somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রিবর্ন

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

Teaching প্রোফেশনটা মে বি ওয়াল্ডের ওয়ান অফ দ্যা টাফ প্রোফেশন। এই একটা প্রোফেশনে মে বি সফলতার পারটিকুলার কোন ডেফিনেশন নাই। কোন কোন স্টুডেন্টের কাছে সফল / ভালো টিচার মানে যে ভালো মার্ক দেয়, আবার কোন কোন স্টুডেন্টের কাছে সফল টিচার হল যে ভালো পড়ায়। প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে একজন টীচারের সফলতা মাপা হয় পারটিকুলার কোর্সে তার স্টুডেন্টদের পাশের হার দেখে। পাবলিক ভার্সিটিতে ব্যাপারটা একটু উল্টা। পাবলিক ভার্সিটির অনেক টীচার এই হ্যালুশিনসনে ভোগে "যেহেতু আমার কোর্সে বেশি ফেল করছে সো আমি ভালো টীচার"।

খুবিতে আমি ভালো কিছু টিচার পেয়েছিলাম, আর পেয়েছিলাম কিছু ডেমি গড। ডেমি গডরা কেউ কেউ ছিল বৈদাশিক ডিগ্রীধারী এবং এদের ফাস্ট আ্যটিচিউড ছিল "তোমাকে দিয়ে কিছু হবে না" টাইপের। নম্বর ছিল ডেমি গডদের পৈত্রিক সম্পত্তি এবং লেকচার নামক তাদের দৈম্ভিক বানী সহ্য করার একমাত্র মোটিভেশন ছিল "আ্যাটেন্ডেন্সের ১০ নম্বর"।ডেমি গডদের সাথে গডদের কিছু সিমিলারিটিস ছিল। why we pray to god?? So that we can survive in life। ডেমি গডদের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা অলমোস্ট সেইম. Instead of praying just adulate those demigods and you will survive in KU। Honestly it works.

ব্রাকে ভালো লাগার মত অসাধারন কিছু ফ্যাকাল্টি মেম্বার ছিল, জিয়াউল হাসান সিদ্দিকি স্যার, তৌফিক স্যার, নাজমুল স্যার, তারেক আজিজ স্যার, আরেফিন স্যার, মন্জুরুল ইসলাম স্যারের মত অসাধারন কিছু টিচার পেয়েছিলাম আমি ব্রাকে। গুড এন্ড বেস্টের ডিফারেন্সটা ব্রাকেই আমি একটু বুঝেছিলাম। বেস্টেরা প্রচন্ড মাত্রায় বিনয়ী হয়, লারনিং ইজ এ কনটিনিউয়াস প্রসেস টু দেম। থিউরি এন্ড প্রাকটিকাল ম্যাটেরিয়ালস গুলো তারা খুব ভালো ভাবে রিলেট করতে পারে এন্ড মোস্ট ইমপরটেন্টলি দে ক্যান মোটিভেট ইউ।

মোটিভেশন জিনিসটা আসলে ভালো স্টুডেন্টগুলোর লাগে না, লাগে ঐ সব স্টুডেন্টগুলোর যারা রিটেকের পর রিটেক নিয়ে ৪ বছরের কোর্সটা ৭ বছরে শেষ করে। ঐ স্টুডেন্টগুলোর খোজ কখনও আমাদের টীচাররা রাখে না, ডেকে বলে না বাবা কেন তুই এতবার ফেল করতেছিস? যাই হোক মোটিভেশনের প্যাচাল বাদ দিয়ে আমি তার চেয়ে একটা গল্প বলি, গল্পটা শুনেছিলাম তারেক আজিজ স্যারের কাছ থেকে। গল্পটা মেইনলি ঈগলের লাইফ সাইকেল নিয়ে। নরমালি একটা ঈগল ৭০ বছর পর্যন্ত বাঁচে। কিন্তু ৪০ বছর পার হওয়ার পরে ঈগলকে একটা টাফ ট্রান্সফরমেশনের ভিতর দিয়ে যেতে হয়। ৪০ বছর পরে ঈগলের পাখনাগুলো ভারী হয়ে যায়, নখগুলো শিকার ধরার মত শক্ত থাকে না, ঠোটগুলো বেকে যায়। খাবার ধরতে না পারার জন্য ৫০% ঈগলই এই সময় মারা যায়। বেঁচে থাকার জন্য ঈগলকে তখন একটা কঠিন ট্রান্সফরমেশনের ভিতর দিয়ে যেতে হয়। একটা বড় পাহাড়ের উপর উঠে ঈগল প্রথমে পাথরে ঠুঁকে ঠুঁকে তার ঠোট ভেঙ্গে ফেলে, তারপর অপেক্ষা করে নতুন ঠোঁট গজানোর, নতুন ঠোঁট গজানোর পরে ঈগল ঐ ঠোঁট দিয়ে তার পাখনাগুলো টেনে টেনে তুলে ফেলে, maximum ঈগলই এই কষ্ট সহ্য করতে না পেরে মারা যায়, যারা বেঁচে যায় তারা অপেক্ষায় থাকে শেষ ট্রান্সফরমেশনের। নতুন পালক গজানোর পর ঈগল পাথরের সাথে ঘষে ঘষে তার নখগুলো ছোট করে, তারপর ঠোঁট দিয়ে ঐ নখগুলো উপরে ফেলে অপেক্ষা করে পূ্র্নজন্মের। যারা এই কষ্টগুলো সহ্য করতে পারে তারাই রিবর্ন করে এবং ৭০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। আমি জানি গল্পটা হল সারভাইভাল অফ দ্যা ফিটেস্টদের জন্য । কিন্তু এইটাও সত্য রিটেক ইজ দ্যা টাফ প্রোসেস অফ রিবর্ন।

আফসোস শুধু একটাই, আমাদের ইউনিভার্সিটিতে এখন এই গল্প শোনানোর মানুষগুলোর বড় অভাব।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৮
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×