*ফাল্পুনী সাহা এসএসসি পরীক্ষাতে মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে এবারের এইচএসসি পরীক্ষাতেও রাজধানীর ট্রাস্ট কলেজ থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছেন। মেধাবী এ পরীক্ষর্থী অন্য পরীক্ষার্থীদের চেয়ে ব্যতিক্রমী। কারণ ছোট বেলায় বৈদ্যুতায়িত হয়ে তার দুই হাত পুরোপুরি ঝলসে যায়। চিকিৎসকরা উপায় না থাকায় সে সময় কনুই পর্যন্ত তার দুই হাত কেটে ফেলেন। হয়ত সেখানেই শেষ হয়ে যেতে পারত ফাল্গুনীর পড়ালেখার স্বপ্ন। কিন্তু অদম্য মেধাবী ফাল্গুনীকে কিছুই থামিয়ে রাখতে পারেনি। জিপিএ ৫ পেয়ে আনন্দিত ফাল্পুনী বলেন, ''মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে খুব ভাল লাগছে। আমার মা-বাবাও এ সাফল্য বেশ আনন্দিত। কিন্তু এতদিন আমার অভিভাবকতুল্য ট্রাস্ট কলেজের অধ্যক্ষ বশির আহমেদ ভূইয়া পড়ালেখা ও হোস্টেলে থাকার খরচসহ যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করেছেন। আমার ইচ্ছা স্বপ্নের বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার। এখান থেকে উচ্চশিক্ষা নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার।''
*লিমন: র্যাবের গুলিতে পা হারানো কলেজছাত্র মো. লিমন হোসেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জিপিএ ৪ পেয়েছেন। পিরোজপুরের কাউখালীর কাঁঠালিয়া পিজিএস বহুমুখী স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে তিনি এবার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।
২০১১ সালের ২৩ মার্চ এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর ১২ দিন আগে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামের বাড়ির পাশের মাঠে গরু আনতে গেলে র্যাবের কথিত বন্দুকযুদ্ধে আহত হন লিমন। পরে লিমনের জীবন বাঁচাতে চিকিৎসকরা তার বাঁ পা কেটে ফেলেন। পরে লিমনের বিরুদ্ধে র্যাব বাদী হয়ে রাজাপুর থানায় দুটি মামলা দায়ের করে। অস্ত্র আইনে একটি এবং সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে পঙ্গু লিমনকে দুটি মামলাতেই প্রতি মাসে ঝালকাঠি আদালতে হাজিরা দিতে হয়। এ কারণে লিমন ভালোভাবে লেখাপড়া করতে পারেননি।
লিমন তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, ''র্যাবের কারণে একটি পা ও আমার শিক্ষাজীবন থেকে এক বছর হারিয়ে গেছে। তবে আমি আত্মবিশ্বাস হারাইনি।'' ভবিষ্যতে তিনি ব্যারিস্টার হতে চান। এ জন্য সবার দোয়া চেয়েছেন।
*বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার আনামুল হক বিজয়, এবং অনূর্ধ্ব-১৯ দলের তাসকিন আহম্মেদ যথাক্রমে জিপিএ ৩.৬০, ৩.১০ পেয়েছেন।
ইংল্যান্ড সফরে থাকা আনামুল জানান, ''আমি অনেক চাপ নিয়েই পড়েছি। এখন দেখি কি হয়। তবে যাই হোক পাস করতে পারলেই খুশি হবো।’