somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফিরে দেখা - এপ্রিল ফুল

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৪৯২ সালের ১ এপ্রিল। অনেকের জন্য দিনটি অন্যান্য সাধারন দিনের মতো ছিল কিন্তু গ্রানাডাবাসীর জন্য ছিল অন্যরকম।

সংক্ষেপে বলছি.. সম্মুখযুদ্ধে স্পেনের মুসলমানদের পরাজিত করতে না পেরে খ্রিষ্টান সম্রাট ফার্দিনান্দের নির্দেশে গ্রানাডা শহরের সব শস্যখামার জ্বালিয়ে দেয়া হয়, পুড়িয়ে দেয়া হয় শহরের খাদ্য সরবরাহের প্রধান কেন্দ্র ভোগা উপত্যকা। অচিরেই দুর্ভিক্ষ নেমে এলো শহরে। দুর্ভিক্ষ প্রকট আকার ধারন করলে প্রতারক ফার্দিনান্দ ঘোষনা করলো,'মুসলমানরা যদি শহরের প্রধান ফটক খুলে দেয় এবং নিরস্ত্র অবস্থায় মসজিদে আশ্রয় নেয় তবে তাদের বিনা রক্তপাতে মুক্তি দেয়া হবে।"

দুর্ভিক্ষতারিত গ্রানাডাবাসী অসহায় নারী ও শিশুদের মুখের দিকে তাকিয়ে প্রতারকের মিথ্যা আশ্বাস বিশ্বাস করে পবিত্র মসজিদে আশ্রয় নিয়ে খুলে দেয় গ্রানাডা শহরের প্রধান ফটক।শহরে প্রবেশ করে খ্রিষ্টান বাহিনী মুসলমানদেরকে মসজিদের ভেতর আটকে রেখে তালা লাগিয়ে দেয় প্রতিটি মসজিদে। এরপর একযোগে শহরের সমস্ত মসজিদে আগুন লাগিয়ে বর্বর উল্লাসে মেতে উঠে তারা। লক্ষ লক্ষ নারী -পুরুষ -শিশু অসহায় আর্তনাদ করতে করতে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মর্মান্তিক ভাবে প্রান হারায় পবিত্র মসজিদের ভিতরে। প্রজ্জলিত অগ্নিশিখায় দগ্ধ মুসলমানদের আর্তচিৎকার যখন গ্রানাডার আকাশ বাতাশ ভারী ও শোকাতুর করে তুলল তখন ফার্দিনান্দের স্ত্রী ও পর্তুগীজ রানী ইসাবেলা হেসে বলতে লাগল, "হায় এপ্রিলের বোকা ! শত্রুর আশ্বাস কেউ বিশ্বাস করে!"

সেই থেকে খ্রিষ্টান জগৎ প্রতি বছর ১ এপ্রিল আড়ম্বরের সাথে পালন করে আসছে "April Fool" মানে "এপ্রিলের বোকা " উৎসব।

ঘটনা কি এখানেই শেষ ?? তা নয়....
১৯৯৩ সালের ১ এপ্রিল গ্রানাডা ট্রাজেডির ৫০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্পেনে আড়ম্বরপূর্ন এক সভায় মিলিত হয়েছিল বিশ্ব খ্রিষ্ট সম্প্রদায়। সেখানে তারা নতুন করে শপথ গ্রহণ করে একচ্ছত্র খ্রিষ্টীয় বিশ্ব প্রতিষ্ঠার। বিশ্বব্যাপী মুসলিম জাগরণ প্রতিহত করার জন্য গড়ে তোলে 'হলি মেরি ফান্ড'। আর এরই ধারাবাহিকতায় খ্রিষ্টান বিশ্ব নানা অজুহাতে একের পর এক মুসলিম দেশগুলোতে চালাচ্ছে আগ্রাসন।।

আজ ১ এপ্রিল ২০১৬। সিদ্ধান্ত আপনার, দিনটা কিভাবে শুরু করবেন আপনি....

তথ্যসূত্র :মাসিক প্রফেসর'স কারেন্ট আফেয়ার্স।
১৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসবে তুমি কবে ?

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪২



আজি আমার আঙিনায়
তোমার দেখা নাই,
কোথায় তোমায় পাই?
বিশ্ব বিবেকের কাছে
প্রশ্ন রেখে যাই।
তুমি থাকো যে দূরে
আমার স্পর্শের বাহিরে,
আমি থাকিগো অপেক্ষায়।
আসবে যে তুমি কবে ?
কবে হবেগো ঠাঁই আমার ?
... ...বাকিটুকু পড়ুন

(রম্য রচনা -৩০কিলো/ঘন্টা মোটরসাইকেলের গতি )

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫০



একজন খুব পরিশ্রম করে খাঁটি শুকনো সবজি( দুষ্টু লোকে যাকে গাঁ*জা বলে ডাকে) খেয়ে পড়াশোনা করে হঠাৎ করে বিসিএস হয়ে গেলো। যথারীতি কষ্ট করে সফলতার গল্প হলো। সবাই খুশি। ক্যাডারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়

লিখেছেন নীল মনি, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫১


আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×