১. বনানী এলাকায়, গাড়ির সড়ক আর রেললাইনের মাঝখানে সুন্দর একটা ওয়াটার বডি ছিলো, যেটা ভরাট করে উড়াল সড়ক তৈরি হচ্ছে। পানি রেখে কি উড়াল সড়কটা বানানো যেতোনা? বাংলাদেশ উড়ছে-গন্তব্য উন্নয়নের দিকে।
২. ধানখেত-টানখেত, পুকুর-ডোবা, সওওওব ভরাট করে যে যেমনে পারতেছে ভবন নির্মাণ করতেছে;না আছে কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা, না আছে কোনো রাস্তার পরিকল্পনা, না আছে সুয়ারেজ সিস্টেম, না আছে কিছু-অর্থনৈতিক উন্নয়নের ডায়রিয়া আরকি! এখন জলাবদ্ধতা শুধু রাজধানীর মামলা নয় বরং আধাগ্রাম-আধাশহরের মামলাও। বাংলা মায়ের অপরিকল্পিত সন্তান ঢাকার মতো গোটা দেশটাও না হয়ে ওঠে ময়লার ভাগাড়।
৩. শুধু টাকা পয়সার অডিট হয়? অন্য কিছুর অডিট হয়না? সবকিছুর মতো বাংলাদেশের পড়াশোনারও একটা অডিট হলে ভালো হতো। এই যেমন পোলাপান কি পড়ছে কি শিখছে আর তার উপযোগীতা কি, আর আমাদের মহাসম্মানিত মাস্টারমশায়দের আচার-আচরন-সভ্য-ভব্যতা শেখার কদ্দুর কি হলো এইসব আরকি । বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১০১ টা বিষয়ে অর্নাস-মার্স্টাস পড়ানো হয়, আদৌ তার দরকার কতটুকু, তারও একটা অডিট হওয়া দরকার। উচ্চশিক্ষা শুধুমাত্র মেধাবিদের অধিকার হওয়া উচিত।
৪. বাংলা সিনেমার মরণঘন্টা বেজেছিলো ৯০এর দশকে, আর এখন তা পুরোপুরি মৃত। বন্যার বানের মতো সবাই হিন্দি সিনেমার নকল বানিয়েছে। সেই পুরোনো কাসুন্দি-মাথায় বাড়ি খেয়ে নায়কের স্মৃতি হারানো আবার বাড়ি খেয়ে তা ফিরে পাওয়া এই সব আরকি। জহির রায়হানরা চলে যাবার পর আর কে কটা মৌলিক বাংলা সিনেমা বানাতে পেরেছে? বরং সেই সময়টা (৯০’র দশক) ছিলো বাংলা ব্যান্ডগানের স্বর্ণযুগ- আমরা জেমসের বিবাগী,সাদাকালো, চিরহরিত এর মতো কয়েকটা গান পেয়েছিলাম; এখন বাজছে বাংলা গানের মরণঘন্টা…….. ।
৫.ইংরেজরা শুধুমাত্র অন্যদের ইংরেজি ভাষা শেখানোর জন্য শত শত ভিডিও লেসন নেটে ছড়িয়ে রেখেছে, আর শত-সহস্র বল্গ। আর বাংগালরা ছড়িয়ে রেখেছে টিকটক , টিকটক সবদেশের পোলাপানরাই দিয়েছে, বাংগালরা সেই গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসাবেনা তা কি করে হয়! নেই কাজ তো খই ভাজ।
৬. সেদিন অফিসে হঠাত করেই নেট চলে গেল। মনে হলো যেন মাথা থেকে যন্ত্রণার একটা কানেকশন ডিসকানেক্ট হলো, আহ কি শান্তি শান্তি একটা অনুভুতি। ভালোই হয়েছে, মাঝে মাঝে কানেকশন চলে যাওয়া খারাপ কিছুনা- যেমন মাঝে মাঝে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া।
7. একটু হাটাহাটি করা দরকার-কোথায় হাটবেন? হাটার কোনো জায়গা নেই ঢাকায়। শুধু ঢাকা কেন-কোথাও নেই। আমাদের প্রায় রাস্তাঘাটাই ফুটপাত বিহীন এবং রাস্তায় সোজা-সটান হয়ে হাটা যায়না, হাটতে হয় কখনো পাতালি হয়ে কখনো বাকা হয়ে। ইদানিং আবার রিকশায় যোগ হয়েছে মোটর-দুর্দান্ত তার গতি, বিকট তার শব্দ।