাঁড়ায়নি। এর প্রতিষ্ঠাতা, উইলিয়ামস ও স্টোন (এদের সাথে আরেকজন রয়েছেন, যার নাম জ্যাক ডোরসে, যিনি এখনো এর চেয়ারম্যান) খুব দ্রুত বড়লোক হতে চান না। তবে তারপরেও ইতোমধ্যেই তারা ১ বিলিয়ন মুল্যের সমান অর্থ জমা করে ফেলেছেন।
বিশেষ ঘটনা: উইলিয়ামস তার ব্লগ সার্ভিস ব্লগারডটকম ২০০৩ সালে গুগলের কাছে বিক্রি করে দেন।
ম্যাক্স লেভচিন
পেপালের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, ও স্লাইড ডট কম এর প্রতিষ্ঠাতা
বয়স -৩৪ বছর
বৈবাহিক অবস্থা: বিবাহিত
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক
ইউক্রেনে জন্মগ্রহণকারী লেভিচিন যখন ২৩ বছর তখন সে পালো অ্যালটোর পথে পা বাড়ায়। সেখানে তিনি এক বিনিয়োগকারীকে খুঁজে বের করেন যে লেভিনের নতুন আইডিয়ার পিছনে বিনিয়োগ করতে পারবে। এর মাধ্যমেই জন্ম নেয় অনলাইনে টাকা প্রদান করার প্রথম পদ্ধতি যার নাম পেপাল.কম। যখন ই-বে এটি কিনে নেয় ১.৫ বিলিয়ন ডলারে তখন লেভিচিন তার নিজের ব্যাংকে ভরেন ৩৪ মিলিয়ন ডলার।
তার নতুন অভিযান স্লাইড.কম। এখনও এটি বাজারে ততোটা হৈচৈ ফেলেনি। তবে স্লাইড ও তার অন্য প্রকল্পগুলো, যেমন ইয়েল্প ডট কম এর উপর নজর রাখা হচ্ছে লেভচিনের সৃজনশীলতার জন্যই।
বিশেষ তথ্য : তিনি গসবেক লেভচিন ফ্রড টেস্টের উদ্ভাবক। অনলাইনে কোন আর্থিক লেনদেন বা অ্যাকাউন্ট খোলার সময় স্ক্রিনে ডিসপ্লে করা টেক্সট একটি বিশেষ বক্সে টাইপ করতে হয়, তিনি এই সিস্টেমের উদ্ভাবক।
লিনাস টরভেল্ড
'লিনাক্স' অপারেটিং সিস্টেম উদ্ভাবন করেন
ইউনিক্স এর মতো গোপনীয় আর জটিল অপারেটিং সিস্টেমকে সহজ আর মুক্তভাবে প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে লিনাস টরভেল্ড 'লিনাক্স' অপারেটিং সিস্টেম উদ্ভাবন করে প্রযুক্তি জগতে বিপ্লবের সূচনা করেন। লিনাস টরভেল্ড এর তত্ত্বের উপর ভিত্তি করেই এগিয়ে চলেছে অপারেটিং সিস্টেম এর উৎকর্ষ বৃদ্ধি।
লিনাস বিশ্বাস করেন, ওপেন সোর্স হচ্ছে সফটওয়্যার ব্যবহারের সবচেয়ে সঠিক পন্থা। যদিও তিনি নন - কারন্যাল ডাটাবেজকে সমর্থন করেন না।
কম্পিউটারের সঙ্গে লিনাস টরভেল্ড এর প্রথম সখ্য গড়ে উঠে কমোডোর ভিক -২০ নামক কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে। এরপর সিনক্লিয়ার কিউএল নামক কম্পিউটার ব্যবহার করতে গিয়ে অপারেটিং সিস্টেম এর ব্যাপক পরিবর্তন আনেন এবং লেখার জন্য প্রোগ্রাম তৈরি করেন। এই সময় তিনি কিছু কম্পিউটার গেইমও তৈরি করেন। ১৯৯০ সালের শেষ দিকে ৮০৩৮৬ ভিত্তিক আইবিএমের ব্যক্তিগত ব্যবহার্য কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি লিনাস অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে কাজ শুরু করেন।
বর্তমানে আমেরিকায় বসবাস করেলেও লিনাস টরভেল্ড ফিনল্যাল্ডের হেলসিংকিং শহরে জন্ম গ্রহণ করেন ঊনিশ ঊনসত্তর সালের আটাশে ডিসেম্বর । পিতা আননা টরভেলস এবং মাতা নীলস টরভেলস দু'জনেই সাংবাদিক ছিলেন। আর দাদা ওলি টরভেলস ছিলেন বিখ্যাত কবি।
আমেরিকার বিখ্যাত রসায়নবিদ এবং নোবেল বিজয়ী লিনাস পাউলিং এর নামানুসারে বাবা-মা তার নাম রাখেন 'লিনাস'। তবে লিনাস মনে করেন তার নাম রাখা হয়েছে বিখ্যাত কমিকস বই 'চীনাবাদাম এর চরিত্র লিনাস অনুসারে ।
১৯৮৮ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত টরভেল্ড হেলসিংকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তাঁর স্নাতকোত্তর থিসিসের শিরোনাম ছিল 'লিনাক্স, একটি গ্রহণযোগ্য অপারেটিং সিস্টেম।' পরের তিন বছর তিনি কাজ করেন লিনাক্স এবং ইউনিক্স এর জন্য একটি আর্দশ বাইনারি ফরম্যাট তৈরি করতে।
কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য টাইম ম্যাগাজিন কর্তৃক নির্বাচিত সেরা একশ' ব্যক্তিত্বের মধ্যে ষোলতম হয়েছিলেন লিনাস। বিজনেস উইক ম্যাগাজিনের জরিপে সেরা ব্যবস্থাপক হিসাবেও স্বীকৃতি পান তিনি।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারে ভূষিত হন লিনাক্স টরভেল্ড।
কামাল আশরাফ/এমডিকে/২৩২৫ ঘ./৩১.১০.০৭
স্টিভ জবস
অ্যাপল এর প্রধান নির্বাহী
একবার ভাবুনতো, কম্পিউটার আবিষ্কারের প্রথম দিককার কথা! দৈত্যাকৃতি সেই বিশাল কম্পিউটারগুলো যেগুলো ব্যবহৃত হতো সরকারী কাজে এবং সাধারন মানুষের কাছে ছিল রহস্যময়। বিশাল আকৃতির এই রহস্যময় যন্ত্রটিকে সাধারণ মানুষের কাছে ব্যবহারযোগ্য করে গড়ে তুলতে এর বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটান স্টিভেন পল জবস এবং তার সঙ্গী স্টিভ উইজনিক।
কম্পিউটার প্রযুক্তি এবং বিনোদন শিল্পের উদ্যোক্তা হিসাবে স্টিভ জবস ব্যাপক পরিচিতি নাম। পুরো নাম স্টিভেন পল জবস। তিনি কম্পিউটার ও প্রযুক্তিপন্য তৈরির প্রতিষ্ঠান অ্যাপল'র সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমান প্রধান নির্বাহী। এছাড়া বিনোদনভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান ডিজনির পরিচালনা পরিষদের একজন সদস্য।
অ্যাপল উদ্ভাবনের মাধ্যমেই কম্পিউটার সম্পর্কে মানুষের ধারনাতে আমূল পরিবর্তন আসে। মূলত জবস এর ধারনা থেকে বর্তমান হার্ডওয়্যার এবং সফটঅয়্যার প্রযুক্তিতে যুগান-কারী উন্নতি হতে চলেছে।
Stevejobsবানিজ্যিক ভাবে কম্পিউটার এর উৎপাদন করার জন্য ১৯৭৬ সালের এপ্রিল মাসে জবস এবং উইজনিক যৌথ বিনিয়োগে 'অ্যাপল কম্পিউটার কোম্পানি' নামের একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। অ্যাপল কম্পিউটার কোম্পানি প্রথমে বাজারে ছাড়ে অ্যাপল ১ এবং পরবর্তীতে অ্যাপল ২ নামে ব্যক্তিগত ব্যবহারযোগ্য কম্পিউটার। এগুলো খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
১৯৮৫ সালে অ্যাপল কোম্পানির তৎকালীন প্রধান নির্বাহী স্কুলির সঙ্গে সর্ম্পকের অবনতি কারনে জবসকে কাজ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। স্কুলির ছুঁড়ে দেয়া চ্যালেঞ্জের কথা ভুলে যাননি জবস। নতুন উদ্যমে শুরু করেন তিনি। নিজের কাঁধে তুলে নিলেন পৃথিবীকে বদলে দেয়ার কাজ। ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন নেক্সট কম্পিউটার নামের একটি প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তিগত অবকাঠামো ছিলো অনেক অগ্রগামী। এছাড়া নেক্সট কম্পিউটার থেকে বহু জনপ্রিয় গেইম বাজারে ছাড়া হয়। ওয়েব এর উন্নয়নের জন্য নেক্সট দরুন ভূমিকা পালন করে। নেক্সট মেইল ছিল প্রথম দৃশ্যমান গ্রাফিক্সস এবং অডিও সমৃদ্ধ ইমেইল।
১৯৯৬ সালে জবস অ্যাপল কোম্পানি চারশো দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে কিনে নিলে ১৯৯৭ সালে অর্ন্তবর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী হিসাবে যোগ দেন। এই সময় জবস কিছু প্রকল্প হাতে নেন এগুলোর মধ্যে ছিল নিউটন, সইবারডগ, ওপেনডক। ২০০০ সালে এসে অর্ন্তবর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী থেকে স্থায়ী প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব নেন এবং এখন পর্যন- দায়িত্ব পালন করছেন।
১৯৫৫ সালের ২৪ শে ফেব্রুয়ারি ক্যালিফোনির্য়ার সানফ্রান্সিকোতে জন্ম নেন জবস। জন্মের পর তার অবিবাহিত মা তাকে দত্তগ্রহীতা পিতামাতা পল এবং ক্লায়ার কাছে অর্পণ করেন। যদিও তার জন্মদাতা পিতামাতা পরবর্তীতে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন' তার বোন উপন্যাসিক মোনা সিমসন এর জন্মের কয়েক বছর পরই আবার বিয়ে ভেঙ্গে যায়। দত্তক গ্রহীতা বাবা-মা তার নতুন নাম রাখেন স্টিভেন পল জবস।
স্টিভেন পল জবস কিউপার টিনো মাধ্যমিক স্কুলে লেখাপড়া শুরু করেন। মাধ্যমিক শিক্ষা শেষে হোমস্টেড উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। স্টিভ উইজনিকের সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন চাকুরীজীবী হিসাবে কাজ করেন এবং ১৯৭২ সালে জবস স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।
ফোর্টল্যান্ডের রিড কলেজে ভর্তি হলেও জবস এক সেমিস্টার করার পর তা স্থগিত করে দেন।
আপনাদের যদি এই পোষ্টটা ভালো লাগে তাহলে লাইক দিতে ভুলবেননা যেন। তবে যাদের বয়স মাত্র ১৮-২২ তারা আবার ঈর্ষান্বিত হবেন না যেন।
আলোচিত ব্লগ
লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?
মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন
অভিনেতা
বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়
প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন
চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)
সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন
তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?
আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন