বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা বৈজ্ঞানিক স্টিফেন হকিং এবার অভিনয়ে নামলেন। সম্প্রতি তিনি মার্কিন টিভি শো ‘দ্য বিগ ব্যাং থিওরি’তে একটি বিশেষ পর্বের শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন। ব্রিটিশ তাত্ত্বিক এই পদার্থবিদ শোতে নিজ চরিত্রেই অভিনয় করেছেন। অবশ্য তার পর্দা উপস্থিতি থাকছে সীমিত সময়ের জন্যই।
‘দ্য বিগ ব্যাং থিওরি’র প্রযোজক বিল প্র্যাডি জানিয়েছেন, আমাদের শোয়ের বৈশিষ্ট্যই হল অতিথি হিসেবে বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিদের নিয়ে আসা। অনেকটা মজা করেই একবার বলেছিলাম আগামী চমক হিসেবে আমরা স্টিফেন হকিংসকে নিয়ে আসার স্বপ্ন দেখি। কিন্তু এটা ছিল প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। বিষয়টা অনেকটা পৃথিবীতে বসে দূর কোনো নক্ষত্রের দৃশ্য ধারণ করার মতোই। আমরা কীভাবে আমাদের শোতে স্টিফেন হকিংকে পেলাম, সেটা আমাদের কাছেও অপার একটি বিস্ময়। শুধু বিস্ময়করই নয়, এটাকে রীতিমতো রহস্যময় ঘটনাও বলা যায়, যার সমাধান কেবল স্টিফেন হকিংই দিতে পারেন। শুটিংয়ে তিনি ছিলেন সপ্রতিভ।
ওয়ার্নার ব্রাদার্স প্রডাকশনের ‘দ্য বিগ ব্যাং থিওরি’ টিভি শোটি যাত্রা শুরু করেছিল ২০০৭ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের সিবিএস নেটওয়ার্কে এটি প্রচারিত হচ্ছে। এই সবচেয়ে জনপ্রিয় অংশ হল বিজ্ঞান ভিত্তিক নাট্যপর্ব। আগামী এপ্রিল মাসের শুরুতে হকিংসকে নিয়ে তৈরি করা পর্বটি প্রচার করা হবে।
স্টিফেন উইলিয়াম হকিংয়ের জন্ম ১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি। সিএইচ, সিবিই, এফআরএস ও পিএইচডি ডিগ্রিধারী এই প্রতিভাবান বিজ্ঞানীকে বিশ্বের সমকালীন তাত্ত্বিক পদার্থবিদদের মধ্যে অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
হকিং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের লুকাসিয়ান অধ্যাপক (স্যার আইজ্যাক নিউটনও একসময় এই পদে ছিলেন) এবং কেমব্রিজের গনভিলি এবং কেয়াস কলেজের ফেলো হিসেবে কাজ করছেন।
মোটর নিউরন রোগ এএলএস বা এমায়োট্রফিক ল্যাটারাল সেক্লরোসিসে আক্রান্ত স্টিফেন হকিং। ১৯৮৫ সালে বাকশক্তি হারান তিনি। বর্তমানে পুরোপুরি প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হলেও তাঁর গবেষণা কার্যক্রম সাফল্যের সঙ্গেই চালিয়ে যাচ্ছেন শতাব্দীর প্রখ্যাত এই তাত্ত্বিক পদার্থবিদ।
হকিং প্রথম অনিশ্চয়তার তত্ত্ব ব্ল্যাক হোলের ঘটনা দিগন্তে প্রয়োগ করে দেখান যে ব্ল্যাক হোল থেকে বিকিরিত হচ্ছে কণাপ্রবাহ। অন্তত ৪০ বছর ধরে হকিং তত্ত্বীয় পদার্থ বিজ্ঞানের চর্চা করছেন। লিখিত বই ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির থেকে তিনি একাডেমিক জগতে যথেষ্ট খ্যাতিমান হয়ে উঠেছেন। তিনি রয়্যাল সোসাইটি অব আর্টসের সম্মানিত ফেলো ও পন্টিফিকাল একাডেমি অব সায়েন্সের আজীবন সদস্য
সূত্র
আলোচিত ব্লগ
লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?
মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন
অভিনেতা
বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়
প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন
চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)
সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন
তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?
আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন