জানি না অন্য মানুষ কিভাবে তাদের ছেলেবেলা কাটিয়েছে, আমি কাটিয়েছি অসম্ভব দুষ্টুমিতে ছোটবেলা থেকেই আমার ভয় ডর একটু কম। আমি কখনই কোন কিছুতে ভয় পেতাম না । অনেকে হয়ত ভাববে “এই বেটা নিজের বড়াই করে যাচ্ছে“ আসলে সমস্ত ঘটনা না শুনলে আপনি বুঝতে পারবেন না। যাই হোক, হটাৎ করেই মনে হল আমার ছোট বেলার সেই দুষ্টুমির কথা মনে পরে গেলো আর নিজের মনেই ভেবে বসলাম আমার তো ভালই সাহস ছিলো। যাই হোক সবার প্রথমে বলি আমার কেজিতে পড়া কালীন একটি ঘটনা। তখন বয়স হবে বড় জোর ৬-৭ বছর। আর আমার বড় ভাই তখন মনে হয় চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে । আমরা থাকতাম ৫২১/৩ শহীদবাগে। বারয়িতা ছিল চারতলা, পাছ তলা এর কাজ চলছে আমি আমার ভাই আর আমার এক খালাতো ভাই রাশেদ ছাদে বল নিয়ে ক্রিকেট খেলতে ছিলাম। তো হটাৎ করে বল চলে যায় পাশের বাড়ীর ছাদে। আসে পাশে কেউ নাই কি আর করা আমরা দেখলাম মাত্র ২ হাত দূরে পাশের বিল্ডিং , লাফ দিয়েই তো চলে যাওয়া যায় । এক এক করে তিন জনেই লাফিয়ে চলে গেলাম পাশের বাড়ীর ছাদে গিয়ে তো আমাদের সেই ভাব। ম্যাকগাইভার এর মত কাজ করে ফেলেছি। আমাদের হাসাহাসি শুনে কোথা থেকে যেন এক লোক চলে এলো। আরে ব্যাটা, এতক্ষণ যে ডাকলাম বলটা দেবার জন্য তখন কই ছিলি? এসেই তো সেই লোকের হম্বিতম্বি “এই তোমরা কারা? কোথা থেকে এসেছ?” আমরা বললাম এই তো পাশের বিল্ডিং থেকে এসেছি। উনি বললেন “কি বলে এই পোলাপান? যাও বাসায় যাও।” কি আর করা আমি তো রহনা দিলাম ছাদের কোনায় আবার লাফ দিয়ে ফেরত যেতে নিজেদের বিল্ডিং এ। কিন্তু লোকটা আমাদের ধরে নিচে নামিয়ে দিলেন । এবার শুরু আসল বিপদ। যদিও ঐ বিল্ডিঙটা আমাদের বাসার সাথে লাগানো ছিল কিন্তু ওটা আসলে অন্য এলাকায় পরে গিয়েছিলো মাঝখানে ছিল দেয়াল। কোন ভাবেই আমাদের বাসায় আসার উপায় ছিল না নিচ দিয়ে। আমার খালাত ভাই রাশেদ ছিল একটু চালাক টাইপের, ও বলল ও নাকি রাস্তা চিনে। তো শুরু করলাম হাঁটা । হাঁটতে হাঁটতে ২ ঘণ্টা পর মনে হয় বাসায় আসতে পেরেছিলাম । মাঝখানে রাশেদ এক বাসায় ঢুকে পরাতে খেয়েছিল এক চড়। আমরা কি আর জানতাম ওই একতলা বাসার ভেতর দিয়ে অন্য পাশে বের হওয়া যায় না? এই ছিল সেদিনকার সেই মজার ঘটনা। ধীরে ধীরে বাকি সব ঘটনা লিখে ফেলবো আশা করি।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৮:২৪