আপেক্ষিকতায় বেচে আছি আমি। সহস্র যুগের সন্তরনে, একচিলতে পলিময় বদ্বীপ সন্ধানী ভীরু নাবিক হয়ে। আমি পেরিয়েছি ত্রয়ী অরণ্য। ভাগ্যাহত বেগুনী আকাশে চিল হয়ে কাটিয়েছি শকুন হওয়ার আকাঙ্খায়। পারিনি। তবে দুফোটা জেহের ও সাতটি ধুতরা ফুল ভোগে একবার নীলকন্ঠ হয়েছিলাম। তুমি দেখনি। দেখবেই বা কেমন করে? আমি যে চৌরাস্তার লালবাতি অমান্য করে ছুটেছিলাম। তোমার প্রত্যাশায়। ছুতে পারিনি। নীল কন্ঠরা নাকি হীরা-মতি ছুতে পারেনা। ঈশ্বরের কড়া নিষেধাজ্ঞা। আমি ঈশ্বর ভত্সর্নায় যাইনি। আস্তিকতার মাঝেই তোমায় খুজেছি। তুমি আস্তিকতার পূজারী। আমি তোমার সাথে সাংঘর্ষিক হইনি। আমি আপেক্ষিক। তুমি আমার অপেক্ষা।
আমি প্রস্তর পেরিয়েছি। রেনেসার সাথে মানাতে পারিনি। আমি সুপ্ত প্রস্তর। তুমি রেনেসা কিংবা কলি কালের ব্যস্ত নগরী। আমি ব্যস্ততায় হারাতে পারিনি। তোমার কাছে এখন আমি ঘুমন্ত নগরী, তুমি জাগ্রত মুখরতা। আমি স্থির, তুমি চলন্ত ব্যাকুলতা। আমি রোদে পোড়া কিষাণ, তুমি দুর্বার-দুর্বিনীত বেদুঈন। তুমি তুখোড় ভাষী সরবতা, আর আমি পঞ্চাশের নির্বাক চলচ্চিত্র।
আমি নির্বীকতায় বাচতে চাই। নির্বীকতার ধুতরায় আরেকবার নীলকন্ঠ হতে চাই। তোমার সরবতার মাঝে এক চিমটে নিরবতায় আমায় ঋনী করে নিও। মহাকালে না হয় চুকিয়ে দিব।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




