ক্ষমতাসীন দলের কার মাথায় যে এই উদ্ভট চিন্তা এলো!! নাকি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আইটি বিশেষজ্ঞের আইডিয়া? তবে যাই হোক, সরকারের সফলতার চিত্র তুলে ধরতে কেউ বাধা দেয়নি। তবে তা যদি হয় জবরদখল করে, অন্যের পকেট মেরে তাহলে তাদের এ কাজকে অপপ্রয়াস ই বলা চলে। কোটি টাকার বিলবোর্ড ‘ছিনতাই’ - প্রথম আলো।
কিন্তু বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলো এবং যেসব প্রতিষ্ঠান কোটি কোটি টাকা খরচ করে এসব বিলবোর্ড ভাড়া নিয়েছিল, তারা কিছুই জানে না। তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপনের জায়গা দখল করে নিয়েছে উন্নয়নের প্রচার। বিলবোর্ড ভাড়া নিয়ে, পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সময় ভাড়া নিয়ে কিংবা পোস্টার, লিফলেট, পুস্তিকা ইত্যাদি প্রকাশ করে সে কাজটি অনায়াসে করা যেত। কিন্তু এটা না করে বিলবোর্ড ছিনতাই এর ঘটনা সম্ভবত এই প্রথমবার ঘটলো।
বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলো এ বিষয়ে ঈদের পর উত্তর ও দক্ষিণ ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।- The Daily star.
Bangladesh Outdoor Advertising Establishment Owners Association এর সা: সম্পাদক মোঃ রাশেদ, "আমরা ঈদের পর অভিযোগ দায়ের করবো এবং এছাড়াও এবিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন হবে," । তিনি আরো বলেন, সাধারণত ঈদের আগে ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে পেমেন্ট পেয়ে থাকেন কিন্তু এবার তারা বিলবোর্ড দখল হয়ে যাওয়ায় পেমেন্ট করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এতে মাসে তাঁদের আনুমানিক ১ কোটি ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি গুনতে হবে।
BBC বাংলা লিখেছে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রধান শহরগুলিতে বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডের চেহারায় গত ক'দিনে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। অন্যদিকে বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলো অভিযোগ করছে, কোন অনুমতি ছাড়াই তাদের এসব বিলবোর্ড ব্যবহার করছে আওয়ামী লীগ।''
এটি শুধু নৈতিকতার বিচারে অগ্রহণযোগ্যই নয়, একটি অপরাধমূলক কাজ হিসেবেও বিবেচিত।
তথাকথিত উন্নয়নে জনগণের নজর কাড়তে এ অভিনব কায়দা করে সবমিলিয়ে একটা হাস্যকর পরিস্থিতি তৈরী করেছে আওয়ামী লীগ।