somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার ছেলেবেলা। (স্মৃতি চারণ মূলক পোস্ট)

২৪ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৮:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জানি না অন্য মানুষ কিভাবে তাদের ছেলেবেলা কাটিয়েছে, আমি কাটিয়েছি অসম্ভব দুষ্টুমিতে :D ছোটবেলা থেকেই আমার ভয় ডর একটু কম। আমি কখনই কোন কিছুতে ভয় পেতাম না । অনেকে হয়ত ভাববে “এই বেটা নিজের বড়াই করে যাচ্ছে“ আসলে সমস্ত ঘটনা না শুনলে আপনি বুঝতে পারবেন না। যাই হোক, হটাৎ করেই মনে হল আমার ছোট বেলার সেই দুষ্টুমির কথা মনে পরে গেলো আর নিজের মনেই ভেবে বসলাম আমার তো ভালই সাহস ছিলো। যাই হোক সবার প্রথমে বলি আমার কেজিতে পড়া কালীন একটি ঘটনা। তখন বয়স হবে বড় জোর ৬-৭ বছর। আর আমার বড় ভাই তখন মনে হয় চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে । আমরা থাকতাম ৫২১/৩ শহীদবাগে। বারয়িতা ছিল চারতলা, পাছ তলা এর কাজ চলছে আমি আমার ভাই আর আমার এক খালাতো ভাই রাশেদ ছাদে বল নিয়ে ক্রিকেট খেলতে ছিলাম। তো হটাৎ করে বল চলে যায় পাশের বাড়ীর ছাদে। আসে পাশে কেউ নাই কি আর করা আমরা দেখলাম মাত্র ২ হাত দূরে পাশের বিল্ডিং , লাফ দিয়েই তো চলে যাওয়া যায় । এক এক করে তিন জনেই লাফিয়ে চলে গেলাম পাশের বাড়ীর ছাদে গিয়ে তো আমাদের সেই ভাব। ম্যাকগাইভার এর মত কাজ করে ফেলেছি। আমাদের হাসাহাসি শুনে কোথা থেকে যেন এক লোক চলে এলো। আরে ব্যাটা, এতক্ষণ যে ডাকলাম বলটা দেবার জন্য তখন কই ছিলি? এসেই তো সেই লোকের হম্বিতম্বি “এই তোমরা কারা? কোথা থেকে এসেছ?” আমরা বললাম এই তো পাশের বিল্ডিং থেকে এসেছি। উনি বললেন “কি বলে এই পোলাপান? যাও বাসায় যাও।” কি আর করা আমি তো রহনা দিলাম ছাদের কোনায় আবার লাফ দিয়ে ফেরত যেতে নিজেদের বিল্ডিং এ। কিন্তু লোকটা আমাদের ধরে নিচে নামিয়ে দিলেন । এবার শুরু আসল বিপদ। যদিও ঐ বিল্ডিঙটা আমাদের বাসার সাথে লাগানো ছিল কিন্তু ওটা আসলে অন্য এলাকায় পরে গিয়েছিলো মাঝখানে ছিল দেয়াল। কোন ভাবেই আমাদের বাসায় আসার উপায় ছিল না নিচ দিয়ে। আমার খালাত ভাই রাশেদ ছিল একটু চালাক টাইপের, ও বলল ও নাকি রাস্তা চিনে। তো শুরু করলাম হাঁটা । হাঁটতে হাঁটতে ২ ঘণ্টা পর মনে হয় বাসায় আসতে পেরেছিলাম । মাঝখানে রাশেদ এক বাসায় ঢুকে পরাতে খেয়েছিল এক চড়। আমরা কি আর জানতাম ওই একতলা বাসার ভেতর দিয়ে অন্য পাশে বের হওয়া যায় না? এই ছিল সেদিনকার সেই মজার ঘটনা। ধীরে ধীরে বাকি সব ঘটনা লিখে ফেলবো আশা করি।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৮:২৪
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

কওমী মাদ্রাসায় আলেম তৈরী হয় না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×