কিছুদিন আগে বি.বি.সি. বাংলার একটা খবর দেখে হঠাৎ
চোখটা আটকে গিয়েছিল। নিরাপত্তার জন্য ইন্ডিয়া ছেড়ে
আমেরিকায় পাড়ি জমাচ্ছে তসলিমা নাসরিন।কারন
জীবননাশের হুমকি... হুমকিদাতারা হচ্ছে
বাংলাদেশের নাস্তিক ধর্ম অবমানকারী
কুলাঙ্গারগুলো খুনীরা।।
একটা কথা মানতেই হয়, বয়সের ভারে রসবোধের
পরিমানটা এতটুকু কমেনি মহিলাটির।নিজেকে
স্বঘোষিত সংস্কারক হিসেবে দাবিকরা এই
মহিলা কি এতটুকু বুঝতে পারে না যে ওর মত
কুলাঙ্গার সহজে মরে না।
২০০৭ সালে যার জন্য কলকাতায় দাঙ্গা হলো,ভারত
সরকার মাসের পর মাস নিরাপত্তার খাতিরে
যাকে লুকিয়ে রাখলো,সেই নাকি
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে খোদ দিল্লিতে থেকেই।
সংবাদের শিরোনাম হবার জন্য এরকম একটা
classless মহিলা এর থেকে আর কি বা ভাল
রসিকতা করতে পারে।
অন্যান্য লেখাগুলোর কথা নাহয় বাদই
দিলাম,সাতটা আত্নজীবনীর অধিকাংশই
বাংলাদেশ ও ভারত সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ এই নষ্ট
মানসিকতার লেখিকার।
বিভিন্ন দেশের আলোচিত পুরুষদের সংগে
বিছানায় যাওয়া এবং সেই বিছানার কাহিনি
নিজেই প্রচার করে সংবাদে আলোচনায় আসা যার
নিত্যদিনের অভ্যাস।
দেশের প্রচলিত আইনে, হত্যাকারীর পাশাপাশি
হত্যার আদেশপ্রদানকারীকেও অপরাধী হিসেবে
গন্য করা হয়। কেন তাহলে যৌননীপিড়নকারীর সংগে
যৌননীপিড়নে উষ্কানীপ্রদানকারীকেও দোষী
সাব্যস্ত করা হবে না??
জয়ারু স্বাধীনতার(লেখিকার ভাষ্যমতে) নামে
লিখতে গিয়ে তার সেক্সসম্বল লেখাগুলোর মান
যে রাস্তার পাশের চটি বইগুলোর সমমানে পরিনত
হয়েছে সেটা কি এই নষ্টা লেখিকা ভেবেছে
একবারও।
দিল্লীতে বাসে তরুনীর গনধর্ষের পর সেখানকার
শপিংমলগুলোর ম্যানিকুইনগুলোতেও যৌনউত্তেজক
পোষকপরানো নিষিদ্ধ ছিল।তাহলে কেন
বাংলাদেশ, ভারতে এই কুলাঙ্গারের সব
বই,ইন্টারনেটে ওর লেখা পড়ার সাইটগুলো বন্ধ করা
হচ্ছে না??
কারন একটাই, পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন। এই বিকৃত
মস্তিষ্কের মহিলার লেখাগুলো যে ইসলাম
বিরোধী। পশ্চিমাদের নীতিতো একটাই, ইসলামের
স্বপক্ষে কিছু লিখলে মৌলবাদী আর ইসলাম
বিরোধী কিছু লিখলে সাহসী, মুক্তচিন্তাধারী,
আধুনিক।এজন্যই কুলাঙ্গারটি পাড়ি জমাচ্ছে
আমেরিকায়।
শেষ করছি তসলিমা নাসরিনের একটা ইচ্ছার কথা
বলে।এক সাক্ষাৎকারে কুলাঙ্গারটি ইচছা প্রকাশ
করেছিল মরনোত্তর দেহদানের। এর অর্থ তার মৃত্যুর
পর তার শরীর সে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের
পড়াশোনার জন্য দান করে যাচ্ছে।
মহান আল্লাহ্ তায়ালার কাছে প্রার্থনা
করি,তিনি যেন এই মহিলাকে হেদায়েত দান করেন
নতুবা ওর মৃত্যু এমনভাবে দান করেন যাতে মৃত্যুর পর
ওর লাশ ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায় যাতে করে এরকম
পাপাত্মা যে শরীরে সেই শরীর দেখে শিক্ষা
নিয়ে কেউ মানবসেবার মতো মহৎ কাজ না করে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:০১