সংবাদ প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্ট :
ময়মনসিংহ : আদলত সূত্রে জানা গেছে, ফুলবাড়িয়ার এমপি এডভোকেট মোসলেম উদ্দীনের বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জালাল উদ্দিন (৬৫) এ মামলা দায়ের করেন। আসামি করেন মোট ১৪ জনকে। তাদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ফুলবাড়িয়া উপজেলায় খুন, নারী নির্যাতন, অগি্নসংযোগ ইত্যাদি অপরাধের অভিযোগ তোলা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফর রহমান শিশির মামলা আমলে নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ফুলবাড়িয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলো- ফয়জাল বারী, আবদুস ছামাদ, আবদুল জব্বার, আবদুল ম-ল, মফিজ উদ্দিন, রিয়াজ উদ্দিন ফকির, মোকছেদ আলী, আমজাদ আলী, এবাদুল্লাহ, মোকছেদ, ওয়াহেদ আলী মুন্সী, ছুরহাব আলী ও জব্বার।
মামলার আরজিতে বাদি অভিযোগ করেন, মোসলেম উদ্দিন ১৯৭০ সালে ফুলবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগ থেকে গণপরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি পাকবাহিনীকে সহযোগিতা করেন। এছাড়া বসু চৌধুরী, আবদুল মজিদ, তালেব আলী, সেকান্দার আলী, শহীদুল্লাহ মাস্টারসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধা ও নিরাপরাধ ব্যক্তিকে হত্যায় পাকবাহিনীকে সহযোগিতা করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোসলেম উদ্দিন বলেন, তাকে ও দলকে বেকায়দায় ফেলতে এ মামলা করা হয়েছে। আমি মানহানি মামলা করব।
জামালপুর : জানা গেছে, বকশীগঞ্জ উপজেলার মালিরচর নয়াপাড়া গ্রামের সিদ্দিক আলী গতকাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, কগনিজেন্স কোর্ট 'ক' অঞ্চল আদালতে যুদ্ধাপরাধের একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বাদি অভিযোগ করেন, আবদুল কাইয়ুম মুন্সী ১৯৭১ সালে একজন আলবদর ছিলেন। ২০ নভেম্বর তারিখে সকাল ১১টায় তিনি পাকিস্তানি সৈন্য নিয়ে গ্রামে আসেন এবং বাদির বাবা আহাম্মদ আলীর বড় ভাই ডেবরা (৫০) কে গুলি করে হত্যা করেন ও বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন। নিহতের পরিবারের কোন সদস্য জীবিত না থাকায় বাদি তার ভাতিজা পরিচয় দিয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি আমলে নিয়ে বকশীগঞ্জ থানার ওসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন।
আবুল কালাম আজাদ মেডিসিন অভিযোগ করেন, যুদ্ধাপরাধের বিচারকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ষড়যন্ত্রমূলক মামলাটি দায়ের করিয়েছে। ঘটনার কোন সত্যতা নেই।
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:২২