আমাদের সমাজের শক্তিশালী একটা মহল বিশেষ কিছু দিনকে নানান কিসিমের দিবসের গ্যাঁড়াকলে ফেলে চুটিয়ে ব্যবসা করছন আর বেহায়পনার সুযোগ সৃষ্টিকরে দিচ্ছেন। মাদক সরবরাহ যদি অপরাধ হয় তবে তথাকথিত প্রবাহমান সস্তা ভালোবাসাকে প্রমোট করাও অপরাধের অন্তভূক্ত করা প্রয়োজন।
এরা একধরনের মেকি দুর্বোধ্যতার আবহ সৃষ্টি করে রেখেছেন। তারা বোঝাতে চাচ্ছেন সময়ের সাথে সকলে এগিয়ে যাচ্ছে। এতে দোষের কিছু নেই। এতে সমাজের মেরুদণ্ডে (তরুণ-তরুণী)মধ্যে যে পচন শুরু হয়ে গেছে তাতে আর উদাসীনতা দেখানো যায় না।
গণমাধ্যমগুলোতে বাণিজ্যিক ভালোবাসার সাজসজ্জা আয়োজন প্রচার প্রচারণা দেখে মনেহয় এসব ভালোবাসা বদ-শ্রেণির চাকচিক্য মাত্র!
তথাকথিত দিবসের নামে পত্রিকাগুলো ভালোবাসার গল্প/কবিতা ছেপেছেন, ভালো কথা! কিন্তু তাতে সাহিত্যে কোথায়? এ তো শুধুই নেকামি আর নষ্টামি! গল্প/ কবিতা পড়লেই মনেহবে সাহিত্যে নেকেমি মধ্যদিয়ে মারাত্বক বিপ্লব সাধিত হয়ে উত্তরাধুনিক যুগ সৃষ্টি হয়েছে আর আমরা তা জানিই না।
দেশের সংস্কৃতি নিয়ে বাণিজ্য হচ্ছে অথচ দায়িত্বশীল সমাজ চুপচাপ নাকে তেলদিয়ে ঘুমোচ্ছেন। সুযোগ পেয়ে নির্বোধ পাংকু তরুণ সমাজ পুতুলনাচের প্রথমাংশে অনুষ্ঠিত প্রকাশ্য নগ্ন নিত্যেরমত রাস্তা-ঘাটে বেহায়াপনায় লিপ্ত। আর অন্যদিকে অথর্ব মূল্যবোধহীন তরুণসমাজ যারা সুযোগপাচ্ছেন না- তারা বুকচাপড়াচ্ছেন।
অভিভাবকগণ যেন মেনেই নিয়েছেন ভালোবাসা দিবসের নামে সব বেহায়াপনা সিদ্ধ। ছেলেমেয়েরা রঙেঢঙে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাবে। কখন আসবে ঠিক নেই, কারণ আজ যে তথাকথিত ভালোবাসা দিবস। এরা অভিভাবক নামের কলঙ্ক।
এই বিশ্ব তথাকথিত ভালবাসা দিবসের নাম করে কত যে নারী তার সতীত্ব কে উৎসর্গ করবে, কত পূরুষ তার পৌরুষত্বের উদ্দাম লীলা খেলায় মত্ত হবে তাদের জৈবিক চাহিদা মেটানোর জন্য। কত নারী-পূরুষ, ছেলে-মেয়ে নিশিদ্ধতার কারনে চিপায় গিয়ে তাদের উশৃঙ্খলতার পূর্ন বহিঃপ্রকাশের মধ্যদিয়ে একে অন্যের ঠোঁটে বিষ ঢেলে দিবে তার ইয়ত্তা নেই। সব কিন্তু এই দিন থেকে শুরু হবে, এর পর থকে চলবে নিয়মিত।
ভালবাসার নামে বেহায়াপনার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানাই। এসব তথাকথিত ভালোবাসার বুকে লাথি মারি! হাস্যকর লাগে নিজেদের জৈবিক চাহিদা মেটানোর জন্য ঘটাকরে একটা দিনকে নির্বাচন করে মানুষের সততা নিষ্ঠা শুদ্ধতা,সতীত্ব নিয়ে পৈচাশিক ভাবে খেলা চলছে।
দেশিয় বসন্তের সংস্কৃতিকে উপেক্ষা করে যেন ভ্যালেইনটাইনের জয়ধ্বনি শোনা যাচ্ছে সারা বাংলা জুড়ে। ভাষার মাসে পাশ্চাত্য সাংস্কৃতির আগ্রাশন ঠেকাতে এগিয়ে আসুন। অপসংস্কৃতির হাত থেকে রক্ষ্যা পেতে চলুন ভালোবাসা দিবসের নামে ‘বেহায়াপনার’ বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৪