বিবর্তনের ধারায় মস্তিস্কের গঠনই সবকিছু নয়-এমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞেরা। যুক্তরাজ্যের গবেষকরা প্রকাশ করেছেন যে বিবর্তনের ফলে মস্তিস্কের কোষগুলোর মধ্যে সংযোগের মাঝে ক্রমবর্ধমান জটিলতাই বরং মানব মস্তিস্কের কর্মক্ষমতার মুল চালিকাশক্তি। প্রকৃতি মস্তিস্কবিজ্ঞান স্তন্যপায়ী ,পোকা ও এককোষী প্রাণীর মস্তিষ্কের গঠনে স্পষ্ট পার্থক্য দেখতে পেয়েছে, যা কি না বিবর্তিত হয়েছে অর্ধ বিলিয়ন বছর আগে।
এ গবেষণাটি হয়েছে ক্যামব্রিজ স্যাংগার ইন্সটিটিউট, কিলের বিশ্ববিদ্যালয়সমুহ এবং এডিনবরায়। এ গবেষনার নেতৃস্থানীয় সেথ গ্রান্ট বলেন আমাদের দৃস্টিভংগি হলো মস্তিষ্কের কোষের আধিক্যই মস্তিষ্কের সাফল্য নিয়ে আসে না।প্রথমত, মস্তিস্কের সিন্যাপ্সের প্রোটিনের মাঝে জটিল সংযোগ প্রথম দেখা দেয় বিলিয়ন বছর আগে যখন বহুকোষী প্রাণীর উদ্ভব ঘটে। দ্বিতীয়ত, আর এ বিশেষ প্রকৃয়ার পুনরাবৃত্তি ঘটে ৫০০ মিলিয়ন বছর আগে মেরুদন্ডী প্রাণীর উদ্ভবের সময়ে। সেথ গ্রান্ট বলেন আমরা যে কেবল এ দুটি ঘটনা আবিস্কার করেছি মোটেই তা নয় বরং আজ পর্যন্ত মানব মস্তিস্কের বিবর্তন নিয়ে কাজ করেছি । তিনি আরও বলেন আমরা মানব মস্তিস্কের জটিলতার আড়ালের কারণ অনুসন্ধানে এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছি।
লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের স্নায়ুবিজ্ঞানী বলেছেন যে : “আমরা জানি যে মস্তিস্কের আকৃতিই সবকিছু নয়।-যেমন: তিমিমাছ এবং হাতীর মস্তিস্ক মানুষের চাইতে অনেক বড়।” এ গবেষনা সিন্যাপ্সের কার্য্যপ্রক্রিয়া বুঝতে সহায়তা করবে যা কিনা মানুষকে বহুদুর এগিয়ে নিয়ে যাবে স্বয়ং মস্তিস্কের গঠনবৈচিত্র বুঝতে।