বেশ কিছু দিন আগে সেফ হলাম। অনেকে সেফ হওয়া মাত্র পোষ্ট করে হুররে আমি সেফ হইছি। আমি সেফ হয়ে পোষ্ট করি নাই এর জন্য দুঃখিত। আজ সেলিব্রেটি ব্লগার এর ক্লাস সেভেন একটা ঘটনা শেয়ার করব। লুল ভাইয়েরা সামনে আসেন (চেয়ারম্যান ভাইয়ের ডাইলগ) কথা বেশি না বলে কাহিনি শুরু করি।
আমি তখন গ্রামের এক স্কুলে ক্লাস সেভেনে উঠলাম। স্কুলের ইংরেজি স্যারের কাছে আমি আর দোস্ত ইমন প্রাইভেট পড়তাম। স্যার প্রতিদিন প্রথম ঘন্টা পেত, সবার নাম ডাকতে ডাকতে ইংরেজি ঘন্টা অর্ধেক শেষ। প্রাইভেট পড়ি বলে ঐ স্যারের কাছে আমাদের দুই জনের সাতখুন মাফ মানে পড়া না শিখলেও পিঠ বাচত। পড়া নিতে আসলে বলতাম স্যার আজ কথা দিলাম সবার শেষে আপনাকে পড়া দিব আরেকটু ভাল করে দেখে নিই। সবার পড়া নিতে নিতে, তার মানে ঘন্টা শেষ। স্যারের একটা স্বভাব ছিল ওনার কাছে কোন ছাত্র প্রাইভেট না পরলে যেই কোন অযুহাত দেখিয়ে তার চৌদ্দ নাম্বার বেত নিয়ে ওই ছাত্রকে মাইর শুরু করত। চৌদ্দ নাম্বার বেত এটা স্যারের ডাইলগ কথায় কথায় বলত চৌদ্দ নাম্বার বেতটা নিয়ে আ্য় । একদিন স্যার পড়া দিছিল এক ইংরেজি রচনা সবার কাছ থেকে পড়া নিবে এই শপথ নিয়ে পড়া আদায় করা শুরু করতে লাগল। একজন একজন করে পড়া আদায় করতে লাগল। এইবার মিজানের পালা,মিজান অংক স্যারের কাছে প্রাইভেট পরত। এর জন্য স্যার মিজানকে একটু অন্যভাবে দেখত মিজানের কাছ থেকে প্রতিদিন পড়া আদায় করে ছাড়ত, একটু ভুল হলে চৌদ্দ নাম্বার বেত দিয়ে মাইর শুরু করে দিত। আজ মিজানকে বলে তুই আজ পুরা পড়া আদায় করবি তোকে আজও ছাড়ছি না শুরু কর মিজান পড়া দিতে লাগল এবং একটু পর আটকে গেল বরাবরের মাইর শুরু করল। :-& মাইর খাওয়ার পর মিজান একটু লাফ উঠল সাথে সাথে তার পেন্টের চেইন খোলা থাকার কারণে তার ইয়ে বের হয়ে গেল। সবাই যখন দেখে হাসতে লাগল স্যারে মিজানের ইয়ের দিকে চোখ দিল, স্যারও দেখে হাসতে হাসতে মাইর থামিয়ে দিল আর বলল থাক বসে পর আর বলতে হবে না। এই বলে স্যার ক্লাস থেকে বেরিয়ে চলে গেল। :#>
উৎসর্গ :
চেয়ারম্যান০০৭, নোবিতা রিফু, লিন্কিন পার্ক,গাধামানব, গেমার বয়, বেঈমান আমি, ~মাইনাচ~, নাফিজ মুনতাসির,
জন রাসেল,
বিরোধি দল।