মাস ছয়েক পূর্বে একজন বিদেশি ইঞ্জিনিয়ার রাজধানীর একটি ফুতপাতে ঝাড়ু দিতে দেখা গিয়েছিল, তারও কিছুদিন পর বাংলাদেশ পুলিশের দ্বায়িত্বরত ভাইদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান নেমে শহর পরিষ্কার করার চেষ্টা করতে দেখা গিয়েছিল, আবারও দেখেছিলাম সেচ্ছাসেবক ভাইদের একযোগে পুরো বাংলাদেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছনতা অভিযান চালিয়ে যেতে। ইদানিং ফেসবুকে একটি ছবি দেখছি অনেকেই শেয়ার করছেন, বিদেশিনীর রাস্তা পরিষ্কার করছে আর কিছু আমজনতা দাঁড়িয়ে তামশা দেখছে আর ঐ বিদেশিনীকে কেন্দ্র করে ফটোগ্রাফি করছেন। (এ থেকে প্রমান হয় আমাদের দেশে ফটোগ্রাফারের অভাব কোন কালেই হবে না।)
.
এতো কিছু করে কি লাভ হল??
আমরা ঠিক আগের মতই আছি। এখনও আমরা রাস্থায় চলার পথেই ফাঁকা জায়গা পেলে মূত্রবিসর্জন করি কারন ভোগে নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ, আমরা বন্ধুদের সাথে আড্ডায় জ্বলন্ত অক্সিজেন নেই এবং অক্সিজেন শেষে সিলিন্ডার ঠিকই রাস্তায় ফেলে রাখি। চিপস,বিস্কেট,চানাচুর, ঝালমুড়ি আরও নানাধরনের প্যাকেটজাজাত দ্রব খাচ্ছি এবং রাস্থার পাশেই সযত্নে রেখে আসছি। দেশি ব্যবহার উপযোগি ডাস্টবিন নেই আর যেই কয়টা আছে সেগুলো আমরা ব্যবহার অনুপযোগী করে রেখেছি। দরকার কি, লাগে না তো। আমরা সভ্য হলেও আদিপ্রজাতি রাস্তার পাশেই হিসু করে শান্তি পাই।
.
আসেন সবাই মিলে বিদেশিদের হাতে দেশ পরিচ্ছন করার দ্বায়িত্বটা তুলে দিয়ে আমরা ফেসবুকে শেয়ার করি আমাদের দেশ কত্তগুলা উন্নত।
আরে #খালার_পোলা( খালার ছেলে) তুই যে তোর প্রফাইলে ছবিটা দিয়া মানুষরে দেখাইতেছোস তুই কি ছিইড়া উল্টাই ফালাইছোস?? দেখাইতেই যদি হয় তাইলে ঐ বিদেশির জায়গাই নিজে রাস্থা পরিষ্কার কইরা ছবি তুইলা আপলোড দে। আর দিয়ে না পারলে আবালের মত বিদেশিনীর ছবি দিয়া দেশর মান আর ডুবাইস না...
যা ইচ্ছে কথাগুলো গায়ে লাগাতে আমি আবার মিথ্যা কথা একটু বেশিই বলি।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৫১