একটু আগে একাত্তর টিভিতে পুন:প্রচারিত হয় 'একাত্তর মঞ্চ' নামে গতকালের মানে ৬এপ্রিল ২০১৩ পর্বের একটি পোগ্রাম। বাংলাদেশ যে তথ্য প্রযুক্তিতে সত্যিই এগোচ্ছে তাই এই অনুষ্ঠানের ধরণ দেখলেই বুঝা যায়।
যাই হোক, মূল কথায় আসি। আজকের পর্বটিতে আলোচ্য বিষয় ছিল ' হেফাজতের ১৩ দফা'। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তারেক সামসুর রহমান (অধ্যাপক, জাবি), ব্যারিষ্টার তুহীন আফরোজ এবং নারীনেত্রী শিরীন আখতার। আর কাওরান বাজার এবং বারিধারা স্টুডিও হতে ভার্চুয়ালি যোগ দেন যথাক্রমে মওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসুদ এবং হেফাজতে ইসলামীর নেতা মওলানা মুফতী সাখাওয়াত হোসেন।
ফরিদ উদ্দিন মাসুদ বলেছেন, উনি হেফাজতের আহবায়ক শাহ আহমদ শফীর নিকট চিঠি লিখেছিলেন এবং জামাত ইসলাম ও মওদূদীবাদের বিরুদ্ধে লিখেও কেন শফী সাহেব কিছু বলছেন না, চিঠি পেয়ে কেন তিনি কোন জবাব দেননি। এ প্রশ্নে সঞ্চালক, মুফতী সাখাওয়াত এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ' আল্লামা শফী এই ফরিদ উদ্দিন মাসুদের চিঠির জবাব না দিয়ে দেশের আলেম সমাজের প্রাণের দাবি রক্ষা করেছেন, কারণ এই বাংলাদেশে তসলিমা নাসরিন যেমন সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তি ছিল তেমনি মওলানা মাসুদ আজকে তসলিমা নাসরিনের জায়গায় replaced হয়েছেন।'' এ কথা শুনে মওলানা ফরিদ মাসুদের মুখ শুকিয়ে গেল। বুঝা গেল তিনি ভীষন অপমান বোধ করেছেন!
সঞ্চালক তখন উনাকে পাল্টা প্রশ্নে জানতে চাইলেন যে, তাহলে আপনি মওলানা মাসুদ কেও তসলিমার মত নাস্তিক বলতে চাচ্ছেন?' জবাবে মুফতী সাখাওয়াত বলেন, আমি উনাকে নাস্তিক বলিনি কিন্তু উনি নাস্তিকের সহযোগী''।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে মওলানা ফদির উদ্দিন মাসুদের কাছে ১৩ দফা বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, 'আমি আপনার অনুষ্ঠানে অপমানিত হতে আসিনি, অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার দরকার ছিল আপনাদের।'' সঞ্চালকের দুঃখ্ প্রকাশ ছাড়া উনাকে আর সান্তনা দেয়ার মত আর কিছু ছিলনা তখন।
পরিশেষে মওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসুদ প্রমাণ করলেন তার অপমানবোধ আছে। এখন কি আর করবেন অসহায় লোকটি, সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অবশেষে মুসলমান সমাজের নিকট ঘৃণার পাত্রে পরিণত হলেন!!
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



