somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চট্টগ্রামে যাত্রা শুরু করল ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সম্প্রতি তিনদিনের সফরে গিয়েছিল ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) সদস্যবৃন্দ। নভেম্বর ২০ থেকে নভেম্বর ২২ পর্যন্ত ই-ক্যাব এর কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যবৃন্দ চট্টগ্রামে অবস্থান করেন। এ সময়ে তারা চট্টগ্রামে ই-কমার্স ব্যবসায়ী, স্থানীয় সরকার এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সাথে মিলিত হয়ে ই-কমার্স সেক্টরের বিরাজমান সমস্যা এবং তা সমাধানে কি কি পদক্ষেপ নেয়া যায় তা সম্পর্কে আলোচনা করা।

২১ নভেম্বর সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন এর বাসভবনে তাঁর সাথে ই-ক্যাব এর সদস্যগণ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তারা জনাব মেজবাহ উদ্দিনকে ই-ক্যাব এর লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং কর্মসূচি সম্পর্কে অবহিত করেন এবং চট্টগ্রামে ই-কমার্স সেক্টরের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। জনাব মেজবাহ উদ্দিন ই-ক্যাবকে সবধরণের সাহায্য প্রদানের আশ্বাস দেন।

ওইদিন বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সংবাদ সম্মেলনে দেশের ইন্টারনেট ভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নীতিমালার আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ই-ক্যাব এর সভাপতি রাজিব আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল এবং যুগ্ম-সম্পাদক মীর শাহেদ আলী। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক বৃন্দ এবং ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
ই-ক্যাব এর অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল হক সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তৃতা প্রদান করেন। তিনি বাংলাদেশে ই-কমার্স সেক্টরের বর্তমান অবস্থা এবং এর প্রেক্ষিতে সৃষ্ট ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরেন।

ই-ক্যাব এর সভাপতি রাজিব আহমেদ বলেন, “ই-ক্যাব যাত্রা শুরু করেছে একটি স্বপ্ন নিয়ে এবং সে স্বপ্নটি হচ্ছে ই-কমার্সকে বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। আমরা ই-কমার্সকে শুধু কয়েকটি বড় বড় শহরেই সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। আমরা চাই বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় ই-কমার্স ছড়িয়ে পড়ুক। গ্রামের লোকজন অনলাইনে দেশের সর্বত্র এবং দেশের বাইরে তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রী করুক।”

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশে চট্টগ্রামকে বন্দর নগরী ও বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে অভিহিত করা হয়। ঢাকার পরে সবদিক দিয়েই চট্টগ্রামের স্থান এবং এখানে ছোটবড় অসংখ্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাই আমি নিশ্চিত যে, ই-কমার্সের ব্যাপারেও চট্টগ্রাম একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পরিণত হবে। তবে আমি চাই যে ই-কমার্স শুধু ব্যবসায়ী ও তথ্য প্রযুক্তির খাতে জড়িতদের জন্যে উপকার ও মুনাফা না বয়ে এনে সাধারণ মানুষের কল্যাণ বয়ে আনবে।”

ই-ক্যাব এর যুগ্ম সম্পাদক মীর শাহেদ আলী বলেন, “বাংলাদেশের ই-কমার্সের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে কিন্তু এ সম্ভাবনাকে নানাবিধ কারণে আমরা কাজে লাগাতে পারছিনা এজন্যে ই-ক্যাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং ই-ক্যাব শুধু ই-কমার্সকে ঢাকায় নয় বরং সারা বাংলাদেশের ছড়িয়ে দিতে চায়। এ কারণেই আমরা প্রতিষ্ঠার অল্প সময়ের মধ্যে ই-কমার্সকে ছড়িয়ে দিতে চট্টগ্রামে চলে এসেছি।”

ই-ক্যাবের পরিচালক রেজওয়ানুল হক জামী বলেন, “ইন্টারনেট ভিত্তিক কেনাবেচার প্রতিষ্ঠানগুলোর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। এ অবস্থায় এই ব্যবসাকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি নীতিমালার আওতায় আনা প্রয়োজন।”

প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান সাংবাদিকদের বলেন, “ ডিজিটাল বাংলাদেশকে যদি সফল করতে হয় তাহলে ই-কমার্সকে অবশ্যই আপামর জনসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। এ লক্ষ্যে ই-কমার্স সম্পর্কে প্রচারণা চালানোর জন্যে তিনি ই-ক্যাব এবং মিডিয়া উভয়ের প্রতি আহ্বান জানান।”

সন্ধ্যা ৭টায় ই-ক্যাব চট্টগ্রাম জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) এর চট্টগ্রাম প্রতিনিধিদের সাথে স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। উক্ত সাক্ষাৎকারে ই-ক্যাব চট্টগ্রামে কিভাবে ই-কমার্সকে আরও জনপ্রিয় করে তোলা যায় এবং এ খাতে নতুন উদ্যোক্তাদের আসতে উৎসাহিত করার জন্যে কি কি পদক্ষেপ নেয়া যায় সে সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনা করেন।

সফরের শেষ দিনে শনিবার (নভেম্বর ২২, ২০১৪) ই-ক্যাব এর কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যবৃন্দ চট্টগ্রামের ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সাথে মিলিত হয় এবং চট্টগ্রামে ই-কমার্সের সম্ভাবনা এবং কিভাবে ই-কমার্সকে চট্টগ্রামবাসীদের মধ্যে আরও জনপ্রিয় করে তোলা যায় তা নিয়ে আলোচনা করে।

শনিবার সকাল ১১.৩০ মিনিটে ব্রেনো.কম (http://www.branoo.com )এর নাসিরাবাদ, চট্টগ্রাম অফিসে এ মতিবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন
ই-ক্যাব এর সভাপতি রাজিব আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মো: আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর শাহেদ আলী, কোষাধক্ষ্য- মোহাম্মদ আব্দুল হক, ডিরেক্টর (কমিউনিকেশন) আসিফ আহনাফ, ডিরেক্টর রেজওয়ানুল হক জামিল, টি-জোন এর প্রতিষ্ঠাতা মাহাবুবুর রাহমান আরমান প্রমূখ।

এতে চট্টগ্রামে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উপস্হিত ছিলেন, ব্রেনো.কমের সিইও রাজিব রায়, ই-বাজারবিডি.কমের সিইও ও বিডিনিউজটাইম্‌সের সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, কেএম কম্পিউটার.কমের সিইও মুহিউদ্দীন কাউছার, সুটকি বাজার.কমের সিইও মিজানুর রহমান অপু, ইটএঞ্জয়ের সিইও মোঃ নাজিম, কক্সবাজারসপ.কমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিটন দেব নাথ, সাত রঙের কর্ণধার জাহিন আফরোজ, সুজন ফটোগ্রাফী এর সিইও সুপরা সুজন, টেকনোক্রাপ্ট এর সিইও আসিফ বিন ইউসুফ, কারিগর.কম এর সিইও সওকত খান, স্মাটফেইমওয়াকের সিইও ইলিয়াস জাবেদ, ওমনিসলিউশন.কমের সিইও ওবাইদুল কাদের, টিডাল.কমের সিইও মুনজর আল ফেরদোস, মাইসিসের সিইও তাওহিদুল ইসলাম, ইজিবাই৬৯ এর সিইও শহিদুল ইসলাম সাগর প্রমুখ।

দেশের ৬৪টি জেলায় ই-কমার্সকে ছড়িয়ে দেবার লক্ষ্য নিয়ে ৮ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে ই-ক্যাব আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করে।
ই-ক্যাবের ওয়েবসাইটঃ http://www.e-cab.net/
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×